1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইটালির আদালতে ২৩ সিআইএ এজেন্টের কারাদণ্ড

৫ নভেম্বর ২০০৯

ইটালির মিলান শহরের আদালত এক মুসলিম ইমামকে অপহরণের জন্য মার্কিন গুপ্তচর সংস্থার ২৩ জন এজেন্টকে কারাদণ্ড দিয়েছে৷ এই ধরণের ঘটনায় এই প্রথম এমন রায় দিল ইটালির কোন আদালত৷

https://p.dw.com/p/KOli
মিলানের আদালতে বক্তব্য রাখছেন আইনজীবী আর্মান্দো স্পার্তাছবি: AP

মামলার ঘটনা থেকে জানা গেছে ২০০৩ সালে আবু ওমর নামে মিশরের মুসলিম ইমামকে সিআইএ এজেন্টরা মিলান থেকে অপহরণ করে৷ সংবাদমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত ভিডিও চিত্রে দেখা যায় এজেন্টরা জোর করে তাকে গাড়িতে তোলে৷ এরপর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় জার্মানির রামস্টাইন এলাকায় অবস্থিত মার্কিন বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে৷ সেখান থেকে আবু ওমরকে মিশরে নিয়ে যাওয়া হয় এবং দীর্ঘ চার বছর ধরে তাকে সেখানে আটকে রাখা হয়৷ এসময় তার ওপর নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগ রয়েছে৷

বস্তুত গত কয়েক বছরে সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এজেন্টরা এভাবে অনেককেই ধরে নিয়ে গেছে৷ সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এভাবে যে কাউকে জোর করে ধরে অন্য কোন দেশে নিয়ে যাওয়া হত এবং সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ করা হত৷ এইসব ঘটনা নিয়ে মামলা হলেও সেগুলো চাপা পড়ে যায়৷ ইটালির আদালতের এই রায়ে সেগুলো আবারও জনসম্মুখে চলে আসার সম্ভাবনা তৈরি হল৷

Osama Hassan Mustafa Nasr, von der CIA entführter Imam
অপহৃত ইমাম আবু ওমরছবি: picture-alliance/dpa

আবু ওমরের মামলায় ২৬ জন মার্কিন নাগরিক এবং সাত জন ইটালির নাগরিককে আসামি করা হয়৷ এর মধ্যে ইটালিয়ান সিক্রেট সার্ভিস সিসমির প্রধান নিকোলো পোলারিও ছিলেন৷ তবে পরবর্তীতে তাঁকে সহ আরো তিন মার্কিন নাগরিককে কূটনৈতিক কারণে ক্ষমা প্রদর্শন করা হয়৷ মিলানের আইনজীবীরা অভিযুক্ত সিআইএ এজেন্টদের ফেরত নিয়ে আনার জন্য ইটালির সরকারের কাছে অনুরোধ করে৷ তবে রোম সেই অনুরোধে কর্ণপাত করেনি৷ এর আগে মার্কিন কর্তৃপক্ষও ওইসব এজেন্টদের ফেরত পাঠাতে অস্বীকৃতি জানায়৷

আদালতের রায়ে ২২ জন সিআইএ এজেন্টকে পাঁচ বছর করে এবং আরেক এজেন্টকে ৮ বছর কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে৷ এছাড়া ইটালির আরো দুই নাগরিককে ও কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে৷ বাকিদের মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত৷ এছাড়া ক্ষতিপূরণ হিসেবে আবু ওমরকে ১০ লাখ ইউরো দেওয়ার জন্য অভিযুক্তদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ মিলানের আদালতের এই সাহসী রায় কথিত সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধের নামে ভিন দেশের নাগরিকদের অত্যাচার করার বিরুদ্ধে একটি সাহসী পদক্ষেপ৷

প্রতিবেদক: রিয়াজুল ইসলাম, সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন