1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এলজিবিটিকিউদের প্রতি কি ইউরোপে নেতিবাচক মনোভাব বাড়ছে?

৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ইউরোপের কিছু দেশে এলজিবিটিকিউদের অধিকার আবারও সীমিত করার চেষ্টা হচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/4VwBa
লাইপসিশের রাস্তায় এক এলজিবিটিকিউ জুটির চুম্বন (ফাইল ফটো)
লাইপসিশের রাস্তায় এক এলজিবিটিকিউ জুটির চুম্বন (ফাইল ফটো)ছবি: Yauhen Yerchak/SOPA Images/ZUMA Press Wire/picture alliance

মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুনির্দিষ্টভাবে নেতিবাচক প্রচারণার শিকার হচ্ছেন এই সম্প্রদায়ের মানুষেরা৷ তবে সামগ্রিকভাবে সমাজে তাদের প্রতি বিরূপ মনোভাব কম৷     

গত জুলাইয়ে বার্লিনে প্রাইড মাসের ব়্যালিতে অংশ নেয়ার সময় ডিম হামলার শিকার হয়েছিলেন এক ব্যক্তি৷ কিন্তু সেই হামলাকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাননি তিনি৷

‘‘এটা এমন বড় কোনো ঘটনা নয়৷ আর পুলিশ এটা নিয়ে তেমন কিছু করতোও না,'' ডয়চে ভেলের সাংবাদিককে বলেন তিনি৷

পরিসংখ্যান বলছে, জার্মানিতে এলজিবিটিকিউদের উপর মৌখিক এবং শারীরিক আক্রমণ বাড়ছে৷ এবং ৯০ শতাংশ ঘটনা রিপোর্ট করা হয় না বলে জানিয়েছে জার্মানির সমকামিদের সংগঠন এলএসভিডি৷ আর এটাই একমাত্র উদ্বেগের বিষয় নয়৷  

‘‘জনমত জরিপ ক্রমশ খারাপ হচ্ছে,'' বলেন এলএসভিডি মুখপাত্র কার্সটিন থস্ট৷ 

‘‘ট্রান্সফোবিক বিবৃতি উল্লেখযোগ্যহারে বেড়েছে, এবং আমরা লক্ষ্য করেছি যে আমাদের ট্রান্সজেন্ডার সাংসদদের বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানো হচ্ছে,'' এক ভিডিও বার্তায় বলেন তিনি৷

জার্মানিতে অবশ্য এলজিবিটিকিউদের অধিকার এখন বিস্তৃতও হচ্ছে৷ বার্লিন সম্প্রতি একজন মানুষের নিজের লিঙ্গ নির্ধারণের অধিকার সম্প্রসারণ করেছে ফলে কেউ চাইলে দাপ্তরিক নথিপত্রে থাকা নিজের লিঙ্গ পরিচয় সংশোধন করতে পারবেন৷ মূলত ট্রান্সজেন্ডার, নন-বাইনারি এবং ইন্টারসেক্সদেরক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য হবে৷

তবে সমকামিদের সংগঠন বলছে গতবছর এই আইন অনুমোদনের পর থেকে ট্রান্সফবিক আক্রমণও বেড়েছে৷ তবে এধরনের হামলা সামগ্রিকভাবে সমাজে তাদের প্রতি মনোভাবের প্রতিফলন নয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ 

ইউরোপের সর্বত্রও পরিস্থিতি একরকম নয়৷ এই মহাদেশে সমকামিদের অধিকার নিয়ে গবেষণা করছেন নীল দত্ত৷ তার হিসেবে ‘লিঙ্গবিরোধী' প্রচারণায় অর্থায়ন ২০২১ এবং ২০২২ সালের মধ্যে একবছরে একশো মিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে৷ এক দশক আগের হিসেবে এই সংখ্যাটি অনেক বেশি৷  

ইউরোপীয় ডিজিটাল মিডিয়া অবজারভেটরি জানাচ্ছে, অনলাইনে যেসব সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি গুজব এবং ভুল তথ্য ছড়ানো হয় তার মধ্যে এলজিবিটিকিউরা অন্যতম৷

এলজিবিটিকিউবিরোধীরা নিজের দেশ ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে নানারকম নেতিবাচক প্রচারণায় যোগ দিচ্ছেন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা৷ আর রাশিয়া, হাঙ্গেরি ও পোল্যান্ডের মতো দেশগুলোর নানা রক্ষণশীল নীতি তাতে ইন্ধন যোগাচ্ছে৷

এআই/কেএম