1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইসরায়েলী বাহিনী এগিয়ে যাচ্ছে গাজার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার দিকে

ফাহমিদা সুলতানা১৩ জানুয়ারি ২০০৯

সেই সঙ্গে অব্যাহত রয়েছে হামাস সদস্যদের ওপর বিমান ও স্থল হামলা৷ গাজা অভিযানের জন্যে রিজার্ভ বাহিনী নিয়োজিত করেছে ইসরায়েল৷

https://p.dw.com/p/GWzd
গাজাছবি: AP

এখন ইসরায়েলের লক্ষ্য গাজার ঘন বসতিপূর্ণ এলাকা৷ সেভাবেই এগুচ্ছে সামনের দিকে৷ সেই সঙ্গে অব্যাহত রয়েছে হামাস সদস্যদের ওপর বিমান ও স্থল হামলা৷ গাজা অভিযানের জন্যে রিজার্ভ বাহিনী নিয়োজিত করেছে ইসরায়েল৷ তবে ইসরায়েলী বাহিনী গাজা সহ অন্যান্য শহরে তৃতীয় দফায় হামলা বৃদ্ধির কথা অস্বীকার করেছে৷

একদিকে ইসরায়েলী সামরিক বাহিনী ২৫টি লক্ষ্যবস্তুর বিরুদ্ধে বিমান হামলা অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছে, অন্যদিকে হামাসের প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল হানিয়া সোমবার এক বার্তায় সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে এই সংঘাত গাজাবাসীদের নতুন ভবিষ্যৎ দেবে৷ হামাসের আল আকসা টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে হানিয়া বলেন, বিজয় আসবে ধৈর্য্যের মধ্যে দিয়ে৷ তিনি বলেন, গাজাবাসীরা তাদের ধৈর্য্য দিয়ে নতুন ভবিষ্যৎ গড়ছে৷ ২৭-শে ডিসেম্বর, ইসরায়েল গাজা আগ্রাসন শুরু করার পর, হানিয়া এই নিয়ে দ্বিতীয়বার টেলিভিশনে ভাষণ দিলেন৷

ফিলিস্তিনী মেডিকেল সূত্রগুলো জানিয়েছে, ইসরায়েলী হামলায় এই পর্যন্ত ৯০৮ জন ফিলিস্তিনী প্রাণ হারিয়েছেন৷ যাদের মধ্যে ২৭৭ টিই শিশু৷ ওদিকে ১৩ জন ইসরায়েলীর মৃত্যুর কথা জানিয়েছে ইসরায়েল৷ ইসরায়েল গাজায় আন্তর্জাতিক সাংবাদিকদের ঢোকার অনুমতি না দেয়ায় মৃতের সঠিক সংখ্যা নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না৷ গাজায় ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছানোর জন্যে প্রতিদিনের ৩ ঘন্টার যুদ্ধ বিরতি যেমন রয়েছে, তেমনই ভয়াবহ ইসরায়েলী আগ্রাসনও চলছে৷

Kämpfe im Gazastreifen
ইসরায়েলী বিমান হামলাছবি: AP

এদিকে কায়রোতে মিশর এবং হামাসের মধ্যে কুটনৈতিক প্রচেষ্টার অগ্রগতি হচ্ছে বলে জানা গেছে৷ মিশরের প্রেসিডেন্ট হোসনী মোবারকের সঙ্গে বৈঠকের পর মধ্যপ্রাচ্য দূত টনী ব্লেয়ার বলেন, আমরা একসঙ্গে একটি চুক্তিতে উপনীত হতে পারবো এই ব্যাপারে আমরা আশাবাদী তবে এটা বাস্তবায়ন করা খুব কঠিন৷

অন্যদিকে, গাজায় ইসরায়েলী আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ৷ ফিলিস্তিনীদের ওপর ইসরায়েলী হামলার অভিযোগ তদন্তে একটি মিশন পাঠানোরও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে৷ পরিষদের ৪৭ জন সদস্যের মধ্যে এই সিদ্ধান্তের পক্ষে ৩৩টি ভোট পরে৷ ইউরোপের ১৩টি দেশ ভোট দানে বিরত থাকে৷ কানাডা একমাত্র দেশ যে এর বিরুদ্ধে ভোট দেয়৷ ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের সদস্য না হওয়ায়, তারা ভোট দেয়নি৷