1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরোপে বাড়ির দাম কম, ক্রেতাও কম

১৮ জুলাই ২০২৩

ইউরোপে বাড়ির দাম উল্লেখযোগ্য হারে কমছে৷ বিশেষ করে জার্মানি এবং ব্রিটেনে এমন হারে কমেছে যা অনেক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ৷ অথচ কম দামেও বাড়ি কিনছে খুব কম মানুষ৷ ইইউ-র দেয়া পরিসংখ্যানেই রয়েছে এমন তথ্য৷

https://p.dw.com/p/4U5A3
Deutschland Berlin | Häuser in Gropuisstadt
ছবি: Jochen Eckel/dpa/picture alliance

গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ইউরোপের প্রায় সব দেশে বাড়ির দাম শুধু বেড়েছে৷ ২০১৫ সালের পর থেকে সাত বছর একবারও বৃদ্ধির এই ধারায় ছেদ পড়েনি৷ এমনকি করোনা মহামারির সময়েও বাড়ির ক্রেতা কমেনি, দামও কমেনি৷ কিন্তু ২০২২ সাল থেকে শুরু হয়েছে উল্টো ধারা৷ সে বছর জার্মানিতে বাড়ির দাম কমেছে ৬.৮%, বাড়ির মূল্যের রেকর্ড প্রকাশ শুরুর পর থেকে যা সর্বোচ্চ৷

এই হারে বাড়ির দাম কমার জন্য মূলত তিনটি বিষয়কে দায়ী মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা- মূদ্রাস্ফীতি, সুদের হার বৃদ্ধি এবং জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি৷

অথচ এই তিন ‘সমস্যা'  একসঙ্গে জনজীবনে নেমে আসার আগ পর্যন্ত ইউরোপে বাড়ির দাম সব সময়ই বেড়েছে৷ ২০১৫ সালের মার্চ থেকে ২০২২-এর জুন পর্যন্ত তাই বাড়িঘরের দাম সব মিলিয়ে মোট ৪৩% দাম বেড়েছে৷ ইইউ-র সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, করোনা মহামারির সময়, অর্থাৎ ২০২০ এবং ২০২১ সালে আগের পাঁচ বছরের চেয়েও বেশি দ্রুত বেড়েছে বাড়ির দাম৷

কিন্তু ২০২২ সালে হঠাৎ করেই বাড়ির দাম কমতে থাকে৷ গত সপ্তাহে ইইউ যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, সেখানে বলা হয়েছে, টানা ৩০ ‘কোয়ার্টার' দাম বৃদ্ধির পর ২০২২ সালের জুলাই মাসে যে বাড়িমূল্যে ভাটার টান লেগেছিল ডিসেম্বর পর্যন্ত তা একবারের জন্যও থামেনি৷

বাড়ির দাম কমলেও বিক্রি বাড়ছে না৷ কারণ, মূদ্রাস্ফীতি এবং দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা গেছে কমে৷ তাই বাড়ি কেনার সাধ থাকলেও সাধ্য হচ্ছে না৷ যারা কিনতে চাইছেন, ব্যাংকে সুদের হার বেড়ে যাওয়ায় তারাও পিছিয়ে আসতে বাধ্য হচ্ছেন৷ এ অবস্থায় নতুন বাড়ি নির্মাণও কমছে৷

ব্রিটেনেও দ্রুত কমছে বাড়ির দাম৷ সেখানে ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে বাড়ির দাম ২.৬% কমেছে৷ ২০১১ সালের পর এই প্রথম বাড়ির দাম এত দ্রুত এতটা কমলো৷ সেখানে মূদ্রাস্ফীতি, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, সুদের হার বৃদ্ধির পাশাপাশি বন্ধকী সুদের হারও বেড়েছে৷ তাই বাড়ির মূল্যহ্রাসের খবরের পাঠক বাড়লেও বাড়ির ক্রেতা বাড়ছে না!

আর্থার সুলিভান/ এসিবি