এএফডির সমর্থন নিয়ে ট্যাবু ভাঙবেন সম্ভাব্য চ্যান্সেলর?
২৯ জানুয়ারি ২০২৫এএফডি হচ্ছে জার্মানির অভিবাসনবিরোধী দল৷ উগ্র ডানপন্থি সন্দেহে নিরাপত্তা বাহিনী সবসময় এই দলের কর্মকাণ্ডের উপর নজর রাখে৷
গতসপ্তাহে জার্মানিতে এক আফগান আশ্রয়প্রার্থীর ছুরি হামলায় দুই বছরের এক শিশু ও এক ব্যক্তি প্রাণ হারান৷ এরপর অভিবাসনের বিষয়টি আবার আলোচনায় এসেছে৷
এমন পরিস্থিতিতে বুধবার সংসদে দুটি প্রস্তাব আনতে যাচ্ছেন ম্যার্ৎস৷ এসব প্রস্তাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কঠোর করা এবং অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে জার্মানির স্থল সীমান্তগুলো বন্ধ করার আহ্বান জানাবেন তিনি৷ তবে দ্বিতীয় প্রস্তাবটি ইউরোপীয় আইনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়৷
জার্মানির বর্তমান জোট সরকারে থাকা এসপিডি ও সবুজ দল এই দুই প্রস্তাবের বিরোধিতা করছে৷ ফলে প্রস্তাব দুটি পাস হতে হলে এএফডিসহ অন্যান্য দলের সমর্থন প্রয়োজন হবে৷ ম্যার্ৎস জানিয়েছেন, তিনি যে-কোনো দলের সমর্থনকে স্বাগত জানাবেন৷
ম্যার্ৎসের এমন অবস্থানের সমালোচনা করেছেন চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসসহ অনেকে৷ তাদের বক্তব্য, এর ফলে এএফডির সঙ্গে কাজ না করা নিয়ে জার্মানির মূল দলগুলোর মধ্যে যে ঐক্য আছে, সেটি ভঙ্গ হবে৷ তারা ম্যার্ৎসের বিরুদ্ধে তার নিজের কথা না মানার অভিযোগ এনেছেন৷ গত নভেম্বরে তিনি মূল দলগুলোর কাছে অঙ্গীকার করে বলেছিলেন, যে প্রস্তাব পাস করতে এএফডির সমর্থনের প্রয়োজন হবে এমন কোনো প্রস্তাব জার্মান সংসদের নিম্নকক্ষ বুন্ডেসটাগে পেশ করা হবে না৷
তবে নির্বাচনের পর এএফডির সঙ্গে জোট গঠন না করার সিদ্ধান্তে এখনও তিনি অটল আছেন বলে জানিয়েছেন ম্যার্ৎস৷ সবশেষ জরিপ বলছে, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পাবে এএফডি দল৷
বিশ্লেষকেরা বলছেন, প্রস্তাব পাসে এএফডির সমর্থনকে স্বাগত জানানোর মাধ্যমে ম্যার্ৎস এএফডিকে বৈধতা দেওয়ার ঝুঁকি নিচ্ছেন৷
অবৈধ অভিবাসনের প্রতি কঠোর হওয়ার অঙ্গীকার করার পর ম্যার্ৎসের দল সিডিইউর জনপ্রিয়তা তিন পয়েন্ট কমে গেছে বলে মঙ্গলবার প্রকাশিত ফোরসা জরিপে দেখা গেছে৷ দলটির প্রতি এখন ২৮ শতাংশ ভোটারের সমর্থন আছে৷ এরপরে আছে এএফডি (২১ শতাংশ) ও এসপিডি (১৭ শতাংশ)৷
জেডএইচ/এসিবি (রয়টার্স)