ইউরো কাপ: করোনা, মাস্ক ও সামাজিক দূরত্বের প্রশ্ন
শুরু হয়েছে ইউরো কাপ। জমজমাট ফুটবলের আসর। কিন্তু করোনাকালের এই ইউরো কাপ নিয়ে উঠছে বেশ কিছু প্রশ্ন।
মাস্ক কোথায়?
ইউরো কাপ হচ্ছে ইউরোপের অনেকগুলি শহরে। স্টেডিয়ামে দর্শকরা থাকছেন। কোথাও ২0 শতাংশ, কোথাও ৩২ শতাংশ, কোথাও ৫০ শতাংশ। বুদাপেস্টে ভর্তি স্টেডিয়ামে ম্যাচ হচ্ছে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, দর্শকদের মুখে মাস্ক নেই।
সামাজিক দূরত্বের বালাই নেই
মাস্ক তো নেই-ই, সামাজিক দূরত্বও রাখছেন না দর্শকরা। ফুটবলে মশগুল দর্শকরা একসঙ্গে বসছেন, গোল দিলে বা টিভি ক্যামেরা ঘুরলে একসঙ্গে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন। করোনাকালে যা বিপজ্জনক হতে বাধ্য।
দেখে মনে হচ্ছে করোনা নেই
ইউরো কাপের অধিকাংশ খেলায় দর্শকদের দেখে মনে হচ্ছে, করোনা বিদায় নিয়েছে। ফলে সুরক্ষার জন্য যে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছিল, তার কোনো দরকার নেই।
নিয়ম হলো
অথচ দর্শকদের মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। অন্তত দেড় মিটার দূরত্ব রেখে বসার কথা। হাত মেলানো, কোলাকুলি করা, হাই ফাইভ, খুব কাছে আসায় নিষেধ রয়েছে। অ্যামস্টারডামে তো নেগেটিভ রিপোর্ট দেখিয়ে স্টেডিয়ামে ঢুকতে হবে। বুখারেস্টে ভ্যাকসিন নিলে পরীক্ষা রিপোর্ট লাগবে না। তবে কোপেনহেগেনে রিপোর্ট লাগবে। মিউনিখেও রিপোর্ট জরুরি।
ইউরোপে করোনা
ইউরোপে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। এখন করোনার প্রকোপ কম। প্রচুর মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। এ সব ঠিক। কিন্তু করোনা চলে যায়নি। বৃহস্পতিবারের রিপোর্ট, জার্মানিতে এক হাজার ৩৩০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। রাশিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ৫৭ জন, ইংল্যান্ডে গত মে মাসের তুলনায় করোনার প্রকোপ ৫০ শতাংশ বেড়েছে। সেখানে করোনার ভারতীয় প্রজাতির ভাইরাস ছড়াচ্ছে। অস্ট্রিয়ায় ১ জুলাই থেকে রেস্তোরাঁ,খুলবে।
স্পেনের ক্যাপ্টেন
সপ্তাহ দুয়েক আগে স্পেনের ক্যাপ্টেন সের্জিও বাসকেস করোনায় আক্রান্ত হন। তাকে বাড়ি ফিরে নিভৃতবাসে থাকতে হয়। বায়ো বাবলে থাকা বাকি সব ফুটবলারের পরীক্ষা হয়। তবে তারা কেউ আক্রান্ত হননি।
উয়েফার সিদ্ধান্ত
করোনার কথা মাথায় রেখে উয়েফা এবার প্রতিটি টিমে ফুটবলারদের সংখ্যা বাড়িয়েছে। টিমগুলি অতিরিক্ত পাঁচ ফুটবলারকে নিয়ে আসতে পারবে। কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে দ্রুত তার বদলি নিয়ে আসা যাবে। অথচ, দর্শকদের জন্য নিয়ম কড়াভাবে রূপায়ণ করা হচ্ছে না।