1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা

২৬ জুলাই ২০১৯

দক্ষিণ কোরিয়াকে সতর্ক করতে ‘নতুন ধরনের কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্রের' পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া৷ উত্তেজনা না ছড়িয়ে আলোচনা জারি রাখতে পিয়ংইয়ংয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও  দক্ষিণ কোরিয়া৷

https://p.dw.com/p/3MlN5
ছবি: Getty Images/AFP/J. Yeon-Je

দক্ষিণ কোরিয়ার অস্ত্র কেনা এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়ার প্রস্তুতির খবরে নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্রটির পরীক্ষাটি চালিয়েছে দেশটি৷

দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ নিশ্চিত করেছেন, বৃহস্পতিবার উত্তর কোরিয়ার পূর্ব উপকূল থেকে স্বল্পপাল্লার দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে।  উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প নতুন করে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ আলোচনায় বসতে রাজি হওয়ার পর এই প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল তাঁরা৷ তাই ট্রাম্প-কিমের তৃতীয় দফা বৈঠক অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কেসিএনএ জানিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়া উপরে শান্তির কথা বললেও পর্দার আড়ালে অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্র মজুদ করছে আর সামরিক মহড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে৷

ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার সময় পুরো বিষয়টি প্রত্যক্ষ করেছেন দেশটির নেতা কিম জং উন৷ তিনি বলেন, ‘‘আমাদের দেশের নিরাপত্তা জন্য সরাসরি ও সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলায় আমরা সবসময় আধুনিক ও ক্ষমতাসম্পন্ন অস্ত্র তৈরি করে যাবো৷'' উত্তর কোরিয়া প্রধান মনে করেন, দক্ষিণ কোরিয়া তাঁর দেশের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি৷ আর তাই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাটিকে তিনি বলছেন দক্ষিণ কোরিয়ার যুদ্ধপ্রস্তুতির প্রতি কড়া সতর্কতা৷

পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ আলোচনার পূর্বশর্ত হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়া যৌথ সেনা মহড়া বন্ধের দাবি জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া৷ অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার এ ঘটনার পর, পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ আলোচনা চালিয়ে যেতে পিয়ংইয়ংয়ের প্রতি উত্তেজনা থামানোর আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া৷

বৃহস্পতিবার স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র প্রসঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ফক্স নিউজকে জানিয়েছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে উত্তর কোরিয়া নেতার বৈঠকে, মধ্য ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা থেকে বিরত থাকতে সম্মত হয়েছিলেন কিম জং উন৷ তিনি মনে করেন, দুই পক্ষই আবার আলোচনা শুরু করতে পারে৷ মাইক পম্পেও বলেন, ‘‘আমি মনে করি আমরা এখনও কোথাও বসে আলোচনা করতে পারি৷''

টিএম/কেএম (এএফপি, এপি রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য