1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইসরায়েলে অস্ত্র বিক্রির অভিযোগে জার্মানির বিরুদ্ধে মামলা

৩১ মে ২০২৪

মানবাধিকার আইনজীবী আলেকজান্ডার শোয়ারৎস ডিডাব্লিউকে বলেছেন, জার্মানির কাছ থেকে পাওয়া অস্ত্র দিয়ে যে ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধাপরাধ করছে, তা বিশ্বাস করার ‘যৌক্তিক কারণ' আছে৷

https://p.dw.com/p/4gU1M
ডিডাব্লিউর মাইক্রোফোনের সামনে দাঁড়িয়ে আলেকজান্ডার শোয়ারৎস
শোয়ারৎস বলেন, সম্ভাব্য অপরাধের প্রমাণ হিসেবে ভিডিও, ছবি ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য সংগ্রহ করেছে তার সংস্থা৷ছবি: DW

ইসরায়েলে অস্ত্র পাঠিয়ে জার্মান সরকার আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে বলে ডিডাব্লিউর প্রধান রাজনৈতিক প্রতিবেদক নিনা হাসেকে বৃহস্পতিবার দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান শোয়ারৎস৷ তিনি বার্লিনভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন ‘ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর কনস্টিটিউশনাল অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস' বা ইসিসিএইচআর এর ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস অ্যান্ড অ্যাকাউন্টেবিলিটি প্রোগ্রামের ডেপুটি প্রোগ্রাম ডাইরেক্টর৷

অস্ত্র রপ্তানি বন্ধের আশায় ইসিসিএইচআর বার্লিনের ফেডারেল আদালতে জার্মান সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করছে৷

শোয়ারৎস বলছেন, ইসরায়েলকে দেওয়া জার্মানির অস্ত্রের মধ্যে আছে বাজুকা রকেট লঞ্চার, গোলাবারুদ ও ট্যাঙ্ক ইঞ্জিন৷

ইসিসিএইচআর-এর কাছে ‘বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে যে, এই ধরণের অস্ত্র দিয়ে ইসরায়েল গাজার বেসামরিক মানুষের বিরুদ্ধে অপরাধ করছে৷ এসব অপরাধের মধ্যে আছে যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ, যা সম্প্রতি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রধান প্রসিকিউটর নিশ্চিত করেছেন,'' ডিডাব্লিউকে বলেন শোয়ারৎস৷

ইসরায়েল যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে তারা হামাসের বিরুদ্ধে লড়ছে৷ যুক্তরাষ্ট্র, ইইউসহ আরও অনেকে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন মনে করে৷

শোয়ারৎস বলেন, সম্ভাব্য অপরাধের প্রমাণ হিসেবে ভিডিও, ছবি ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য সংগ্রহ করেছে তার সংস্থা৷ ‘‘আমরা জাতিসংঘ, হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিবেদন সংগ্রহ করেছি যেগুলোতে অনেক ঘটনার বর্ণনা আছে,'' জানান তিনি৷

মানবাধিকার বিষয়ক এই আইনজীবী বলেন, ইসরায়েলের আত্মরক্ষার একটি ‘সহজাত অধিকার' রয়েছে৷ তবে, ‘ইসরায়েলকে মানবাধিকার বিষয়ক আইনকে সম্মান দেখাতে হবে, যেটা আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে মনে হয় যে, তারা সেটি করছে না,'' বলেন শোয়ারৎস৷

২০২৩ সালে জার্মানি ইসরায়েলকে ৩২৬.৫ মিলিয়ন ইউরোর অস্ত্র দিয়েছে৷ এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের পরেই জার্মানির অবস্থান৷

জার্মান আইন অনুযায়ী ‘যুদ্ধাস্ত্র' বলতে ট্যাংক, বোমা এবং মিসাইল বোঝায়৷ এই সংজ্ঞায়, জার্মানি ইসরায়েলে যে অস্ত্র রপ্তানি করেছে তার মাত্র দুই শতাংশ যুদ্ধাস্ত্র৷ ইসিসিএইচআর বার্লিনের আদালতে যে মামলা করেছে সেখানে এই অস্ত্রগুলোই বিবেচ্য হবে৷

রপ্তানি করা বাকি ৯৮ শতাংশ অস্ত্রের ব্যাপারে ফ্রাঙ্কফুর্টের আরেক আদালতে মামলার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলেও জানান শোয়ারৎস৷ ডিডাব্লিউকে তিনি বলেন, জার্মানি যে ইতিমধ্যে ইসরায়েলে যুদ্ধাস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করেছে সেই তথ্য তাদের কাছে আছে৷ তবে যে কোনো সময় আবার এটি শুরু হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন শোয়ারৎস৷

জেডএইচ/এসিবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান