এরশাদের রাজনীতি
১৮ নভেম্বর ২০১৩অল্প সময়ের ব্যবধানে নিজের বক্তব্য থেকে এরশাদের সরে যাওয়া সম্পর্কে রাজীব হাসান চৌধুরী ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘এরশাদ সাহেবকে নিয়ে সবাই বড় বড় স্টেটাস দিচ্ছে৷ আমি ভাই ওই ফাঁদে পা দিতে চাই না৷ স্টেটাস লিখে এন্টার দিতে দিতেই আঙ্কেল ভোল পাল্টে ফেলতে পারেন৷ হি ইস ড্যাম ফাস্ট ইউ নো!'' এই স্ট্যাটাসের নীচে নাসরিন সৈয়দ লিখেছেন, ‘‘বুড়া মানুষ তো মনে হয় আলৎসহাইমার হয়েছে৷ ক্ষণে ক্ষণে ভুলে যায়৷ মাফ করে দেন৷''
সামহয়্যার ইন ব্লগে খোমেনী লিখেছেন, ‘‘নিজের কথায় ঠিক না থাকার বিষয়টি এরশাদের মজ্জাগত৷ তাঁর কথায় এখনো যে মানুষ বিভ্রান্ত হয়, সেটিই অবাক করার বিষয়৷ তবে তাঁর সমালোচনা যতই করা হোক না কেন বর্তমানে রাজনীতিতে তিনি যে একটি ফ্যাক্টর তা তিনি প্রমাণ করেছেন৷ একই সঙ্গে তিনি নতুন করে আবারও প্রমান করলেন তার কথার কোনো ঠিক থাকবে না৷ সকালে যা বলবেন, বিকেলে বলবেন ঠিক উল্টো৷''
তবে সবাই যে তাদের লেখায় এরশাদের সমালোচনা করেছেন তা নয়৷ যেমন আমারব্লগে তাজমুল আক্তারের পোস্টের শিরোনাম হচ্ছে ‘এরশাদকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ'৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘এরশাদকে আপনি চোর বলতে পারেন....বেইমান বলতে পারেন, প্রতারক বলতে পারেন৷ কিন্তু একবার একটু কি ভেবে দেখবেন তাঁর করা কাজটা দেশের সার্বিক অবস্থার ভিত্তিতে কত গুরুত্বপূর্ণ ছিল৷ আপনার কি এই কথা মানতে আপত্তি আছে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নামে একটা অগণতান্ত্রিক ব্যবস্থা যে একটা গণতান্ত্রিক দেশের জন্য অপমানের?....যদি আজকে এরশাদ অন্তর্বর্তীকালীন সর্বদলীয় সরকারে অংশগ্রহণ না করতো তাতে হয়তো তত্ত্বাবধায়কের দাবি মানতে হইতো, কিন্তু এর ফলে বাংলাদেশের গণতন্ত্র আবার পিছিয়ে পড়তো৷ আজকের উদ্ভূত পরিস্থিতি আবার ১০ বছর পরে তৈরি হইতো৷....আজকে এরশাদের গণতন্ত্রের জন্য এক পা এগিয়ে আসার ফলে আমাদের একটা অমীমাংসিত অধ্যায়ের খুব সুন্দর পরিসমাপ্তি ঘটলো৷''
সংকলন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ