1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

টাকা দিলেই দেশে ফিরবেন উদ্বাস্তুরা?

২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

জার্মানিতে যারা রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেছেন, তারা যাতে স্বেচ্ছায় দেশে ফেরেন সেজন্য ‘স্টার্ট হেল্প প্লাস' কর্মসূচি চালু করেছে জার্মান সরকার৷ এই কর্মসূচিতে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের দেশে ফেরার জন্য টাকা দেয়া হয়৷

https://p.dw.com/p/2Wr4C
Symbolbild Deutschland Flüchtlinge werden in Friedland erwartet
ছবি: picture-alliance/dpa/S. Rampfel

পয়লা ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে চালু হয় এই কর্মসূচিটি৷ অভিবাসন ও উদ্বাস্তুদের জন্য ফেডারাল কার্যালয় (বিএমএএফ) আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংগঠন আইওএম-এর সহযোগিতায় এই কর্মসূচিটির দেখাশোনা করেছে৷ উদ্দেশ্য হলো, যে সব রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী স্বদেশে ফিরতে রাজি, তাদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া৷ এজন্য চার কোটি ইউরো বরাদ্দ করা হয়েছে৷

‘‘২০১৬ সালে প্রায় ৫৫,০০০ মানুষ স্বেচ্ছায় স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন৷ সংখ্যাটা আগের বছরের চেয়ে বেশি, কেননা ২০১৫ সালে ফিরেছিল প্রায় ৩৫,০০০ মানুষ৷ অতিরিক্ত বাজেট পাওয়ার ফলে পরিস্থিতি আরো ভালো হয়েছে'', বলে ডয়চে ভেলেকে জানান বুধবারই সরকারিভাবে বিএমএএফ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করা ইউটা কর্ড৷

শীঘ্রই জার্মানি ছাড়ার পুরস্কার

‘স্টার্ট হেল্প প্লাস' কর্মসূচির লক্ষ্য হলো যাদের জার্মানিতে রাজনৈতিক আশ্রয় পাবার বিশেষ সম্ভাবনা নেই, তাদের দেশ ছাড়ার জন্য পুরস্কৃত করা৷ বিশেষ করে কেউ যদি রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন দাখিলের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই জার্মানি পরিত্যাগ করেন তাহলেই এ ‘পুরস্কার' দেয়া হবে৷

১২ বছরের বেশি বয়সের উদ্বাস্তুরা যদি তাদের আবেদন সম্পর্কে সিদ্ধান্তে নেওয়ার আগেই সেই আবেদন প্রত্যাহার করে, তাহলে তারা ১,২০০ ইউরো পাবেন৷ যাদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়েছে, তারা যদি আপিল না করতে ও একটি নির্দ্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জার্মানি পরিত্যাগ করতে রাজি থাকে, তবে তারা পাবে ৮০০ ইউরো৷ পরিবার ও ১২ বছরের কম বয়সের শিশুসন্তানদের জন্য বাড়তি অর্থ দেওয়া হবে৷ এমনকি যারা জার্মানিতে সাময়িকভাবে থাকার অনুমতি পেয়েছে, তারাও স্বদেশে ফেরার জন্য আর্থিক সহায়তা লাভ করতে পারে৷

Infografik Hauptherkunftsländer Asylbewerber Englisch

এ সুযোগের অপব্যবহার রোধের জন্য পশ্চিম বলকান অঞ্চলের দেশগুলি ও সিরিয়া থেকে আসা উদ্বাস্তুদের এই কর্মসূচি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে৷ বাকিদের বলা হচ্ছে যে, স্বেচ্ছায় স্বদেশে প্রত্যাবর্তন সরকারিভাবে জার্মানি থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার চেয়ে ভালো৷ অপরদিকে, সরকারের পক্ষেও এই কর্মসূচির মাধ্যমে উদ্বাস্তুদের ফেরত পাঠানোর খরচ বিধিবদ্ধভাবে বহিষ্কারের খরচের চেয়ে অনেক কম৷

এসি/ডিজি (ডিপিএ, এএফপি, ইপিডি)

উদ্বাস্তুদের টাকা দিয়ে দেশে ফেরানোর এই কর্মসূচি সম্পর্কে াপনার কিছু বলার থাকলে লিখুন নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান