1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইয়েমেনের রাজধানীতে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ

১৫ অক্টোবর ২০১১

ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আলী আব্দুল্লাহ সালেহ’র পদত্যাগের দাবিতে আবারো ফুঁসে উঠেছে সেদেশের জনতা৷ রাজধানী সানায় নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারিয়েছে নয় বিক্ষোভকারী৷ অন্যদিকে, বিমান হামলায় নিহত আল-কায়দা নেতা৷

https://p.dw.com/p/12sdg
সানায় সরকারবিরোধী আন্দোলন (ফাইল ফটো)ছবি: DW

সানায় আন্দোলন

সানা'র সিটি চত্বরের দিকে এগিয়ে যাওয়া কয়েক হাজার বিক্ষোভকারীকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে সেদেশের নিরাপত্তা বাহিনী৷ বিক্ষোভকারীরা ইয়েমেন'এর প্রেসিডেন্ট আলী-আব্দুল্লাহ সালেহ'র পদত্যাগ চাচ্ছে৷ কিন্তু সালেহ'র প্রশাসন গত আট মাস ধরেই বিক্ষোভকারীদের কঠোর হস্তে দমনের চেষ্টা করছে৷ শনিবারও বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস, গরম পানি এবং গুলি ছোঁড়া হয়৷ সানায় এই বিক্ষোভের প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আন্দোলনকারীরা ‘‘চেইঞ্জ চত্বর'' থেকে সেদেশের বিশেষ বাহিনীর নিয়ন্ত্রিত একটি এলাকার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছিল৷ এসময় সালেহ'র অনুগত বিশেষ বাহিনী তাদেরকে বাধা প্রদান করে৷ সরকারি বাহিনীর প্রতিরোধে আহত বেশ কয়েকজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷

In this image made from video, Yemen's President Ali Abdullah Saleh speaks on Yemen State Television broadcast Saturday, Oct. 8, 2011. The TV broadcast showed Saleh talking to unidentified members of the Yemen parliament, railing against the opposition and calling the crisis a "conspiracy" against him. (Foto:Yemen State TV/AP/dapd)
ইয়েমেন’এর প্রেসিডেন্ট আলী আব্দুল্লাহ সালেহছবি: dapd

রাজি তবে পদত্যাগ করছেন না সালেহ

প্রেসিডেন্ট আলী আব্দুল্লাহ সালেহ অবশ্য বলছেন পদত্যাগের জন্য প্রস্তুত তিনি৷ তবে পশ্চিমা সমাজের আহ্বান সত্ত্বেও ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন না তিনি৷ দিন কয়েকআগেও সেদেশের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে সালেহ ভবিষ্যতে ক্ষমতা ছেড়ে দেবেন বলে জানান৷ কিন্তু এই বক্তব্যের বাস্তব প্রয়োগ দেখা যাচ্ছে না৷ গত মার্চে ইয়েমেনের ক্ষমতার পালাবদলের জন্য পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলোর আনা একটি প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যান করেন তিনি৷ জুন মাসে সানায় গোলা বর্ষণে আহত হন সালেহ৷ এরপর সৌদি আরবে চিকিৎসার জন্য যান তিনি৷ কিন্তু গতমাসে অনাকাঙ্খিতভাবে দেশে ফিরে আসেন এই শাসক৷

আল-কায়দা নেতা নিহত

ইয়েমেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আল-কায়দার আরব উপদ্বীপের মিডিয়া প্রধান ইব্রাহিম আল-বান্না বিমান হামলায় প্রাণ হারিয়েছে৷ বান্না জঙ্গি গোষ্ঠীর অত্যন্ত বিপজ্জনক সক্রিয় সদস্য ছিল৷ ইয়েমেনের ভেতরে এবং বাইরে একাধিক হামলা পরিকল্পনার সঙ্গে এই জঙ্গির সম্পৃক্ততা রয়েছে বলেও দাবি মন্ত্রণালয়ের৷ অবশ্য সেদেশের আজান জেলায় কোন পক্ষের বিমান হামলায় বান্না নিহত হয়েছে তা নিয়ে দুই ধরনের বক্তব্য রয়েছে৷ কিছু মিডিয়া জানাচ্ছে, মার্কিন ড্রোন হামলায় বান্নাসহ সাত জঙ্গি নিহত হয়েছে৷ অন্যপক্ষের দাবি, ইয়েমেনের বিমানগুলো হামলায় অংশ নেয়৷ গত মাসে ইয়েমেনে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হয় এই গোষ্ঠীর নেতা আনোয়ার আল-আওলাকি৷ বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, শুক্রবারের বিমান হামলায় আওলাকি'র সন্তান আব্দেররহমান আনোয়ার আল-আওলাকিও নিহত হয়েছে৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য