1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সৈন্য চলাচল রুখতে রাস্তা অবরোধ

১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১

মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে প্রতিদিন বিক্ষোভ হচ্ছে৷ বুধবার রেকর্ডসংখ্যক মানুষ প্রতিবাদে অংশ নিয়েছেন৷ এদিকে, ইয়াঙ্গনে আরো সৈন্য মোতায়েন শুরুর খবরে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের ব়্যাপোটার কর্মকর্তা টম অ্যান্ড্রুস৷

https://p.dw.com/p/3pT0f
সু চি’র মুক্তির দাবিতে মিয়ানমারে বিক্ষোভছবি: AP Photo/picture alliance

তিনি বলেন, ‘‘অতীতে সৈন্য মোতায়েনের সময় গণহারে হত্যা, আটক ও গুমের ঘটনা ঘটেছে৷ একইসঙ্গে গণবিক্ষোভের পরিকল্পনা ও সৈন্য মোতায়ন শুরুর খবরে আমি শঙ্কিত৷''

অ্যান্ডুসের সঙ্গে একমত মিয়ানমারে নিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ দূত ক্রিস্টিন শ্র্যানার বার্গেনার৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, মিয়ানমারে ২১টি এথনিক সশস্ত্র গোষ্ঠী অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে৷ ফলে সংঘাতের আশঙ্কা অনেক বেশি৷'' 

ইয়াঙ্গনে প্রতিবাদকারীরা সামরিক যানের চলাচল ব্যাহত করতে রাস্তায় গাড়ি রেখে ব্যারিকেড তৈরি করেছেন৷ তারা মঙ্গলবার সামরিক বাহিনীর দেয়া এক তথ্যে গভীর সন্দেহ প্রকাশ করেছেন৷ সেদিন শাসকগোষ্ঠীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জ মিন তুন দাবি করেন, দেশটির পাঁচ কোটি ৩০ লাখ মানুষের মধ্যে চার কোটি মানুষ সামরিক বাহিনীর কার্যক্রম সমর্থন করছে৷ এর প্রতিক্রিয়ায় খিন নামের এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘‘তারা যা বলছে তা পুরোপুরি মিথ্যা... তারা বলছে, নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে, কিন্তু এখানে জমায়েত হওয়া মানুষগুলোকে দেখুন৷''

অভ্যুত্থানের দিন অং সান সু চিকে আটক করা হয়৷ তার বিরুদ্ধে ন্যাচারাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট আইন ভঙ্গ ও অবৈধভাবে ছয়টি ওয়াকিটকি রেডিও আমদানির অভিযোগ আনা হয়েছে৷ মঙ্গলবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আয়োজিত শুনানিতে পরবর্তী শুনানির দিন ১ মার্চ ধার্য করা হয়েছে৷

১ ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রতিদিন মিয়ানমারে বিক্ষোভ হচ্ছে৷

এদিকে, টানা তৃতীয় রাতের মতো মঙ্গলবার রাতেও ইন্টারনেট বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল সামরিক বাহিনী৷ ফলে স্থানীয় সময় রাত ১টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ইন্টারনেট সংযোগ পুরোপুরি বন্ধ ছিল৷ এছাড়া তারা এমন একটি আইনের খসড়া তৈরি করছে বলে জানা গেছে, যেটা অনেক অনলাইন কার্যক্রমকে অপরাধ বলে গণ্য করবে৷

জেডএইচ/এসিবি (রয়টার্স, এপি)