ইমরানের গ্রেফতার ও পাকিস্তানের চ্যালেঞ্জ
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের গ্রেফতারে দেশজুড়ে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে তার রাজনৈতিক দল৷ এ অবস্থায় অর্থনৈতিক সংকটে ধুকতে থাকা পরমাণু শক্তিধর দেশটি আরো নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লো৷
অর্থনৈতিক সংকট
২২ কোটি মানুষের দেশ পাকিস্তানে এখন মূল্যস্ফীতি ৩৬ শতাংশের বেশি৷ খাদ্যে মূল্যস্ফীতি ৪০ শতাংশ৷ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদের হার রেকর্ড ২১ শতাংশে পৌঁছেছে৷ কোনো বিনিয়োগ নেই৷ বাড়ছে দারিদ্র্য৷ তার সঙ্গে যুক্ত হলো নতুন এই রাজনৈতিক সংকট৷
আটকে আছে আইএমএফ-এর অর্থ
গত নভেম্বর থেকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফ-এর ঋণ ঝুলে আছে৷ বৈদেশিক রিজার্ভ সাড়ে চার বিলিয়ন ডলারে এসে ঠেকেছে৷ অর্থাৎ এক মাসের পণ্য আমদানির অর্থ আছে তাদের কাছে৷
নির্বাচন নিয়ে বিরোধ
পাকিস্তানে বিচার বিভাগের সঙ্গে সরকারের সাংবিধানিক বিরোধ স্পষ্ট হচ্ছে৷ রাজনৈতিকভাবে দেশটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রদেশ পাঞ্জাবে মে মাসের মধ্যে নির্বাচন দেবার আদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট৷ প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সরকার তা নাকচ করে দিয়েছে৷
রাজনৈতিক চাপ
দুর্নীতির অভিযোগে গত বছর প্রধানমন্ত্রিত্ব হারানো ইমরান খান ও তার দল বর্তমান সরকারের ওপর রাজনৈতিক চাপ অব্যাহত রেখেছে৷ গত মার্চ মাসে ইমরানকে গ্রেফতারের জন্য কয়েকবার চেষ্টা চালিয়েও ইমরান সমর্থকদের বাধার মুখে করতে পারেনি৷
ক্ষমতাশালী সামরিক বাহিনী
পাকিস্তানের সরকারগুলো সাধারণত সেনাসমর্থনে ক্ষমতায় থাকে৷ দেশটির ৭৫ বছরের ইতিহাসে মিলিটারি সরাসরি ক্ষমতায় ছিল ৩০ বছর৷ মঙ্গলবার গ্রেফতার হবার একদিন আগে ইমরান একজন দায়িত্বরত সেনা অফিসারের সমালোচনা করেছিলেন৷
জঙ্গিবাদের উত্থান
পাকিস্তানে জঙ্গিবাদও একটা বড় সমস্যা৷ সম্প্রতি কয়েকটি আক্রমণের পর সরকার বলছে, তারা জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আবারো অপারেশন শুরু করবে৷ সবশেষ ২০১৪ সালে জঙ্গিবাদ বিরোধী অভিযান চালাতে সরকারের বিপুল অর্থ ব্যয় হয়েছে এবং প্রায় দশ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে৷