1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরো ২০২৪: নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সন্তুষ্ট জার্মানি

১৮ জুন ২০২৪

জার্মানির কর্মকর্তারা বলছেন, ইউরো কাপের প্রথম দিনগুলিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে তারা খুশি।

https://p.dw.com/p/4hAtL
মিউনিকের স্টেডিয়ামের বাইরে পুলিশ।
জার্মানি-জুড়ে ইউরো কাপের ম্যাচে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ছবি: Matthias Koch/picture alliance

ইউরো কাপ নিয়ে জার্মানির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাক্সিমিলান ক্যাল বলেছেন, ''নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঠিকঠাক কাজ করছে। এখনো পর্যন্ত অবাক করার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি।''

তবে সমস্যা যে হয়নি তা নয়। স্যাক্সনিতে দর্শক গ্যালারিতে একজনকে লক্ষ্য করে পুলিশ গুলি চালায়। কারণ, ওই ব্যক্তি একজনকে ছুরি দিয়ে আঘাত করেছিল। হামবুর্গে ডাচ সমর্থকরা যেখানে জড়ো হচ্ছিলেন, সেখানে একজন কুড়াল ঘোরাচ্ছিলেন। তা দেখে পুলিশ গুলি চালায়

তবে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই দুইটি ঘটনার সঙ্গে ইউরো কাপের কোনো সম্পর্ক নেই।

ইংল্যান্ড ও সার্বিয়ার সমর্থকদের ঝামেলা

তবে মুখপাত্র জানিয়েছেন, রোববার ইউরো কাপের ম্যাচের আগে ইংল্যান্ড ও সার্বিয়ার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।

তিনি জানিয়েছেন, ''সপ্তাহান্তে সমর্থকদের গুণ্ডামির ঘটনা ঘটেছে। তবে পুলিশ দ্রুত গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। সবচেয়ে বড় কথা, পুলিশ সতর্ক ছিল।''

পুলিশ জানিয়েছে, সার্বিয়ার একদল সমর্থক একটি রোস্তোরাঁয় বসে খাচ্ছিলেন। সেসময় ইংল্যান্ডের সমর্থকরা সেখানে জোর করে ঢুকতে চায়।

সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সমর্থকরা একে অন্যের দিকে চেয়ার ছুঁড়ছে। ওই রেস্তোরাঁর বাইরেটা সার্বিয়ার পতাকা দিয়ে সাজানো ছিল।

পুলিশ কর্তা পিটার বুথ সাংবাদিকদের বলেছেন, ''সার্বিয়ার সাতজন ও ইংল্যান্ডের একজন সমর্থককে আটক করা হয়েছে।''

তিনি বলেছেন, ''একজন সমর্থককে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়।তার মাথায় আঘাত লেগেছিল। পরে তিনি যাতে খেলা দেখতে যেতে পারেন, তার জন্য হাসপাতাল থেকে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।''

সংঘর্ষের পর ওই রেস্তোরাঁর বাইরে পুলিশকর্মীরা।
সার্বিয়া ও ইংল্যান্ড ম্যাচের আগে গুণ্ডাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ছবি: K. Hoeft/frontalvision/picture alliance

সোমবার ইংল্যান্ডের সমর্থকরা দাবি করেন, ম্যাচের পর তাদের ঘরে ফিরতে অনেক দেরি হয়েছে। কারণ উপযুক্ত পরিমাণ যানবাহন ছিল না।

ফ্রি লায়নস ফ্যান এমব্যাসি জানিয়েছে, ''খেলা শেষ হওয়ার তিনঘণ্টা পরেও সমর্থকদের স্টেশনে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। এটা মেনে নেয়া যায় না।''

জিএইচ/এসজি (ডিপিএ, এপি)