1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এর্দোয়ান-বিদ্রোহীদের যাবজ্জীবন

২৭ নভেম্বর ২০২০

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার দায়ে ৩৩৭ জন সাবেক সেনা কর্মীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হলো।

https://p.dw.com/p/3ltP5
ছবি: picture-alliance/abaca

তুরস্কের সেনাবাহিনীর একাংশ বিদ্রোহ ঘোষণা করে এর্দোয়ানকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিল। রাজধানী আঙ্কারার কাছে একটি বিমানঘাঁটির ৫০০ জন বিদ্রোহ করেছিলেন ২০১৬ সালে। কামান, হেলিকপ্টার, যুদ্ধবিমান নিয়ে তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ সরকারি প্রতিষ্ঠান দখল করার চেষ্টা করেছিলেন। সেই সংঘর্ষে নিহত হয়েছিলেন ২৫০ জন।

সংবাদসংস্থা এএফপি-র কাছে আদালতের নির্দেশের কপি এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে এর্দোয়ানকে হঠানোর চক্রান্ত করার জন্য ৩৩৭ জন সাবেক পাইলট ও অন্যদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

সরকারের অভিযোগ ছিল, অ্যামেরিকায় থাকা মুসলিম ধর্মগুরু ও ব্যবসায়ী ফতেউল্লাহ গুলেনের সমর্থকেরা এই বিদ্রোহের পিছনে ছিলেন। মোট ৪৭৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছিল। তার মধ্যে ৩৬৫ জন জেলে আছেন। সরকারি সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, যে ৩৩৭ জনের যাবজ্জীবন হয়েছে, তাঁরা ভবিষ্যতে ছাড়া পাবেন না। তাঁদের ক্ষমা করাও যাবে না। এর মধ্যে ২৫ জন এফ ১৬ পাইলটও আছেন। বিমান বাহিনীর সাবেক কম্যান্ডার অ্যাকিন ওজতুর্কের নেতৃত্বে ওই বিদ্রোহ হয়। এর্দোয়ানকে মারার চেষ্টা হয়। সংসদ সহ অন্য সরকারি ভবনে বোমা ফেলা হয়েছিল। সেই সময়ের সেনা প্রধান ও বর্তমানে প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে কয়েক ঘণ্টার জন্য আটক করে রাখা হয়েছিল।

বিদ্রোহ ব্যর্থ হওয়ার পর ব্যাপক ধরপাকড় শুরু হয়। গুলেনের সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে দুই লাখ ৯২ হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়। এক লাখ লোক এখনো জেলে। তাঁদের বিচার চলছে।

ইইউ-র নিষেধাজ্ঞা নিয়ে

আগামী মাস থেকে তুরস্কের বিরুদ্ধে যাতে ইইউ নিষেধাজ্ঞা জারি করে, তার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে ফ্রান্স। কিন্তু গ্রিস ও সাইপ্রাস ছাড়া এখনো বাকি ইইউ দেশগুলি তুরস্কের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারির সমর্থনে সেভাবে এগিয়ে আসেনি।  তুরস্ককে এর আগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হতে পারে বলে সতর্ক করে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এর্দোয়ান সেই হুমকিকে গুরুত্ব দেননি। এ বার ইইউ পার্লামেন্টে বিষয়টি আলোচনা হবে। এই অবস্থায় ফ্রান্স বলেছে, তুরস্ক সংঘাত না সহযোগিতা কী করতে চায়, তা আগে ঠিক করুক।

জিএইচ/এসজি(এএফপি, রয়টার্স)