ইন্দোনেশিয়ার নিখোঁজ বিমান বিধ্বস্তের আশঙ্কা
৯ জানুয়ারি ২০২১শনিবার সুকর্নো-হাত্তা বিমানবন্দর থেকে পশ্চিম কালিমান্তান প্রদেশের রাজধানী পন্টিয়ানাক এর উদ্দেশ্যে প্লেনটি যাত্রা করে৷ বোয়িং ৭৩৭-৫০০ মডেলের বিমানটি উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে৷ সেসময় এটি ১০ হাজার ফুট উচ্চতায় ছিল৷ শ্রিভিজয়া এয়ার এর ফ্লাইটটিতে অর্ধশতাধিক যাত্রী ছিল বলে জানা গেছে৷ ফ্লাইটটিতে মোট ৬২জন আরোহী ছিলেন৷
বিমানটির ভাগ্যে কী ঘটেছে সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি৷
তবে দেশটির জাতীয় অনুসন্ধান ও উদ্ধার সংস্থার উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ব্যামব্যাং সুরইও আজি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, বিমানটি সম্ভবত ভূপাতিত হয়েছে৷ তিনি বলেন, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর যেসব স্থানে বিমানটি পড়তে পারে সেসব জায়গায় তাদের দল অনুসন্ধান চালাচ্ছে৷
ইন্দোনেশিয়র পরিবহণমন্ত্রী বুডি কারইয়া সুমাডি জানান, জাকার্তার উত্তরে লাংকাং দ্বীপ ও লাকি দ্বীপের মধ্যবর্তী এলাকায় অনুসন্ধান কাজ চলছে৷ চারটি যুদ্ধ জাহাজসহ বেশ কয়েকটি উদ্ধারকারী জাহাজ অনুসন্ধান চালাচ্ছে৷
এর আগে বিমান নিখোঁজ হওয়ার সংবাদটি নিশ্চিত করে সরকারের মুখপাত্র আদিতা ইরাবতি জানিয়েছেন, এই বিষয়ে তদন্ত চলছে৷ সরকারের অনুসন্ধান কমিটি, উদ্ধারকারী সংস্থা ও জাতীয় যোগাযোগ নিরাপত্তা কমিটি সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করছে৷
এয়ারলাইন থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ফ্লাইটটিতে ৫৬ জন যাত্রী, দুইজন পাইলট ও চারজন ক্রু সদস্য ছিলেন৷
সুকর্নো-হাত্তা বিমানবন্দর এর মুখপাত্র হাইরুল আনোয়ার বলেছেন, ল্যানক্যাং দ্বীপের কাছকাছি পৌঁছানোর পর প্লেনটির সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়৷ এদিকে সমুদ্র থেকে কিছু ভগ্নাংশ উদ্ধারের ছবি প্রচার করা হয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যমে৷ সিএনএন ইন্দোনেশিয়াকে সেখানকার একজন নিরাপত্তাকর্মী কিছু তার ও ধাতব বস্তু খুঁজে পাওয়ার তথ্য জানিয়েছেন৷
যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের একটি টহল নৌকা সম্ভাব্য ‘দুর্ঘটনাস্থল’ থেকে মানব দেহের কিছু অংশ খুঁজে পেয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম কম্পাস৷
এফএস/আরআর (ডিপিএ, রয়টার্স)