1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

করাচিতে কাশ্মীর-মিছিলে গ্রেনেড বিস্ফোরণ

৬ আগস্ট ২০২০

কাশ্মীর নিয়ে করাচিতে মিছিল বার করেছিল জামাত-এ-ইসলামি। তাতেই হামলা চালায় সিন্ধুদেশ রেভোলিউশনারি আর্মির জঙ্গিরা।

https://p.dw.com/p/3gUcF
ফাইল চিত্রছবি: picture-alliance/AP Photo/F. Khan

করাচিতে গ্রেনেড হামলা সিন্ধুদেশ রেভোলিউশনারি আর্মির। অন্তত দুই জনের মৃত্যু। আহত কমপক্ষে ৩০ জন। কয়েক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

বুধবার জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ এবং ৩৫এ অনুচ্ছেদ তুলে দেওয়ার এক বছর পূর্তি হয়েছে। গত বছর ৫ অগাস্ট সংসদে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই ঘোষণা করেছিলেন। যার জেরে কাশ্মীরের বিশেষ সুবিধার আইন বাতিল হয়ে যায়। একই সঙ্গে লাদাখ এবং জম্মু ও কাশ্মীরকে দুইটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা হয়। পাকিস্তান সরকার এক বছর আগেই ভারতের এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছিল। বিষয়টিকে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মঞ্চে নিয়ে যাওয়ারও চেষ্টা করেছিল। বুধবার সেই ঘটনার এক বছর উপলক্ষে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন হয়েছিল পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশে। করাচিতে একটি বিশাল মিছিল এবং সমাবেশের আয়োজন করেছিল জামাত-ই-ইসলামি। ঘোষিত সময়ে মিছিল শুরু হওয়ার পরেই গ্রেনেড হামলা হয়। ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় মিছিল। রাস্তা জুড়ে আহত ব্যক্তিদের পড়ে থাকতে দেখা যায়। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

করাচিতে হিন্দু খ্রিষ্টান শিখদের দিনকাল

পাকিস্তান সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত অন্তত ৩০ জন। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

হামলার কিছুক্ষণের মধ্যেই দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয় সিন্ধুদেশ রেভোলিউশনারি আর্মি। গত কয়েক মাস ধরে সিন্ধ অঞ্চলে সক্রিয় হয়েছে এই বিচ্ছিন্নতাবাদী দল। এর আগেও করাচিতে জঙ্গি কার্যকলাপ চালিয়েছে দলটি। গত জুনমাসে সিন্ধ অঞ্চলে পর পর তিনটি বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল এই জঙ্গি সংগঠনটি। তাতে চার জনের মৃত্যু হয়েছিল। নিহত হয়েছিলেন দুই সেনা জওয়ান।

সিন্ধুদেশ রেভোলিউশনারি আর্মির দাবি, সিন্ধ অঞ্চল পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন করতে হবে। এই সিন্ধ প্রদেশের রাজধানী করাচি। ফলে বার বার করাচিতেই বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে তারা। এদের সঙ্গে বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মিরও যোগাযোগ আছে বলে জানা গিয়েছে। বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি দীর্ঘ দিন ধরে স্বতন্ত্র বালুচিস্তানের দাবি নিয়ে নিয়ে আন্দোলন চালাচ্ছে।

পাক প্রশাসন জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। তবে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চলছে।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স)