1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ওজনহীন পরিস্থিতিতে কেমন লাগে?

১০ মে ২০১৯

মহাকাশে নভোচারীরা জিরো গ্রাভিটি, অর্থাৎ ওজনহীন পরিস্থিতির মধ্যে থাকেন৷ কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে থাকতে কেমন লাগে? সবার পক্ষে সেটা জানা হয়ত সম্ভব নয়৷

https://p.dw.com/p/3IIPR
ছবি: DW

তবে বেশ কয়েকজন তারকা সেই অনুভূতি নিতে বিশেষ এক বিমানে চড়েছিলেন৷ চলুন তাদের কাছ থেকেই জেনে নেই ওজনহীনতার অনুভূতি সম্পর্কে৷

মহাকাশে একজন নভোচারীরঅনুভূতি কেমন হয়? জিরো গ্রাভিটি ক্লাবের পঞ্চাশ সেলিব্রেটি তারকা সেই অনুভূতি নিতে সমবেত হয়েছিলেন এক বিমানে৷ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের এই সংগীতজ্ঞ, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম তারকা এবং ক্রীড়াবিদরা ওজনহীনতার অনুভূতি নিতে প্রথমে জার্মানির ফ্রাংকফুর্ট এয়ারপোর্টে চেক ইন করেছেন৷

তাদের মধ্যে ছিলেন রাশিয়ার ডিজে সোয়্যাংকি টিউনস, দক্ষিণ কোরিয়ার ডিজে সোডা, ফ্রান্সের ফুটবলার সেবাস্তিয়াঁ আলার এবং জার্মানির টিভি শেফ টিম মেলৎসার৷ তাদের প্রত্যেকেই ওজনহীন পরিস্থিতিতে করার জন্য কিছু একটা ঠিক করে রেখেছেন৷ টিম মেলৎসার কোনো একটি খাবার বানাবেন৷ তিনি বলেন, ‘‘এটা শুধুমাত্র একটা পরীক্ষা৷ অনেক আলোচনার পর সালাদ ড্রেসিং বেছে নিয়েছি৷’’

তারা সবাই একটি এয়ারবাস এ-৩১০ বিমানে চড়ছেন, যেটি মূলত নভোচারীদের ওজনহীনতার প্রশিক্ষণ দিতে ব্যবহার করা হয়৷ তবে এই যাত্রীদের স্পেসস্যুটের দরকার নেই – শুধু টেকসই কিছু পরলেই চলবে৷ তাঁরা মোট ১৫টি ‘প্যারাবোলিক ফ্লাইট’-এর স্বাদ পাবেন, যেগুলোর প্রতিটিতে ২২ সেকেন্ড করে ওজনহীনতার পরিবেশ সৃষ্টি হবে৷

ভূপৃষ্ঠ থেকে সাড়ে আটহাজার মিটার উচ্চতায় শুরু হয় আসল মজা৷ প্রথমে তাঁদের মাধ্যাকর্ষণের চেয়ে দ্বিগুন শক্তিতে নীচে টানা হয়৷ তারপর হঠাৎ করে তাঁরা ভাসতে থাকেন৷ এরপর পুরো প্রক্রিয়া নতুন করে শুরু হয়৷ বিমানটি তখন রোলার কোস্টারের মতো ওঠানামা করে৷

ইভেন্টটির আয়োজকরা বিরল ও ভিন্ন স্বাদের পার্টির আয়োজন করেন৷ জিরো গ্রাভিটি ক্লাব তাদের অনেক পরিচিতি এনে দিয়েছে৷ এটা ছিল তাদের দ্বিতীয় ওজনহীনতা পার্টি৷ তবে তার সময় ছিল মাত্র ছয় মিনিট৷ এরপর সবাই ভূপৃষ্ঠে ফিরে আসেন৷

এই উড়ালের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে অভিনেত্রী ডাশা পোলানকো বলেন, ‘‘আমার নিজেকে সুপারওম্যান মনে হচ্ছিল৷ এবং আমি একজন ব্যায়ামবিদও এবং আমি অন্যদের উপর পড়ে যাচ্ছিলাম এবং নিজেকে মুক্তও মনে হয়েছে৷’’

টিম মেলৎসার বলেন, ‘‘প্রাপ্তবয়স্করা সবাই এখানে বসে আছেন এবং বলেছেন, অসাধারণ, অসাধারণ, অসাধারণ, অসাধারণ, অসাধারণ এবং অসাধারণ৷ কারো কারো চোখে জলও দেখেছি৷’’

আর ‘সোয়্যাংকি টিউনস’ ভাদিম স্পাকের মন্তব্য হচ্ছে: ‘‘সত্যি বলতে কি, এটা এক অসাধারণ অনুভূতি, আমি আসলে....ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না৷’’

ওজনহীনতার এমন অনুভূতি পাওয়া আসলেই সহজ কথা নয়৷

মরইয়া ফিভেগার/এআই

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য