কমার্স ব্যাংকের শিল্পকর্মগুলো জাদুঘরে যাচ্ছে
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১০বিনামূল্যে দীর্ঘ সময়ের জন্য জার্মানির পাঁচটি জাদুঘরে প্রায় একশ'টি শিল্পকর্ম ধার দিচ্ছে কমার্স ব্যাংক৷ কমার্স ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্টিন ব্লেসিং জানান, ‘‘আমরা সমাজকে কিছু দিতে চাই৷ আর সে কারণেই, আমরা আমাদের কার্যক্রমে শিল্প, সংস্কৃতি এবং তরুণ প্রজন্মকে রাখি৷ তাই আমরা মনে করছি, এইসব শিল্পকর্ম আমাদের কাছে না রেখে জাদুঘরে দেওয়া হলে সেটি আরও ভালো হবে৷''
জানা গেছে, বার্লিনের ন্যাশনাল গ্যালারি ও স্টেট আর্ট কালেকশন, ফ্রাংকফুর্টের দ্য মিউজিয়াম ফর মডার্ন আর্ট এবং স্টেডাল মিউজিয়াম, ড্রেসডেনের মিউনিসিপ্যাল গ্যালারি পাচ্ছে ঐ শিল্পকর্মগুলো৷
ড্রেসডেনে ব্যাংকের শিল্পকর্ম সংগ্রহের তত্ত্বাবধায়ক আস্ট্রিড কিসলিং-তাসকিন বলছেন, ‘‘প্রথমে এটা মেনে নেওয়া কঠিন ছিল যে, কমার্স ব্যাংকের সংগ্রহে থাকা শিল্পকর্মগুলো নিয়ে নতুন এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে৷ যাই হোক, শেষ পর্যন্ত ব্যাংকের প্রধান কর্মকর্তা এর ভাল-মন্দ চিন্তা করেই রাজি হয়েছেন যে, ব্যাংকের চেয়ে জাদুঘরই এর জন্য উপযুক্ত স্থান৷ সত্যি কথা বলতে কি, আমি দুশ্চিন্তামুক্ত হয়েছি যে, উচ্চমানের এই শিল্পকর্মগুলো এবার ভালো হাতে পড়ছে৷ কেননা, পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্য এগুলোর যত্ন কিংবা সংরক্ষণ করার মতো জনবল আমাদের ছিলনা৷''
নিজেদের সংগ্রহে থাকা সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ শিল্পকর্ম, শিল্পী আলব্যার্টো জিয়াকোমেত্তি'র ‘লম কি মার্শ'৷ এই শিল্পকর্মটি এবছরের শুরুতেই নিলামে বিক্রি করেছে কমার্স ব্যাংক৷ অন্যান্য বড় শিল্পকর্মগুলোর মতো এটা জাদুঘরে ধার দেওয়া হয়নি৷ তবে ৭ কোটি ৪০ লাখ ইউরোতে একজন ব্যক্তিগতভাবে কিনে নিয়েছেন এটি৷ কোনো চিত্র প্রদর্শণীতে এর আগে এতো মূল্যবান আর কোনো শিল্পকর্ম বিক্রি হয়নি৷ শোনা যাচ্ছে, বিক্রির এই অর্থ কমার্স ব্যাংক ১০ লাখ ইউরো করে ঐ পাঁচটি জাদুঘরে দিচ্ছে৷ আর বাকি অর্থ যাচ্ছে কমার্স ব্যাংক ফাউন্ডেশনে৷
এর মানে এই নয় যে, কমার্স ব্যাংককে দেখে অন্যান্য ব্যাংকও এ ধরণের কার্যক্রম শুরু করবে৷ কারণ, ডয়চে ব্যাংক এবং মিউনিকের আলিয়ন্স ব্যাংক কিন্তু তাদের শিল্পকর্মের সংগ্রহ বাড়ানোর জন্য উল্টো আরও উদ্যোগ নিচ্ছে৷
প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ