1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজইন্দোনেশিয়া

ইন্দোনেশিয়ায় উৎপাদন প্রক্রিয়ায় সমন্বয়ের অভিনব উদ্যোগ

২১ সেপ্টেম্বর ২০২২

কৃষিক্ষেত্রেও আধুনিক ব্যবস্থাপনা ও তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার উল্লেখযোগ্য উন্নতি আনতে পারে৷ ইন্দোনেশিয়ায় এক কোম্পানি সব পক্ষকে শামিল করে এমনই এক সমাধানসূত্র গড়ে তুলেছে৷ কর্ণধার নিজেই সেই সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরছেন৷

https://p.dw.com/p/4H8BX
Enlaces Sendung
ছবি: Tabea Mergenthaler/DW

কোলটিভা এক প্রযুক্তি কোম্পানি৷ প্রায় পাঁচ লাখ ক্ষুদ্র চাষির সঙ্গে কোম্পানিটি কাজ করে৷ একেবারে উৎস থেকে শুরু করে বাজার হয়ে ক্রেতার হাতে পৌঁছানো পর্যন্ত কোনো কৃষিপণ্যের উপর নজর রাখে এই প্রতিষ্ঠান৷

মানফ্রেড বোরার কোলটিভা কোম্পানির সহ প্রতিষ্ঠাতা এবং কর্ণধার৷ সমন্বিত পরিষেবা ও প্রযুক্তি কোম্পানি হিসেবে এই প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ভ্যালু চেনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজ করে৷ নিজের অভিজ্ঞতার বয়ান দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘২০০৬ সালে আমার মাস্টার থিসিস নিয়ে কাজ শুরু করি৷ কখনো ফিরে তাকাই নি৷ এটা অসাধারণ এক দেশ৷ সবার হাসিমুখ দেখা যায়৷ ইউরোপের একেবারে বিপরীত চিত্র৷ দীর্ঘ শীতকালে ভোর ছয়টায় ট্রামে উঠতে হয় না৷ এখানকার পরিবেশ একেবারেই আলাদা৷''

পাম ফল অয়েল পাম গাছে গজায়৷ তারপর সেই পাম প্রক্রিয়াজাত করে তেল বার করা হয়৷ ভ্যালু চেনে বিভিন্ন পর্যায়ে পাম অয়েল মেশানো হয়৷ এমন মিশ্রণ প্রক্রিয়ার কারণে আলাদা করে পাম চিহ্নিত করা অত্যন্ত কঠিন৷

এখনো পর্যন্ত শুধু ইন্দোনেশিয়ায়ই এক লাখ বিশ হাজারেরও বেশি পাম চাষি কোম্পানিতে নথিভুক্ত হয়েছেন৷ সেগুলি সবই ছোট আকারের প্লান্টেশন৷ মাঠ পর্যায়ে কোম্পানির এজেন্টরা সেই সব প্লান্টেশনে গিয়ে চাষিদের সঙ্গে কথা বলে গোটা প্রেক্ষাপট বোঝার কাজ করেন৷ কোনো ফার্ম যে সংরক্ষিত অরণ্যের মধ্যে অবস্থিত নয়, গত দশ বছর ধরে বন নিধনে জড়িত নয় এবং ফার্মের শিশু ও শ্রমিকদের শোষণ করে না – সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে হয়৷

অতীতে ছোট ছোট গোষ্ঠী ছাড়া কেউ পরিবেশ নিয়ে মাথা ঘামাতো না৷ জনসংখ্যার বড় অংশ সস্তায় কোনো পণ্য পেলেই খুশি হতো৷ সস্তার পাম অয়েল অনেকটা ফ্রোজেন পিৎসার মতো, যা সবাইকে খুশি করে৷

শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এই যাত্রাপথে কোম্পানিটি সবাইকে শামিল করতে চায়৷ চূড়ান্ত ক্রেতা, খুচরা বিক্রেতা, পণ্যের উৎপাদক, শোধনাগার এবং মিল ও এজেন্ট – কেউ বাদ পড়ে না৷ এদের মধ্যে কেউ একজন এই উদ্যোগে শামিল না হলে, অর্থাৎ পণ্য শনাক্ত করার যাত্রাপথে অংশ না নিলে শৃঙ্খল ভেঙে যায়৷

ইন্দোনেশিয়ায় কৃষিতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার

প্রায়ই কোনো বহুজাতিক কোম্পানিকে দিয়েই চুক্তি শুরু হয়৷ কোনো ব্র্যান্ড কোম্পানির কাছে এসে বলে, ‘‘দয়া করে আমাদের সাপ্লাই চেন নথিভুক্ত করতে আমাদের সাহায্য করুন৷'' এ ক্ষেত্রে ব্যবসার মূলে রয়েছে যাচাই করা তথ্য৷

শুরু থেকেই সর্বব্যাপী কোম্পানি গড়ে তোলার প্রয়োজন জানা ছিল৷ শুধু চাষি বা ব্যবসায়ীর জন্য সফ্টওয়্যার তৈরি করলেই চলে না৷ সার্বিক কাঠামো জুড়ে প্রণালী গড়ে তোলা জরুরি৷ এমন এক প্ল্যাটফর্মের প্রয়োজন, যা কৃষিপণ্যের সরবরাহকারী, চাষি, মিল মালিক থেকে শুরু করে ব্র্যান্ডদেরও সাহায্য করে৷

ইন্দোনেশিয়ায় প্রযুক্তিবিদের কোনো অভাব নেই৷ অর্থাৎ স্টার্টআপ কোম্পানিগুলি ফুলেফেঁপে উঠছে৷ সে দেশের পরিবেশ কোম্পানিগুলির উদ্ভাবনী শক্তির বিকাশ ও নতুন কিছু সৃষ্টি করতে সহায়তা করে৷ আর কী করা যায়, আরও উন্নতি কীভাবে সম্ভব – কোম্পানি সর্বদা সে বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করছে৷ কম্পিউটার বা কর্মক্ষেত্র থেকে দূরে থাকলেই এমন আইডিয়া বেশি আসে৷ সেখানে নির্দিষ্ট বিষয়ের সমাধানের জন্য ব্যস্ত থাকতে হয়৷

নিজের স্বপ্নের প্রতি অনুগত থাকা উচিত৷ প্রবৃদ্ধি ও আয়ই সবকিছু নয়৷ সফ্টওয়্যার ডেভেলাপমেন্ট কোম্পানি হিসেবে বাড়তি কিছু দিতে হলে সেই অনুযায়ী অ্যাপ্লিকেশন সৃষ্টি করতে হবে৷

ম্যার্গেনটালার/মাটেস/এসবি