1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরানে দমনপীড়নের বিচারে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ দাবি

১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

কুর্দি নারী মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর সরকারবিরোধী প্রতিবাদ কর্মসূচি দমনের ক্ষেত্রে ইরান আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করেছে বলে অভিযোগ করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল৷

https://p.dw.com/p/4WIUM
কুর্দি নারী মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর সরকারবিরোধী প্রতিবাদ কর্মসূচি দমনের ক্ষেত্রে ইরান আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করেছে বলে অভিযোগ করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল৷
চুল হিজাবে ঠিকভাবে না ঢাকায় মাহসাকে গতবছরের ১৩ সেপ্টেম্বর আটক করেছিল ইরানের নীতি পুলিশ (ফাইল ফটো)ছবি: Kenzo Tribouillard/AFP

গত কয়েক দশকের ‘নিপীড়ন এবং অসমতার বিরুদ্ধে' দাঁড়ানো প্রতিবাদকারীদের উপর ইরানি কর্তৃপক্ষ ‘অকথ্য নৃশংসতা' চালিয়েছে বলে মনে করেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের জুলিয়া ডুকরো৷ 

চুল হিজাবে ঠিকভাবে না ঢাকায় মাহসাকে গতবছরের ১৩ সেপ্টেম্বর আটক করেছিল ইরানের নীতি পুলিশ৷ ১৬ সেপ্টেম্বর তার মৃত্যুর ঘোষণা আসে৷ তার আগে আমিনি হাসপাতালে কোমায় ছিলেন৷ মাহসার এই অস্বাভাবিক মৃত্যু গোটা ইরানে প্রতিবাদের সূচনা করে৷ 

অ্যামেনিস্টে সেই ঘটনার বিচারে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে৷ বাস্তবে, এটা জার্মানির মতো দেশগুলোর প্রতি আহ্বান, যেখানে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের সুযোগ রয়েছে এমনকি যদি ঘটনাটি জার্মানি বা যে দেশে বিচার হচ্ছে সেখানকার না-ও হয়, তারপরও৷

ডুকরো বলেন, ‘‘গত বছর জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে ইরান ইস্যুতে তদন্ত কমিশন গঠনে ভূমিকা রেখেছিল জার্মান সরকার৷ (মাহসা) আমিনির মৃত্যুর এক বছর পর আমরা ইরানে মানবাধিকারের প্রতি জার্মান সরকারের সম্মান প্রদর্শনের পরিষ্কার প্রতিশ্রুতি চাই৷''

ইরানি কর্তৃপক্ষ মাহসা আমিনির মৃত্যুর প্রতিক্রিয়ায় দেশজুড়ে সৃষ্ট প্রতিবাদ কর্মসূচি নির্মমভাবে দমনের চেষ্টা করে৷ মানবাধিকার সংস্থাগুলোর হিসেবে, সরকারি দমনপীড়নে অন্তত ৫০০ প্রতিবাদকারী নিহত হয়েছেন এবং বেশ কয়েকহাজার আহত হয়েছেন৷ এছাড়া ইরান সাত প্রতিবাদকারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে৷

এদিকে, এক নিরব প্রতিবাদের অংশ হিসেবে বুধবার অনেক ইরানি নারী ইসলামিক ড্রেস কোড অনুসরণ করেননি৷

এআই/এসিবি (অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল)