1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

করোনা মোকাবিলায় কোনো ঢিলেমি চায় না জার্মানি

২৫ জানুয়ারি ২০২২

নতুন করে কোনো বিধিনিষেধ না চাপালেও বর্তমান বিধিনিষেধ এখনই শিথিল করলেন না জার্মানির চ্যান্সেলর ও মুখ্যমন্ত্রীরা৷ করোনা সংক্রমণ দ্রুত বেড়ে চলায় সতর্ক থাকা প্রয়োজন বলে মনে করেন চ্যান্সেলর শলৎস৷

https://p.dw.com/p/462Nm
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস ছবি: HANNIBAL HANSCHKE/AP/dpa/picture alliance

জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা সোমবার জার্মানির করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করে বর্তমান বিধিনিয়ম আপাতত চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷ প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে সাপ্তাহিক গড় সংক্রমণের হার মঙ্গলবার প্রায় ৮৯৫ ছুঁয়েছে৷ গত সপ্তাহের তুলনায় সংক্রমণের হার ৮৬ শতাংশ বেড়ে গেছে৷ শলৎস মনে করিয়ে দেন, যে ইউরোপের অনেক দেশের তুলনায় জার্মানিতে সংক্রমণের গতি অনেক কম৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত সংক্রমণের হার বাড়তে থাকবে৷ তারপর ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে৷ ১৬ই ফেব্রুয়ারি চ্যান্সেলর ও মুখ্যমন্ত্রীদের আগামী বৈঠক অনুষ্ঠিত হবার কথা৷

করোনা ভাইরাসের ওমিক্রন সংস্করণ রোগীদের তেমন কাবু করতে না পারলেও রেকর্ড সংক্রমণের কারণে অনেক ক্ষেত্রে কর্মীর অভাব দেখা দিচ্ছে৷ তাছাড়া সুযোগ সত্ত্বেও করোনা টিকা না নেওয়া অনেক মানুষ গুরুতর অসুস্থ হচ্ছেন৷ বর্তমানে সংক্রমণের বেড়ে চলা হারের কারণে সীমিত সংখ্যক মানুষের জন্য পিসিআর টেস্ট সম্ভব করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার৷  হাসপাতালগুলির উপর চাপ আরও বাড়লে সরকার আরও কড়া পদক্ষেপের পূর্বাভাস দিয়েছে৷ অবশ্য গণস্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর মাত্রাতিরিক্ত চাপের আশঙ্কা দূর হলে চ্যান্সেলর ও মুখ্যমন্ত্রীরা বিধিনিয়ম শিথিল করার আশ্বাসও দিয়েছেন৷

ওলাফ শলৎস বলেন, জার্মানিতে মাত্র ৭৫ শতাংশ মানুষ করোনা টিকার কমপক্ষে প্রথম ডোজ নিয়েছেন, যা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য মোটেই যথেষ্ট নয়৷ এই সংখ্যা আরও বাড়াতে তিনি এক বড় মাপের প্রচার অভিযানের ঘোষণা করেন৷ সেইসঙ্গে করোনা টিকা বাধ্যতামূলক করার লক্ষ্যে সংসদের উদ্যোগে আইন প্রণয়ন করাতে চায় সরকার৷

সরকারের বেশ কিছু সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সমালোচনাও শোনা যাচ্ছে৷ দফতর, দোকানবাজার বা রেস্তোরাঁয় প্রবেশের নিয়ম রাতারাতি বদল করার ফলে নানা সমস্যা দেখা যাচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলি অভিযোগ করছে৷ তাছাড়া করোনায় আক্রান্ত হলে এতকাল ছয় মাসের জন্য নিরাময়ের স্বীকৃতি পাওয়া যেত৷ সরকার এবার সেই সময়কাল তিন মাসে কমিয়ে আনায় অনেক মহলে অসন্তোষ দেখা যাচ্ছে৷ করোনা টিকা বাধ্যতামূলক করার উদ্যোগ সত্ত্বেও জাতীয় স্তরে টিকা নথিকরণের কোনো ব্যবস্থা চালু না করায় বিভ্রান্তির আশঙ্কা করছে বিরোধী ইউনিয়ন শিবির৷ এমনটা না করলে স্পষ্ট চিত্র পাওয়া যাবে না এবং টিকা না নেওয়া মানুষদের চিহ্নিত করে তাঁদের টিকা নিতে বলা যাবে না বলে বিরোধীরা মনে করছে৷

এসবি/কেএম (ডিপিএ, রয়টার্স)