1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইন্দোনেশিয়াতে শামান আটক

৯ আগস্ট ২০১৮

আমাদের যেমন ওঝা, ইন্দোনেশিয়ায় তেমনই রয়েছে শামানদের অস্তিত্ব৷ কেউ তাদের বলে জাদুকর, কেউ বা কবিরাজ৷ তবে এবার, চিকিৎসার নামে এক তরুণীকে যৌনদাসী হিসেবে আটকে রাখার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ইন্দোনেশীয় এক শামানকে৷

https://p.dw.com/p/32tFA
ছবি: Reuters/S. Whiteside

শামানের কাজও মৃত মানুষের আত্মা নিয়ে, অনেকটা ওঝা অথবা ভুডুর মতো৷ তবে এদের সঙ্গে শামানদের পার্থক্য হলো – এরা নাকি মন্দ আত্মার বিরুদ্ধে লড়াই করে, তাদের কাজে লাগায়৷ মূলত এবার ‘আধ্যাত্মিক' পদ্ধতিতে চিকিৎসা করে থাকে৷ ইন্দোনেশিয়া, ভারত, নেপালসহ বিশ্বের বহু দেশেই এই চিকিৎসা পদ্ধতির প্রচলন রয়েছে৷

অথচ ইন্দোনেশিয়ার সোলাওয়েসি প্রদেশের বাজুংগান গ্রাম যে ঘটনাটা ঘটেছে, তাতে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে অন্য এক সত্য৷ সেখানকার ৮৩ বছর বয়স্ক এক শামানকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ৷ পুলিশের কথায়, ১৩ বছর বয়স্ক এক তরুণীকে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে যৌনদাসী হিসেবে নির্যাতন করে আসছিল ঐ শামান৷

পুলিশ জানায়, ২০০৩ সালে নির্যাতিত মেয়েটির বয়স ছিল কেবল ১৩ বছর৷ চিকিৎসার জন্য জাগো নামের এই শামানের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি৷ স্থানীয় পুলিশ প্রধান ইকবাল আল-কুদুসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, চিকিৎসার নামে জাগো তরুণীটিকে এই বলে প্রতারিত করে যে তাঁর (মেয়েটির) ছেলেবন্ধুর ‘আত্মা' শামানের শরীরের ওপর ভর করে তার সাথে দেখা করতে আসে৷ এ কথা বলে বছরের পর বছর মেয়েটিকে ধর্ষণ করছিল শামান জাগো৷

বাজুংগান গ্রামের পাশ্ববর্তী জঙ্গল থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশ প্রধান৷ তাঁর কথায়, ‘‘নির্যাতিত মেয়েটি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে এবং সে কারো সাথে কথা বলতে চাইছে না৷ তাই তার যত দ্রুত সম্ভব মানসিক চিকিৎসা প্রয়োজন৷''

এদিকে হারিয়ে যাওয়ার পর পরই মেয়েটির পরিবার স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করেথিল৷ কিন্তু সে সময় তাঁরা চিকিৎসক শামানের কাছে মেয়েটির বিষয়ে জানতে চাইলে তরুণীটি হারিয়ে গেছে এবং আর কখনোই ফিরবে না বলে তাঁদের জানায় জাগো৷

আরআর/ডিজি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য