1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরো ২০১২

৪ জুন ২০১২

ইউরো ২০১২ ফুটবল আসর শুরু হতে আর মাত্র কয়েকদিন বাকি৷ এই আসরের সহ-আয়োজক পোল্যান্ড দশ লাখ বিদেশি ফুটবল ভক্তকে স্বাগত জানাতে প্রায় সব প্রস্তুতিই সম্পন্ন করছে৷ তৈরি হচ্ছে বড় বড় ফ্যানজোন, থাকার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা৷

https://p.dw.com/p/157Yk
ছবি: dapd

ইউরো আসরের ফুটবল ম্যাচগুলো আয়োজনের জন্য পোল্যান্ডে একেবারে নতুন স্টেডিয়ামও তৈরি করা হয়েছে৷ একইসঙ্গে টিকিটবিহীন ফুটবল ভক্তদের জন্য তৈরি হচ্ছে ফ্যানজোন৷ পোলিশ রাজধানী ওয়ারশ'র কথাই ধরুন৷ শহরের কেন্দ্রে একটি এলাকায় গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷ কারণ সেখানে তৈরি হচ্ছে পোল্যান্ড এবং ইউক্রেনের মধ্যে সবচেয়ে বড় ফ্যানজোন৷ এই ফ্যানজোনে লাখ খানেক ফুটবল ভক্ত একসঙ্গে খেলা উপভোগ করতে পারবেন৷ সেখানে থাকছে ছয়টি বড় স্ক্রিন৷ ফ্যানজোনের আয়োজক সংস্থার প্রতিনিধি সাবাস্তিয়ান মিকোলাইচাক বলেছেন, মূল চত্বরটি তৈরি হয়ে গেছে, এখন আমরা সবচেয়ে বড়, ১৪২ স্কোয়ার মিটার স্ক্রিন স্থাপন করছি৷

পোল্যান্ডের অন্যান্য আয়োজক শহর, যেমন বাল্টিক বন্দর ডানজিগ, দেশের অভ্যন্তরে ব্রেসলাউ ও পোজনান'এর ফ্যানজোনগুলোতেও এখন চূড়ান্ত কাজ চলছে৷ এছাড়া ক্রাকাও, যেখানে ইংল্যান্ড, ইটালি এবং হল্যান্ডের ফুটবল ‘বেস-ক্যাম্প' স্থাপন করছে, সেখানেও ফ্যানজোন তৈরি হচ্ছে পুরোদমে৷

Bildergalerie Geschichte der Fußball EM Maskottchen
ইউরো ২০১২’র মাস্কটছবি: AP

পোল্যান্ডের আয়োজক শহরগুলোর সব হোটেলই মোটামুটি ‘বুক' হয়ে গেছে৷ অবশ্য এখনো যারা পোল্যান্ডে থাকার জায়গা খুঁজছেন, তাদের হতাশ হওয়ার কোন কারণ নেই৷ বিকল্প আবাসনের ব্যবস্থাও করা হয়েছে ইউরো কাপ উপলক্ষ্যে৷ ওয়ারশ'র একটি হোস্টেল কর্তৃপক্ষ ‘টু-বাই-ওয়ান' মিটার আকারের টিউবে রাত্রিযাপনের ব্যবস্থা করেছে৷ এজন্য রাত প্রতি খরচা পড়বে ৪০ ইউরো, এই খরচের মধ্যে বিছানার চাদরও থাকছে৷ টিউব শুনে ভয় পাওয়ার কিছু নেই৷ এটির মধ্যে আলো এবং বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা রয়েছে৷ একইসঙ্গে একটি পর্দাও থাকছে, যাতে আপনি সেখানে একান্তে সময় কাটাতে পারেন৷

বাল্টিক সমুদ্র বন্দর এবং সুইডেনের রাজধানী স্টকহোম'এর মধ্যে চলাচলকারী একটি ফেরিও হোটেল হিসেবে ব্যবহার করা হবে৷ ১,৮০০ যাত্রী বহনে সক্ষম এই বিশাল ফেরি খেলার দিনগুলোতে ভাসমান হোটেল হিসেবে কাজ করবে৷ এটিতে ৮৮০টি কেবিন রয়েছে৷ খরচ রাত,প্রতি ১৫০ ইউরো৷ এই ফেরির মালিকপক্ষের ম্যানেজার মারিয়ান চোইনাচকি জানিয়েছেন, ‘‘স্পেন-আয়ারল্যান্ড এবং স্পেন-ক্রোয়েশিয়া ম্যাচের সময় রাত্রিযাপনের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা এখনো খালি আছে৷''

ইউরো ২০১২' চলাকালে বিপদে পড়তে পারেন গাড়ির আরোহীরা৷ মানে যারা গাড়িতে করে পোল্যান্ডের বিভিন্ন শহরে খেলা দেখতে যাবেন, তাদেরকে গড়ে ৩ থেকে ৮ ঘন্টা যানজটে আটকে থাকতে হতে পারে৷ কেননা, অনেক মহাসড়ক এখনো পুরোপুরি প্রস্তুত হয়নি৷ রেল যোগাযোগের উন্নতি খানিকটা হয়েছে বটে কিন্তু অনেক স্টেশন মেরামত সম্পন্ন হয়নি৷ ফলে রেল যোগাযোগের উপরেও ভরসা করা কঠিন৷ তবে বিমান যোগাযোগ বেশ ভালো, জানাচ্ছে বার্তাসংস্থাগুলো৷ বিমানবন্দরগুলোও সংস্কার করা হয়েছে৷ বর্তমানে পোল্যান্ডের মধ্যকার সব আঞ্চলিক রুটে বিমান চলাচল ঠিক আছে৷ তাই স্বল্প সময়ের মধ্যে এক শহর থেকে অন্য শহরে যাতায়াতে উড়ালই বড় ভরসা৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম (এএফপি)

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য