1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইসরায়েলে নির্বাচনের পর এবার সরকার গড়ার পালা

সঞ্জীব বর্মন১১ ফেব্রুয়ারি ২০০৯

মঙ্গলবারের সংসদ নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর ইসরায়েলের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কী হতে চলেছে, তা এখনো পুরোপুরি স্পষ্ট নয়৷ প্রেসিডেন্ট শিমন পেরেস আগামী সপ্তাহে দলগুলির সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে চান৷

https://p.dw.com/p/GryG
লিভনি না নেতানিয়াহু - কে গড়বেন আগামী সরকার?ছবি: picture-alliance/landov/DW-Montage

সিপি লিভনি এবং বিনয়ামিন নেতানিয়াহু – দুজনেই নির্বাচনে জয়ের দাবি করছেন৷ মনে রাখতে হবে, ইসরায়েলের ইতিহাসে কখনো কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় নি৷ এবারেও জোট সরকার ছাড়া কোনো উপায় নেই৷ ২৮টি আসন পেয়ে কাদিমা পার্টি ও ১৩টি আসন পেয়ে তাদের এতদিনকার জোটসঙ্গী লেবার পার্টির সংসদে প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই৷ ফলে তাদের প্রয়োজন আরও জোটসঙ্গীর৷ তবে আদর্শগতভাবে এই জোটের সঙ্গে অন্যান্য দলগুলির তেমন কোনো মিল নেই৷ কিন্তু ইসরায়েলের রাজনীতির ইতিহাসের দিকে তাকালে এমন সম্ভাবনা পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া যায় না৷ যদি সর্বোচ্চ আসনসংখ্যা পেয়েও শেষ পর্যন্ত লিভনিকে বিরোধী আসনে বসতে হয়, তা হবে এক ঐতিহাসিক ঘটনা৷

লিভনির পক্ষে জোট গঠন করা যতটা কঠিন, রক্ষণশীল লিকুদ দলের নেতা বিনয়ামিন নেতানিয়াহুর পক্ষে তা প্রায় ততটাই সহজ৷ কারণ তাঁর দল ২৭টি আসন পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও সবচেয়ে স্বাভাবিক জোটসঙ্গী হতে পারে কট্টর জাতীয়তাবাদী ‘ইসরায়েল বেইতেনু’ দল, যার নেতা আভিগদর লিবারমান৷ ঐ দল এবারের নির্বাচনে ১৫টি আসন পেয়েছে৷ দক্ষিণপন্থী সব দলই নেতানিয়াহুকে নেতা হিসেবে মেনে নিতে প্রস্তুত৷ সেক্ষেত্রে ঐ জোটের হাতে কমপক্ষে ৬৪টি আসন থাকতে পারে৷ লিবারমান অবশ্য লিভনির সঙ্গেও আলোচনা করেছেন৷ বুধবারই তিনি নেতানিয়াহুর সঙ্গে আলোচনা করবেন৷ পর্যবেক্ষকদের মতে, আগামী সরকার গড়ার চাবিকাঠি লিবারমানের হাতে৷

লিভনি ইতিমধ্যে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী নেতানিয়াহুর উদ্দেশ্যে এক জাতীয় ঐক্য সরকার গড়ার ডাক দিয়েছেন৷ কিন্তু নেতানিয়াহু তা প্রত্যাখ্যান করেছেন৷

এই অবস্থায় ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট শিমন পেরেসকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তিনি কাকে প্রথমে সরকার গড়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাবেন৷ যিনিই দায়িত্ব পান না কেন, তাঁকে ৪২ দিনের মধ্যে সরকার গড়তে হবে৷ আগামী সপ্তাহে পেরেস আগামী সরকার গড়ার বিষয়ে বিভিন্ন দলের সঙ্গে আলোচনা করবেন৷

নির্বাচনের পর ইসরায়েলের সম্ভাব্য রাজনৈতিক চালচিত্র দেখে ফিলিস্তিনিরা সামগ্রিকভাবে বেশ হতাশ, কারণ রক্ষণশীল ও কট্টরপন্থী শিবিরই সবেচেয়ে বেশী ভোট পেয়েছে৷ শান্তি প্রক্রিয়া ও ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে শান্তি আলোচনার প্রশ্নে এই শিবির মোটেই তেমন আগ্রহী নয়৷ ফিলিস্তিনি সরকার অবশ্য মনে করছে, যে যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক না কেন, তাদের আন্তর্জাতিক কাঠামোর আওতায় শান্তি আলোচনায় বসতেই হবে৷ ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, রক্ষণশীল শিবির ক্ষমতায় এলেও তিনি চিন্তিত হবেন না৷ প্রধানমন্ত্রী সালাম ফায়াদও বলেছেন, যে ইসরায়েলকে সব আন্তর্জাতিক চুক্তি মেনে চলতে হবে৷ সরকারী স্তরে এমন প্রত্যাশা থাকলেও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে কিছুটা নৈরাশ্য দেখা যাচ্ছে বৈকি৷ তাদের কাছে এই নির্বাচনে ইসরায়েলী ভোটাররা দক্ষিণপন্থীদের সমর্থন জানিয়েছে – অর্থাৎ শান্তির বিরুদ্ধে৷