1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরোপে আবারো হাম রোগের প্রকোপ

আবদুস সাত্তার৯ জানুয়ারি ২০০৯

ইউরোপে হাম রোগের আবারও বিস্তার ঘটছে৷ সম্প্রতি দি ল্যানসেট এ প্রকাশিত এক সমীক্ষায় জানানো হয়েছে যে, গত বছর বিশেষ করে জার্মানি, ব্রিটেন, সুইজারল্যান্ড, ইতালি এবং রুমানিয়ায় হাম রোগীর সংখ্যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে৷

https://p.dw.com/p/GVKm
দুই হাজার আট সালের প্রথম নয় মাসে ইউরোপে হামে আক্রান্তের সংখ্যা আবারো বৃদ্ধি পেয়ে পৌঁছে ছয় হাজার দুইশ উনসত্তর এ৷ছবি: AP

এ ছাড়াও, ক্রোয়েশিয়া, আইসল্যান্ড, নরওয়েতেও মানুষের হামে আক্রান্ত হওয়ার তথ্য রয়েছে৷ এর আগে হাম রোগে আক্রান্তের সংখ্যা কমে গিয়েছিল৷ দুই হাজার ছয় সালে গোটা ইউরোপে হাম রোগীর সংখ্যা ছিল আট হাজার দুইশ তেইশ জন, এক বছর পরে এই সংখ্যা হ্রাস পেয়ে দাঁড়ায় তিন হাজার নয়শ নয়এ৷ কিন্তু দুই হাজার আট সালের প্রথম নয় মাসে হামে আক্রান্তের সংখ্যা আবারো বৃদ্ধি পেয়ে পৌঁছে ছয় হাজার দুইশ উনসত্তর এ৷ দি ল্যানসেট সাময়িকীতে এ সব তথ্য জানানো হয়েছে৷

রোগ ছড়ায় এমন এক ভাইরাসের কারণে মানুষ হামে আক্রান্ত হয়৷ যার ফলে রোগীর জ্বর হয় এবং সারা শরীরে ব্যথা অনুভূত হয়৷ শিশু বয়সে টিকা নিলে হাম রোগে আক্রান্ত হওয়ার হাত থেকে বাঁচা যায়৷ তবে টিকার অভাব রয়েছে ইউরোপে৷ এ জন্য জার্মানি সহ বেশ কিছু দেশে অনেক শিশুকে হাম প্রতিশেধক টিকা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না৷ অনেক মানুষ আবার টিকা দেয় না৷ তারা মনে করে এর প্রয়োজন নেই এবং এটা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর৷

এক সমীক্ষার ফলাফল থেকে দেখা যায় যে, হামে বিশেষভাবে আক্রান্ত হয় অভিবাসী, অর্থডক্স ইহুদী অথবা রোমা পরিবারের সদস্যরা৷ দুই হাজার ছয় এবং সাত সালে ইউরোপের বত্রিশটি দেশে মোট বারো হাজার একশ বত্রিশ জন হাম রোগীর ওপর সমীক্ষা চালান গবেষকরা৷

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডাব্লিওএইচও এর তথ্য অনুযায়ী, দুই হাজার সাত সালে গোটা বিশ্বে হামে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে এক লাখ সাতানব্বই হাজার মানুষ৷ দুই হাজার সালের তুলনায় এই সংখ্যা চুয়াত্তর শতাংশ কম৷ ষাঠের দশকের গোড়ায় প্রতি বছর হামে মারা যেত ষাঠ লাখ মানুষ৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার লক্ষ্য হল দুই হাজার দশ সালের মধ্যে ইউরোপে হাম রোগ সম্পুর্ণ নির্মূল করা৷ তবে এই লক্ষ্য এখন হুমকির মুখে৷

হাম ইম্যুউন সিস্টেম দুর্বল করে এবং এই রোগ বিশেষ করে অপুষ্টিতে ভোগে এমন মানুষের জন্য বিপজ্জ্বনক৷ হাম শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে৷ ফুসফুস ও মস্তিস্কের ইনফেকশন এবং পেটের অসুখের কারণে হাম রোগীর মৃত্যু ঘটতে পারে৷ হাম ইনফেকশনে অন্তঃসত্তা মহিলাদের প্রসব ঘটে নির্ধারিত সময়ের আগে, শিশু নষ্ট হয়ে যায় বা শিশুর মৃত্যু হয়৷