1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইসরায়েল এবং জার্মানির কূটনৈতিক সম্পর্কের ৪০ বছর

মারিনা জোয়ারদার১২ মে ২০০৫

গতকাল ছিল ইসরায়েল এবং জার্মানির মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্হাপনের ৪০তম বর্ষপুর্তি৷ এই চারটি দশকে দু দেশের মধ্যেকার জটিল সম্পর্কে বহুজট খুলে গেছে, কাছাকাছি এসেছে জার্মানি আর ইসরায়েলের মানুষ৷ দীর্ঘ সময়ের পর সম্পর্কের জটগুলো ধীরে ধীরে খুলেছে ঠিকই কিন্তু দু দেশের সম্পর্ক পুরোপুরি স্ব

https://p.dw.com/p/DPw6

াভাবিক হয়েছে একথা বলা যাবে না৷ রাজনৈতিকভাবে জার্মানি হল ইউরোপে ইসরায়েলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী এবং অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগী হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরই তার স্হান

জার্মান চ্যান্সেলর গেরহার্ড শ্রোডার গতকাল জানান ইসরায়েল এবং জার্মানি সত্যিই একে অপরের বেশ কাছাকাছি আসতে সক্ষম হয়েছে৷জার্মান প্রেসিডেন্ট হর্স্ট কোলার এবং ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট মোশে কাটজাভ একমত যে এই সময়কালে দুটি দেশের মধ্যেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্হাপিত হয়েছে৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ২০ বছর পর, ১৯৬৫ সালের ১২ইমে প্রথমবারের মত ইসরায়েল এবং জার্মানির মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্হাপিত হয়েছিল৷

জার্মান চ্যান্সেলর শ্রোডার, প্রেসিডেন্ট কোলার এবং ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট কাটজাভ এই বিষয়ের প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করে বলেন নাত্ সীদের শাসনামলে ইহুদি নিধনযজ্ঞের কারণে জার্মানি এবং ইসরায়েলের সম্পর্কের বিশেষ এক চরিত্র রয়েছে৷

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের এই নিধনযজ্ঞের পরেও অনেক ইসরায়েলী জার্মানি এবং জার্মানদের সাথে চলাফেরায়, মেলামেশায় আগ্রহী৷ আজ জার্মানি এবং ইসরায়েল শুধু বন্ধুই নয় একে অপরের সহযোগিও৷ প্রেসিডেন্ট কোলার জার্মান পত্রিকা বিল্ড-এর একটি কলামে লিখেছেন জার্মানি এবং ইসরায়েল শুধু একে অপরের সহযোগীই নয় -- এ দুটি দেশ একে অপরের ওপর সবক্ষেত্রে নির্ভরও করতে পারে৷ এই দুই প্রেসিডেন্টের ভাষ্য অনুযায়ী কূটনৈতিক সম্পর্কের ৪০ বর্ষপুর্তি উপলক্ষে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার কোন কারণ নেই -- আগামী দিনগুলোতেও দু দেশের মধ্যে সম্পর্ককে আরোও জোরালো করার উদ্যোগ নিতে হবে৷

জার্মান সংবাদপত্র বিল্ড জানিয়েছে, মে মাসের শেষে ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট মোশে কাটজাভ জার্মানি সফর করবেন৷ প্রেসিডেন্ট কাটজাভ জানান, দুটি দেশের মধ্যে অনেক কাজ এখনো বাকি আছে৷ তিনি আরো বলেন, আমাদের ইতিহাস প্রমান করেছে তীব্র বিদ্বেষ, লক্ষাধিক মানুষের হত্যাযজ্ঞের পরও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা সম্ভব৷ তিনি মনে করেন, দুটি দেশের সম্পর্কের এক অভিনব বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্ব রয়েছে৷ ব্যক্তিগতভাবে তিনি মনে করেন, ৪০ বছর আগেও জার্মানিতে আসার কথা বা জার্মানদের সাথে চলাফেরার কথা তার কাছে ছিল কল্পনাতীত৷