1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের শ্রমিকদের বিক্ষোভ

২১ সেপ্টেম্বর ২০২২

সময়মতো বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের শ্রমিকেরা। তাদের অভিযোগ, চীনা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ঠিকমতো বেতন পরিশোধ করে না।

https://p.dw.com/p/4H8VH
Bangladesch Padma Brücke, Reportage
ছবি: Shahadat Parvez

এমন অনেক সমস্যার কারণে ঢাকার অন্যতম এই প্রকল্পের কাজ শেষ করা সম্ভব হচ্ছে না।

১১ বছর আগে শুরু হওয়া এই এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শেষ করার বিষয়টি অনেক হাস্যকর ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশের প্রথম সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের( পিপিপি) প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালের এপ্রিলে উদ্বোধন করেন। এয়ারপোর্ট থেকে যাত্রাবাড়ীতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ করা হবে। তখন বলা হয়েছিল ২০১৫ সালের মধ্য কাজ শেষ করে এটি চালু করা হবে যেন তা রাজধানীর যানজট নিরসনে সহায়ক হয়।

অবশ্য তা করা সম্ভব না হলেও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের একের পর এক কাজ শেষ করার ঘোষণা দিয়ে চলেছেন। প্রকৃতপক্ষে, তিনি প্রতি বছরই এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ শেষ করার কথা বলে থাকলেও কাজ আর শেষ হয় না। সম্প্রতি ওবায়দুল কাদের ঘোষণা দিয়েছেন যে ২০২৩ সালের জুনে কাজ শেষ হবে। তবে কাজের অগ্রগতি হয়েছে মাত্র ৩০ শতাংশ। ফলে আগামী জুনের মধ্যে কাজ শেষ হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় আছে।

২০১১ সালে প্রকল্পটি চূড়ান্ত করা হলেও এর নির্মাণ শুরু হয় মূলত ২০২০ সালে। এর অন্যতম কারণ ছিল বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ইটাল-থাইয়ের অর্থ জোগাড় করতে ব্যর্থ হওয়া। পরে চীনের দুটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগে এগিয়ে এলে নির্মাণ কাজ শুরু হয়। তবে কাজের গতি ছিল অনেক ধীর। এছাড়া রয়েছে জমি অধিগ্রহণের জটিলতা।

এদিকে সাড়ে আট হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৪ হাজার কোটিতে। নির্মাণ কাজ দেরি হলে এই ব্যয় আরও বাড়তে পারে বলে আশংকা রয়েছে।

একেএ/কেএম