1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ওয়াশিংটনের চাপের মুখেও ইরানের পাশে বাকিরা

২ সেপ্টেম্বর ২০২০

মঙ্গলবার ইরান ও স্বাক্ষরকারী দেশগুলি আবার পরমাণু চুক্তির প্রতি আস্থা প্রকাশ করলো৷ ইরানের উপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা চাপানোর প্রচেষ্টার বিরোধিতার প্রশ্নেও ঐক্য অটুট রইলো৷

https://p.dw.com/p/3htPO
মঙ্গলবার ভিয়েনায় ইরান নিয়ে আলোচনা হয়ছবি: Reuters/European Commission

অ্যামেরিকার প্রবল চাপ সত্ত্বেও ইরান ও আন্তর্জাতিক সমাজের মধ্যে ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি এখনো টিকে রয়েছে৷ ট্রাম্প প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে তেহরান কিছু শর্ত লঙ্ঘন করলেও এখনো পুরোপুরি চুক্তি বর্জন করে নি৷ বাকি স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া ও চীন পরমাণু চুক্তি চালু রাখতে বদ্ধপরিকর৷ মঙ্গলবার ভিয়েনায় এক বৈঠকে সব পক্ষ এমন অঙ্গীকার করেছে৷ আলোচনার পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি হেলগা স্মিড এক টুইট বার্তায় লেখেন, যে অংশগ্রহণকারীরা ইরান চুক্তি বাঁচিয়ে রাখতে ঐক্যবদ্ধ এবং বর্তমান চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বোঝাপড়া পুরোপুরি কার্যকর করার পথ খুঁজতে বদ্ধপরিকর৷

ট্রাম্প প্রশাসন ২০১৮ সালে পরমাণু চুক্তি থেকে সরে এলেও সেই চুক্তিকেই হাতিয়ার করে ইরানের উপর কার্যত জাতিসংঘের সব নিষেধাজ্ঞা আবার কার্যকর করতে চাইছে৷ ইরান চুক্তি লঙ্ঘন করছে, এমন যুক্তি দেখিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে সে দেশের বিরুদ্ধে ‘স্ন্যাপব্যাক' প্রক্রিয়া চালু করতে চাইছে ওয়াশিংটন৷ চুক্তির বাকি স্বাক্ষরকারী দেশ মার্কিন প্রশাসনের এক্তিয়ার ও যুক্তি মানতে নারাজ৷ ফলে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে চলতি মাসেই বিষয়টিকে ঘিরে আবার সংঘাতের আশঙ্কা বাড়ছে৷ প্রায় কোনো দেশই এই প্রশ্নে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে একমত না হওয়ায় সেই উদ্যোগ বিফল হবে বলে পূর্বাভাষ দিয়েছেন আগস্ট মাসে নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি দেশ ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত ডিয়ান ত্রিয়ানসিয়া জানি৷ চলতি মাসে সভাপতি হিসেবে নাইজারও সে বিষয়ে একমত৷

নিরাপত্তা পরিষদে বিফল হলেও ট্রাম্প প্রশাসন ইরানের উপর চাপ বাড়াতে রাখতে যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ পরমাণু চুক্তির অংশগ্রহণকারী দেশগুলির ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হয়েও ট্রাম্প সে সব দেশের বিরুদ্ধে কী মনোভাব নেন, সে বিষয়েও জল্পনাকল্পনা চলছে৷

ওয়াশিংটনের চাপের মুখে ও বাকিদের উপর চাপ বাড়াতে ইরান প্রকাশ্যে চুক্তির কিছু শর্ত লঙ্ঘন করলেও সার্বিকভাবে চুক্তি মেনে চলছে৷ আন্তর্জাতিক পরিদর্শনকারীদেরও সে দেশের বেশিরভাগ পরমাণু স্থাপনায় প্রবেশ করতে দিচ্ছে সে দেশের কর্তৃপক্ষ৷ সদিচ্ছা দেখাতে গত সপ্তাহে ইরান এমনকি দুটি গুদামে ইনস্পেকটরদের প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে৷ সেখানে অঘোষিত পরমাণু উপাদান রাখা আছে বলে সন্দেহ দেখা দিয়েছে৷ পরমাণু চুক্তির আগেই সেই সব গুদাম চালু ছিল বলে ইরান এতকাল পরিদর্শনকারীদের সেখানে প্রবেশের সুযোগ দেয় নি৷

পরমাণু চুক্তি সার্বিকভাবে মেনে চললেও ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে দুশ্চিন্তা দূর হচ্ছে না৷ বিশেষ করে অন্য দেশকে পরমাণু উপাদান সরবরাহের প্রশ্নে সংশয় দেখা দিচ্ছে৷ সে দেশ নাতানৎস পরমাণু কেন্দ্র থেকে উন্নত সেনট্রিফিউজ পাচার করেছে বলে সন্দেহ দেখা দিয়েছে৷ জুলাই মাসে সেই কেন্দ্রে অন্তর্ঘাতের ঘটনা ঘটেছিল৷ ইরানের উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি সংবাদ সংস্থা এএফপি-কে বলেন, এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে৷ ইরানের পরমাণু কর্মসূচি সম্পূর্ণ স্বচ্ছ বলে তিনি দাবি করেন৷

এসবি/এসিবি (এপি, এএফপি)

২০১৮ সালের মে মাসের ছবিঘরটি দেখুন...