1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

একদিনে গাজায় নিহত ১২৭ জন

৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

আহতের সংখ্যা আরো বেশি। মোট মৃতের সংখ্যা ২৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। গৃহহীন লাখ লাখ মানুষ।

https://p.dw.com/p/4c2Q7
গাজার দিকে হামলা করা হচ্ছে
হামাসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় রোববার জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজা স্ট্রিপে অন্তত ১২৭ জনের মৃত্যু হয়েছেছবি: Dylan Martine/REUTERS

হামাসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় রোববার জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজা স্ট্রিপে অন্তত ১২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে রাফা সীমান্তে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৯০ জনের। ইসরায়েলের হামলায় তাদের মৃত্যু হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় আহতের সংখ্যা ১৭৮ জন। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা ২৭ হাজার ৩৬৫। আহতের সংখ্যা ৬৬ হাজার ৬৩০।

নিহত এবং আহতদের মধ্যে বিপুল পরিমাণ নারী এবং শিশু আছে বলে দাবি করা হয়েছে। বস্তুত, এই সমস্ত সংখ্যাই হামাসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া। ডিডাব্লিউ তা খতিয়ে দেখতে পারেনি। তবে জাতিসংঘের বক্তব্য, এই সংখ্যাতত্ত্বে খুব বেশি ভুল নেই। জাতিসংঘও এই সংখ্যাকেই নিজেদের ডেটা হিসেবে ব্যবহার করে।

গাজার সংঘর্ষ গোটা মধ্যপ্রাচ্যে অশান্তির আবহাওয়া তৈরি করেছে বলে বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য। একদিকে গাজার পাশাপাশি ইসরায়েলকে লেবানন এবং সিরিয়া সীমান্তেও লড়াই চালিয়ে যেতে হচ্ছে। অন্যদিকে, হুতি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগরে আক্রমণ চালাচ্ছে। যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র তার জবাব দিচ্ছে। ইরানের মদতপুষ্ট একাধিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর উপর হামলা চালাচ্ছে তারা। সিরিয়া, ইয়েমেন, ইরাকে বেশ কিছু পরিকাঠামো ধ্বংস করেছে তারা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ইরানের বিরুদ্ধে সার্বিক যুদ্ধে যেতে চায় না অ্যামেরিকা। কিন্তু পরিস্থিতি এমন তৈরি হয়েছে যে যে কোনো সময় বড় কিছু ঘটে যেতে পারে।

গাজায় ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত

সুইজারল্যান্ডের একটি পত্রিকার সম্পাদকীয় কলমে একটি গুরুত্বপূর্ণ নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, অ্যামেরিকা এখন সরাসরি যুদ্ধ চায় না, ইরানও চায় না। কিন্তু তা সত্ত্বেও পরিস্থিতির বদল হচ্ছে না কারণ, গাজার সংঘর্ষের কোনো সমাধানসূত্র খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। গাজা সংঘর্ষের সমাধান না হলে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফেরা অসম্ভব।

ক্যানাডার অবস্থান

এদিকে অ্যামেরিকার পর ক্যানাডাও পশ্চিম তীরে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে। ক্যানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, পশ্চিম তীরে যে ইসরায়েলের নাগরিকেরা অশান্তি ছড়াচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হবে। হামাসের নেতাদের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে তারা।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার পশ্চিম তীরের চার ইসরায়েলি নাগরিকের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছিল অ্যামেরিকা। অশান্তি ছড়ানোর জন্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল। ইসরায়েল অবশ্য বিষয়টিকে ভালো চোখে দেখেনি। নেতানিয়াহু জানিয়েছিলেন, ইসরায়েলের নিজের আইন আছে। কেউ আইন অমান্য করলে ইসরায়েল তাদের শাস্তি দেয়। অ্যামেরিকার নিষেধাজ্ঞা জারি করে শাস্তি দেওয়ার প্রয়োজন নেই।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)