1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইস্রায়েলের একতরফা যুদ্ধবিরতি, কিন্তু গাজার সংঘাত থামবে কি?

অরুণ শঙ্কর চৌধুরী১৮ জানুয়ারি ২০০৯

রবিবার মিশরে আন্তর্জাতিক জরুরী বৈঠকের আগেই এলো ইস্রায়েলের যুদ্ধবিরতির ঘোষণা৷ তবে ইস্রায়েলী সৈন্যরা গাজায় থাকছে৷ এবং হামাসও এই যুদ্ধবিরতি বস্তুতঃ প্রত্যাখ্যান করেছে৷

https://p.dw.com/p/GadC
২২ দিন পরে গাজায় সামরিক অভিযানে বিরতিছবি: AP

গাজা স্ট্রিপে গত ২২ দিনের ইস্রায়েলী সামরিক অভিযানে প্রাণ হারিয়েছে ১,২০০ জনের বেশী প্যালেস্তিনীয়, আহত হয়েছে আরো ৫,০০০৷ হতাহতদের মধ্যে বেশ কিছু মহিলা ও শিশু৷ জাতিসঙ্ঘের ত্রাণ সরবরাহের উপর ইস্রায়েলী আক্রমণে প্রাণ হারিয়েছে গাড়ীচালক৷ জাতিসঙ্ঘের স্কুল ও অপরাপর দফতরের উপর চলেছে ইস্রায়েলী হামলা৷ অপরদিকে হামাস কোনো পরিস্থিতিতেই ইস্রায়েলের উপর রকেট আক্রমণ বন্ধ করেনি৷ ইস্রায়েলী তরফে হামাসের রকেটে প্রাণ হারিয়েছে তিনজন সাধারণ নাগরিক৷ এই তিন সপ্তাহে ইস্রায়েলে এসে পড়েছে হামাসের ৭০০-র বেশী রকেট৷

যুদ্ধবিরতির নানা শর্ত

ইস্রায়েলী প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করার সময়েই বলেছেন, যে ইস্রায়েলী সৈন্যরা আপাততঃ গাজা স্ট্রিপেই থাকবে এবং হামাসের রকেট আক্রমণ পুরোপুরি বন্ধ হওয়ার পর তাদের সরিয়ে নেওয়া হবে৷ এবং সেই সরিয়ে নেওয়ারও কোনো নির্দ্দিষ্ট সময় উল্লেখ করেননি অলমের্ট৷ বলেছেন, যে সেটা হবে ইস্রায়েলের সুবিধা অনুযায়ী৷ এবং এর পর আরো সুর গরম করে বলেছেন, যে ইস্রায়েলের শত্রুরা যদি মনে করে থাকে, যে এই আঘাত যথেষ্ট নয়, তাদের যদি আরো যুদ্ধের আকাঙ্খা থাকে, তবে ইস্রায়েলও সেজন্য তৈরী, এবং পুনরায় বলপ্রয়োগ করতে দ্বিধা করবে না৷

হামাসের প্রতিক্রিয়া

হামাসের লেবানন-স্থিত উচ্চপদস্থ আধিকারিক ওসামা হামদান বলেছেন, যে যতোদিন ইস্রায়েলী সৈন্যরা গাজায় থাকছে, ততোদিন হামাস যুদ্ধবিরতির তোয়াক্কা করবে না৷ ইতিপূর্বে তাঁর দাবী ছিল, যে ইস্রায়েল গাজা স্ট্রিপের অবরোধ তুলে নেবে এবং সীমান্ত পারাপার কেন্দ্রগুলি খুলে দেবে৷ সব কিছু বিচার করলে ধরে নেওয়া যেতে পারে, যে হামাস রকেট ছোঁড়া বন্ধ করবে না, কেননা সেটা তাদের কাছে এখন জয়-পরাজয়ের প্রশ্ন৷ অলমের্টের ঘোষণার পরেও গাজা স্ট্রিপ থেকে ইস্রায়েলের দিকে অন্ততঃ আটটি রকেট ছোঁড়া হয়েছে৷

মিশরের মধ্যস্থতা

ইস্রায়েল এবং হামাস পরষ্পরের সঙ্গে কথা বলে না৷ যেটুকু যোগাযোগ হয়, সেটা মিশরের মাধ্যমে৷ কিন্তু কায়রো, অর্থাৎ মিশরের প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারক এবার প্রাথমিকভাবে একটি মানবিকতামূলক যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টায় ছিলেন৷ দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলাপ-আলোচনা হবে পরে, অর্থাৎ ইস্রায়েলের নিরাপত্তা অথবা হামাসের সীমান্ত খোলার দাবী ইত্যাদি কন্টকিত প্রশ্নগুলি আপাততঃ বাদ দেওয়া হবে৷ কিন্তু ইস্রায়েল তার নিজস্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী মুবারকের তড়িঘড়ি আয়োজিত শর্ম-এল-শেইখ আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আগেই যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে বসল৷ ওদিকে মার্কিণ যুক্তরাষ্ট্রেও চলেছে পালাবদলের পালা, বারাক ওবামা আগামী মঙ্গলবার শপথ নিতে চলেছেন৷ কাজেই বিদায়ী পররাষ্ট্রমন্ত্রী কন্ডোলিজা রাইস বস্তুতঃ একটি স্থায়ী এবং পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতির ডাক দিয়েই ক্ষান্ত থেকেছেন৷ সেই সঙ্গে মিশরের প্রতি শুভেচ্ছা৷