1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এবার ধর্মঘটে নাজেহাল জার্মানির বিমানবন্দর

১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

বেতন বাড়ানোর দাবিতে ধর্মঘটে জার্মানির বিমানবন্দরের কর্মীরা৷ এতে করে ফ্রাঙ্কফুর্ট, বার্লিন ও মিউনিখের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দরে যাত্রীদের চরম ভোগান্তি হচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/4bvkt
বিমানবন্দরে নিরাপত্তা বাহিনীর সতর্কীকরণ ধর্মঘট - ফ্রাঙ্কফুর্ট
বুধবার রাতে কোলন-বন বিমানবন্দরের রাতের শিফটে অনুপস্থিত ছিলেন নিরাপত্তা কর্মীরা৷ তখন থেকেই ধর্মঘটের সূচনাছবি: Jörg Halisch/dpa/picture alliance

বৃহস্পতিবার জার্মানির ১১টি বড় বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কর্মীরা ধর্মঘটে৷ এর ফলে এক হাজারটি ফ্লাইট বাতিল বা বিলম্বিত হয়েছে, যা ঝামেলায় ফেলেছে প্রায় দুই লাখ যাত্রীকে, জানাচ্ছে জার্মানির বিমানবন্দর সংস্থা এডিভি৷

বুধবার রাতে কোলন-বন বিমানবন্দরের রাতের শিফটে অনুপস্থিত ছিলেন নিরাপত্তা কর্মীরা৷ তখন থেকেই ধর্মঘটের সূচনা৷

কর্মী ইউনিয়ন ভের্দি'র মুখপাত্র ও্যৎসে টারিম জানান যে কোলন-বন বিমানবন্দরে ধর্মঘটে বসেন বিমানবন্দরের একশ শতাংশ কর্মী৷

‘‘সাফল্যের সাথে শুরু হলো ধর্মঘট'', বলেন তিনি৷ দিনের প্রায় ৮০ শতাংশ ফ্লাইট বাতিল হতে পারে বলেও জানান টারিম৷

ধর্মঘটের সবচেয়ে বেশি প্রভাব যেখানে

ভেরদি ধর্মঘটের ডাক দিলে ফ্রাঙ্কফুর্ট, হামবুর্গ, বার্লিন, ব্রেমেন, লাইপজিশ, ড্যুসেলডর্ফ, কোলন, হানোফার, স্টুটগার্ট, এরফুর্ট ও ড্রেসডেন বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কর্মীরা কর্ম বিরতিতে যান৷

বার্লিন, হামবুর্গ, হানোফার ও স্টুটগার্ট থেকে কোনো ফ্লাইট ছাড়েনি, অন্যান্য ফ্লাইট নামতেও ব্যাপক দেরি হয়৷

অন্যদিকে ড্যুসেলডর্ফ বিমানবন্দরে মোট ফ্লাইটের এক-তৃতীয়াংশ বাতিল হয়৷ টারিম জানান, সেখানে কর্মরত নিরাপত্তা সংস্থা তার কর্মীদের ‘ধর্মঘট ভাঙার বোনাস' হিসাবে দু'শ ইউরো দিয়েছে৷

জার্মানির দক্ষিণাঞ্চলের রাজ্য বাভারিয়ার মিউনিখ ও ন্যুরেমবার্গ বিমানবন্দরে ধর্মঘটের কোনো ছাপ নেই, কারণ, সেখানকার নিরাপত্তা কর্মীদের সরকারি কর্মচারী হিসাবে গণ্য করা হয়৷

ফ্রাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দরের পরিস্থিতি

ফ্রাঙ্কফুর্টে জার্মানির সবচেয়ে বড় বিমানবন্দর৷ বৃহস্পতিবার সকালে সেখান তেকে কোনো ফ্লাইট ছাড়েনি৷ বিমানবন্দর পরিচালনা সংস্থা ফ্রাপোর্ট তাদের ওয়েবসাইটে বলে, ‘‘এই ধর্মঘটের ফলে গোটা দিনজুড়ে ফ্লাইট চলাচলে ব্যাঘাত ঘটবে৷ বিশেষ করে, ট্রানজিট অঞ্চলের বাইরের নিরাপত্তা যাচাই স্থানগুলি বন্ধ থাকবে৷''

যাত্রীদের বৃহস্পতিবার বিমানবন্দর এড়াতে অনুরোধ করা হয় ও এয়ারলাইন সংস্থাকে যোগাযোগ করে বিকল্প খোঁজার পরামর্শও দেওয়া হয়৷

জার্মানির মূল এয়ারলাইন লুফটহানসা জানিয়েছে, যাত্রীরা ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাদের ফ্লাইট নতুন করে বুক করতে পারবেন৷ পাশাপাশি, যাত্রীদের জার্মানির ভেতর যাত্রার জন্য বিনামূল্যে ট্রেনের টিকিট দেয় তারা৷

ডয়চে ভেলের ক্রিস্টি প্লাডসন ফ্রাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দরে যাত্রীদের ‘হতাশা ও ভোগান্তির' কথা তুলে ধরেন৷ বিমানবন্দরের ভেতর থেকে যাত্রীদের চিৎকার শোনা যাচ্ছে, জানান ক্রিস্টি৷

ধর্মঘটে বসা কর্মীদের দাবি যা

বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কর্মীদের সংস্থা বিডিএলএস-এর সাথে একাধিক দফায় আলোচনার পর কোনো সমাধান না উঠে আসায় ধর্মঘটের ডাক দেয় কর্মী ইউনিয়ন ভেরদি৷

প্রতি ঘন্টার মজুরিকে দুই দশমিক আট ইউরো বাড়ানোর দাবি বরছেন কর্মীরা৷ বিডিএলএস-এর মুখপাত্র বলেন যে তারা এই বছরে চার শতাংশ ও আগামী বছরে তিন শতাংশ বেতন বাড়াবার প্রতিশ্রুতি দিলেও ইউনিয়নের দাবি মানতে পারছেন না৷

ডয়চে ভেলের অর্থনীতি বিষয়ক রিপোর্টার ক্রিস্টি প্লাডসনের মতে, ‘‘ভের্দি ও এই কর্মীরা যা দাবি করছেন তার সাথে বিমানবন্দরের কার্যক্ষমতার বিষয়টিও জড়িত৷ জার্মানিতে এখন বিভিন্ন খাতে শ্রমের মজুরি বাড়ানোর দাবি উঠছে৷ সাথে উঠছে কাজের পরিবেশের উন্নয়নের প্রসঙ্গও৷ এটা এখন এক ধরনের নতুন ট্রেন্ড৷''

এর আগে, চলতি সপ্তাহে জার্মানির ট্রেন চালকরা ধর্মঘটে বসেন, যা দেশটির ইতিহাসের সবচেয়ে বড় রেল ধর্মঘট ছিল৷ শুক্রবারে স্থানীয় পরিবহন কর্মীদেরও ধর্মঘটে বসার ডাক দিয়েছে ভেরদি৷

এসএস/এসিবি (ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য