উদ্বাস্তুদের জার্মান শেখানোর জন্য দশটি ছবি
উদ্বাস্তুদের জার্মান শেখানোর জন্য দশটি ছবি, তবে মজার ছবি৷ কে জানে, হয়ত আপনারও কাজে লাগতে পারে...?
প্রতিদিন কাজে লাগে, এমন সব শব্দ...
জার্মান বাড়িগুলোতে প্রতিদিন যে সব জিনিস কাজে আসে, সেগুলোর নাম জানেন কি আপনি? উদ্বাস্তু ছেলে-মেয়েরা এই একরঙা রেখাচিত্রগুলো রং করার সময় জার্মান ভাষা ও সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হবে – এই হলো পরিকল্পনা৷ প্রকল্পের উদ্যোক্তা হলেন বই বা পুস্তক অলঙ্করণ শিল্পী কনস্টানৎসে ফন কিটসিং৷ তিনি সারা দেশের বিভিন্ন সচিত্রীকরণ শিল্পীদের সহযোগিতায় প্রকল্পটি খাড়া করেছেন৷
দুপুরের খাবার?
কিছু কিছু ছবির সঙ্গে কথাও আছে৷ যেমন এই ছবিতে নানা ধরনের খাবার দেখানো হয়েছে, আবার সেই সঙ্গে জানানো হয়েছে জার্মানরা সকাল, দুপুর কিংবা রাতের খাওয়ায় কী খেতে ভালোবাসেন৷
পুলিশ তোমার বন্ধু
পুলিশ বা দমকলকর্মীরা যে সহানুভূতিশীল ও নির্ভরযোগ্য সরকারি কর্মচারি হতে পারেন, এ অভিজ্ঞতা উদ্বাস্তুদের মধ্যে অনেকের নেই৷ কাজেই এই ছবিগুলোর একটি উদ্দেশ্য হলো, উদ্বাস্তু আর জার্মান কর্তৃপক্ষের মধ্যে বন্ধুত্বের সেতু গড়া – বললেন প্রকল্পের যুগ্ম-প্রতিষ্ঠাতা কনস্টানৎসে ফন কিটসিং৷
বিপদ ঘটলে
আশা করা যায়, উদ্বাস্তু ছেলে-মেয়েদের আবার কোনো আগুন লাগার ঘটনা দেখতে হবে না৷ তবুও জার্মানিতে ‘ফয়ারভেরমান’ বা দমকলকর্মীরা কী করেন, তা জানা থাকা ভালো৷ ছবিতে লেখা: ফায়ার ড্রিল৷
কনস্ট্রাকশন সাইট
যেখানে বাড়ি তৈরি হচ্ছে, সেরকম জায়গাগুলো ছোটদের চিরকাল প্রিয়৷ জার্মানিতে বাড়ি তৈরি চলছেই, তার কোনো কমতি নেই৷ কাজেই ‘বাগার’ – মানে মাটি খোঁড়ার এক্সক্যাভেটর যন্ত্র – অচিরেই এটি কিশোর শিক্ষার্থীদের প্রিয় জার্মান শব্দ হয়ে উঠতে পারে, বলে মনে করা হচ্ছে৷
জন্তুজানোয়ার
জার্মানরা কুকুর পোষেন আর বেড়াল পোষেন, হাজারে হাজারে, লাখে লাখে৷ তবে সেই সঙ্গে খরগোশ, গিনিপিগ, মাছ, এমনকি সাপ – পোষ্য হিসেবে কিছুই বাদ যায় না৷
ময়লা ফেলা
জার্মানদের কাছে গৃহস্থালির বর্জ্য আলাদা আলাদা করে কনটেইনারে রেখে ফেলাটা একটা খেলার মতো! পরে কর্পোরেশনের লোক এসে তা তুলে নিয়ে যায়, শুরু হয় ‘রিসাইক্লিং’-এর পর্ব৷ কাগজ, কাচ, উদ্ভিদজাত বর্জ্য – সব কিছু আলাদা করে সরানো হয়৷ ছবিতে সেই কর্মযজ্ঞকেই দেখানো হচ্ছে, উদ্বাস্তু ছেলে-মেয়েদের বোঝানোর জন্য৷ সাধারণ জার্মানরাও অবশ্য এ থেকে শিখতে পারেন...৷
খেলার সাথি
বহু উদ্বাস্তু ছেলে-মেয়ে জার্মানিতে আসার পর পরই কিন্ডারগার্টেনে যায়৷ ছবিতে দেখানো হচ্ছে, জার্মান ছেলে-মেয়েরা নিজেদের মধ্যে কেমন ব্যবহার করে৷ বলতে কি, বড়রাও এর থেকে অনেক কিছু শিখতে পারেন!
শহুরে জীবন
মানুষজন, গাড়ি, সাইকেল, কুকুর, দোকানপাট: কোনো নতুন শহরে এলে প্রথমে কেমন দিশাহারা লাগে না? ওদিকে জার্মানিতে যে প্রতিটি চৌরাস্তার মোড়ে একটা রুটির দোকান থাকবেই থাকবে, সেটাও তো জানা দরকার?
পুতুলখেলা
ছবিটি এঁকেছেন কনস্টানৎসে ফন কিটসিং নিজে৷ ‘হোজে’ অর্থাৎ প্যান্ট, কিংবা ‘রক’ অর্থাৎ স্কার্ট, বা ‘ইয়াকে’ অর্থাৎ কোট কেটে নিয়ে কাগজের পুতুলটিকে পরানো যায় – আবার জার্মান শব্দটাও শেখা যায়৷