1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

উহান থেকে ফিরলেন বাংলাদেশিরা

১ ফেব্রুয়ারি ২০২০

চীনের উহান থেকে ঢাকায় ফিরলেন ৩১৪ বাংলাদেশি৷ শনিবার বেলা ১২ টা নাগাদ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে তারা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌছান৷

https://p.dw.com/p/3X7jz
Bangladesch | Aus Wuhan rückkehrendende Bangladeshi
ছবি: bdnews24.com

উহানের তিয়ানহি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকায় ফিরেছে বিমানের বিশেষ ফ্লাইট৷ শনিবার বেলা ১১টা ৫৩ মিনিটে ৩১৪ বাংলাদেশিকে নিয়ে বোয়িং ৭৭৭ উড়োজাহাজ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌছায়৷ ফেরত আসারা সবাই চীনের উহানে ছিলেন৷ এই শহরেই করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে৷  

ফেরত আসা বাংলাদেশিদের আশকোনো হজ ক্যাম্পে ১৪ দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে৷  এ সময় তাদের সঙ্গে দেখা করার জন্য স্বজনরা যেন ব্যাকুল না হয়ে পড়েন সেজন্য তাদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী৷ আইইডিসিআরের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুশতাক হোসেন আশকোনা হজ্জ ক্যাম্পে দায়িত্ব পালন করছেন৷ বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, ‘‘ফ্লাইটে ৩১৪ জন এসেছেন৷ তাদের কোয়ারেন্টাইন স্টেশন আশকোনার হাজী ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে৷ আরও দুজনের আসার কথা থাকলেও শরীরে জ্বর থাকায় তারা চীনে রয়ে গেছেন৷'' 

এদিকে নাগরিকদের আনতে বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটটি  শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে ঢাকা ছেড়ে যায়৷ বিমানটিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সেনাবাহিনীর ৪ থেকে ৫ জন ডাক্তার ছিলেন৷

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) করোনা ভাইরাসের পুরো বিষয়টি পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ করছে৷ আইইডিসিআর জানায়, চারটি হটলাইনের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে৷ বিমানবন্দরে চীন থেকে আসা যাত্রীদের একটি কার্ড দেয়া হচ্ছে৷ সেই কার্ডে তাদের করণীয় এবং যোগাযোগের নাম্বার আছে৷ প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘চীন থেকে তাদের ফেরত আনাতে নতুন করে কোন ঝুঁকি তৈরী হবে না৷ তাদের জন্য যে ধরনের ব্যবস্থা করা দরকার আমরা সবই করেছি৷ সেখানে সার্বক্ষণিক চিকিৎসক দল পালাক্রমে দায়িত্ব পালন করবেন৷''

হুবেই প্রদেশের মোট ২২টি শহরে বাংলাদেশের নাগরিকরা থাকেন৷ এরমধ্যে যারা উহানে রয়েছেন আপাতত তাদেরই ফিরিয়ে আনা হচ্ছে৷ বাকি শহরগুলোতে থাকা কোনো নাগরিককে এখন দেশে আনা হবে না৷

শুক্রবার সকালে বিমানবন্দরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে মোমেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ড. এনামুর রহমান সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, উহান শহরে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর চীন সরকার কাউকেই দেশের বাইরের যাওয়ার অনুমতি দেয়নি৷ পরে বাংলাদেশের ৩৬১ জনকে ফেরত পাঠাতে চায় চীন সরকার৷ এরপরই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে জরুরিভাবে তাদেরকে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে৷ 

এফএস (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম) 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান