1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এ বার গুড়গাঁওতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

৫ অক্টোবর ২০২০

উত্তর প্রদেশের পর এ বার হরিয়ানার গুড়গাঁওতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ। অন্যদিকে হাথরাসের ফরেনসিক রিপোর্ট বলছে, ধর্ষণই হয়নি।

https://p.dw.com/p/3jQuE
ছবি: Jit Chattopadhyay/Pacific Press/picture-alliance

উত্তর প্রদেশের পর এ বার হরিয়ানা। দিল্লি ঘেঁষা গুড়গাঁওতে ২৫ বছরের তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হলো। এখানেও চার অভিযুক্ত ধর্ষণের পর ওই নারী উপর প্রবল অত্যাচার চালায়। তাঁর মাথায় একাধিক আঘাত লেগেছে। রোববার ভোররাতের ঘটনায় চার অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সকলেরই বয়স ২০ থেকে ২৫-এর মধ্যে।

এক অভিযুক্তের সঙ্গে ওই নারীর সিকান্দারপুর মেট্রো স্টেশনে দেখা হয়। সে তাঁকে কাছেই একটি অফিসঘরে নিয়ে যায়। সেখানে আরো তিনজন ছিল। তরুণী বাধা দিলে তাঁর মাথা দেওয়ালে জোরে ঠুকে দেয়া হয়। ধর্ষণ করে চারজন পালায়। মেয়েটির কান্না শুনে সিকিউরিটি গার্ড এসে তাঁকে উদ্ধার করে।

হাথরাসের ফরেনসিক রিপোর্ট

অন্যদিকে হাথরাসের ঘটনার ফরেনসিক রিপোর্ট এসেছে। সেখানে বলা হয়েছে, দলিত মেয়েটিকে ধর্ষণই করা হয়নি। ঘটনা হলো, ধর্ষিতার দেহ থেকে ১১ দিন পরে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। বিশেষজ্ঞদের দাবি, ততদিনে স্পার্মের আর কোনো অস্তিত্ব থাকে না। ফলে এই রিপোর্টকে তাঁরা বিশেষ মূল্য দিচ্ছেন না।

কিন্তু পুলিশ সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে বলছে, দলিত মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়নি। উত্তর প্রদেশের সিনিয়ার পুলিশ কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার বলেছেন, ''পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট বলছে, গলায় আঘাতের ফলে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ফরেনসিক রিপোর্টে স্পার্মের চিহ্ন মেলেনি। কিছু মানুষ জাতকে টেনে এনে যে উত্তেজনা বাড়াতে চাইছে তা পরিষ্কার। এই ধরনের লোকেদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।''

হাথরাসের ঘটনার ১১ দিন পরে মেয়েটির দেহ থেকে নমুনা নেয়া হয়। সেটাও তিনদিন পরে আগ্রায় পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। ফরেনসিক রিপোর্টেই তার উল্লেখ আছে। ১১ তারিখ মেয়েটি তাঁর বিবৃতিও পুলিশের কাছে নথিভুক্ত করান। বিশেষজ্ঞদের মতে, সেই বিবৃতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘটনার এতদিন পরে নমুনা সংগ্রহ এবং তা আরও পরে ফরেনসিকে পাঠানোর কারণেই স্পার্মের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। অভিযোগ, পুলিশ প্রথম থেকেই ঘটনাটি ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছিল। উঁচু জাতের চারজনকে বাঁচানোর চেষ্টা করছিল। রাত দুটোর সময় পরিবারের লোককে আটকে রেখে তারা মেয়েটির মৃতদেহ জ্বালিয়ে দিয়েছে। প্রশাসন ও পুলিশ নিয়মিত পরিবারের লোককে ভয় দেখাচ্ছে বলেও অভিযোগ। ফলে প্রশ্ন উঠেছে, পুলিশ ফরেনসিকের কাছে নমুনা পাঠাতে এত দেরি করল কেন? এটাও কি ইচ্ছাকৃত? প্রথম থেকেই অভিযোগ উঠেছিল, পুলিশ কিছু ধামাচাপা দিতে চায়। তারা কী ধামাচাপা দিতে চাইছে সেই প্রশ্নও তোলেন বিশেষজ্ঞরা।

পুলিশের আচরণ নিয়ে প্রবল সমালোচনার ঝড়ের পর মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ হাথরস মামলার তদন্তের ভার সিবিআইকে দেয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুরোধ করেছেন।

জিএইচ/এস জি(এএনআই, এনডিটিভি)