1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘‘ইউরো মুদ্রা আমাদের সমৃদ্ধির ভিত’’ - জার্মান চ্যান্সেলর ম্যার্কেল

৩১ ডিসেম্বর ২০১০

জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল তাঁর নববর্ষের বার্তায় অভিন্ন ইউরোপীয় মুদ্রা ইউরো’কে আরও শক্ত করে তোলার পক্ষে বক্তব্য রেখেছেন৷ একই সঙ্গে দেশবাসীদের কাছ থেকে নতুন বছরের দায়দায়িত্ব পালনে সংহতি আর সাহস কামনা করেছেন৷

https://p.dw.com/p/zrzg
Angela Merkel
জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলছবি: AP

বিদায়ী বছরে গুরুতর আর্থিক ও অর্থনৈতিক সংকটের সফল মোকাবিলা করেছে জার্মানি, স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ জার্মানি বরং এই সংকট থেকে বেশ শক্ত হয়েই বেরিয়ে আসতে পেরেছে৷ এবং তার কারণ - তিনি মনে করেন - সর্ব স্তরের মানুষের মিলিত উদ্যোগ৷ দক্ষিণ আফ্রিকায় বিশ্ব ফুটবল কাপে তরুণ ও বহু বর্ণিল জার্মান দলের কৃতিত্বের অনুষঙ্গ টেনে এনে তিনি বলেছেন, ‘‘আমাদের ফুটবল টিম দক্ষিণ আফ্রিকায় সেই সব গুণই দারুণভাবে দেখিয়ে দিল, যেগুলো আমাদের শক্তিশালী করে তোলে৷ তা হল: অধ্যবসায়, ও শৃঙ্খলা, ধ্যানধারণার ঐশ্বর্য এবং সর্বোচ্চ মানের প্রযুক্তি৷''

World Cup, Germany
দক্ষিণ আফ্রিকায় আমাদের ফুটবল টিম অধ্যবসায় ও শৃঙ্খলা, ধ্যানধারণার ঐশ্বর্য এবং সর্বোচ্চ মানের প্রযুক্তি তুলে ধরেছিল : ম্যার্কেলছবি: AP

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইউরো মুদ্রা নিয়ে সংকটকে চ্যান্সেলর ম্যার্কেল ইউরোপের জন্য এক বড় মাপের পরীক্ষা বলে উল্লেখ করেছেন৷ এ ব্যাপারে তাঁর বক্তব্য অবশ্য স্পষ্ট৷ ম্যার্কেল বলেন,‘‘ইউরো আমাদের শক্ত করতেই হবে৷ এ তো শুধুই আমাদের টাকার ব্যাপার নয়৷ মুদ্রার চেয়েও অনেক বেশি কিছু এই ইউরো৷ সৌভাগ্যের কথা, আমরা ইউরোপীয়রা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি৷ ঐক্যবদ্ধ ইউরোপ আমাদের শান্তি ও স্বাধীনতার গ্যারান্টি৷ ইউরো হল আমাদের সমৃদ্ধির ভিত৷''

প্রায় বিশ বছরে জার্মানিতে বেকার মানুষের সংখ্যা এখনকার মত এত নীচে আর নামেনি৷ তবুও নতুন বছরে তাঁর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হবে আরও বেশি মানুষকে কাজের সুযোগ করে দেওয়া, বলেন ম্যার্কেল৷ তাঁর জোর আহ্বান - সেই সব পরিবার যারা সব সময় এদেশেই থেকেছেন এবং যে সব অভিবাসী পরিবার এদেশে সম্পৃক্ত হয়েছেন, সমাজে তাদের মধ্যে সংহতি জোরদার করতে হবে৷

Euro
‘‘ইউরো মুদ্রা আমাদের সমৃদ্ধির ভিত’’ - জার্মান চ্যান্সেলর ম্যার্কেলছবি: picture alliance/dpa

আফগানিস্তানে জার্মান সৈনিকদের তৎপরতা প্রসঙ্গে চ্যান্সেলর ম্যার্কেল বিদায়ী বছরে সেখানে নিহত নয় জন সৈনিকের কথা স্মরণ করতে ভোলেননি৷ জার্মান সশসস্ত্র বাহিনীর কাঠামোগত সংস্কার, শিক্ষানীতির আরও প্রসারের অঙ্গীকার করেন তিনি৷ ম্যার্কেল বলেন, আগামী দিনগুলোর দায়দায়িত্বগুলো সাফল্যের সঙ্গে মোকাবিলা করতে চাই সেই সব মানুষ যারা নতুন ধ্যান ধারণা দেবেন এবং তার বাস্তব রূপায়ণে এগিয়ে আসতে দ্বিধা করবেন না৷

প্রতিবেদন: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ