ইউটিউব থেকে আয়
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯আলেক্সিবেক্সি জার্মানির এক ইউটিউব তারকা, যাঁর আসল নাম আলেক্সান্ডার ব্যোম৷ বিখ্যাত মানুষদের নিয়ে কৌতুক, জার্মান চ্যান্সেলরের সঙ্গে সাক্ষাৎকারসহ আরো কত কী যে করেন তিনি৷
এবার তিনি এক ইলেকট্রনিক দোকানের ইউটিউব চ্যানেলের হয়ে প্রচার চালাচ্ছেন৷ ব্যোম-এর জনপ্রিয়তা কাজে লাগিয়ে সেই কোম্পানি পণ্য বিক্রি করতে চায়৷ ব্যোম নিজে প্রায় ১০ বছর ধরে ইউটিউব থেকে আয় করে চলেছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘ইউটিউবার হওয়া আসলে কোনো বড় ব্যাপার নয়৷ তবে এই প্ল্যাটফর্মে প্রচলিত বাধাগুলি না থাকায় সুবিধা হয়৷ যেমন কোনো সম্পাদক বা টিভি কোম্পানির সম্মতি লাগে না৷ নিজের মর্জিমাফিক ভিডিও প্রকাশ করা যায়৷ আমাদের প্রজন্ম শুরু থেকেই এই স্বাধীনতায় অভ্যস্ত বলে মনে হয়৷ যা বলার, ইচ্ছামতো আমরা তা প্রকাশ করতে চাই৷''
একজন ইউটিউবারকে দেখতে ভালো হতে হবে এবং তার নিজস্বতা থাকতে হবে৷ এটাই তাদের মূলধন৷ তারা কিছু পরিবেশন করলে ইউজাররা তাদের কথা বিশ্বাস করবে৷ এমন কনটেন্ট বা ভিডিও ভালোভাবে প্রচার করে তার মাধ্যমে আয় করাই কি স্বাভাবিক নয়? আলেক্সান্ডার ব্যোম মনে করেন, ‘‘অনেকেই সেটা করে৷ আমি এমনটা করি না৷ আমি নিজের আগ্রহকে গুরুত্ব দেই৷ কেউ বিজ্ঞাপন নিয়ে এগিয়ে এলে আমি তাকে উৎসাহ দেই৷ তা সত্ত্বেও আমি মজার, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করতে ভালবাসি, ছোট ফিল্ম বানাই৷ তাতে সাফল্য এলে ভালো, না এলেও কিছু এসে যায় না৷''
ফল্কসভাগেনের মতো বিখ্যাত ব্র্যান্ডের জন্যও ব্যোম কাজ করেছেন৷ গত কয়েক বছরে অনেক বড় কোম্পানি জার্মানির ইউটিউবারদের উপর কোটি কোটি ইউরো বিনিয়োগ করেছে৷
কিন্তু ইউটিউবে বিপণনের সঙ্গে যুক্ত অনেকেই মনে করেন, এই অঙ্ক বড়ই বেশি৷ যেমন ডেডেরিশস রাইনএকে অ্যান্ড পার্টনার্স কোম্পানির ইয়ুলিয়া হিনৎসে৷ তিনি বলেন, ‘‘মূল্যস্ফীতির কারণে ইউটিউবার-মার্কেটিং-এর ব্যবহার কিছুটা কমে যাবে, কারণ বিভিন্ন কোম্পানি ও ইনফ্লুয়েন্সর তাদের খাঁটিত্ব হারাতে চায় না৷ অর্থাৎ প্রত্যেক ইউটিউব ভিডিওর মধ্যে লুকানো বিজ্ঞাপন থাকবে না৷ বিজ্ঞাপনের সংখ্যা কমে যাবে৷ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সঙ্গে একান্ত সহযোগিতা চুক্তি করা হবে৷''
ইউটিউব আসলে তরুণ প্রজন্মের কাছে আকর্ষণীয়৷ ৩০ বছর বয়সি হিসেবে সময় কি তাঁর ফুরিয়ে আসছে? এ বিষয়ে আলেক্সান্ডার ব্যোম নিজে মনে করেন, ‘‘কয়েক বছর ধরে আমিও এমনটা ভেবেছি৷ দুই বছর আগে আমাকে প্রশ্ন করলে আমি বলতাম, কোনোভাবে তরুণ থাকার চেষ্টা করতে হবে৷ কিন্তু এর মধ্যে সবারই বয়স বাড়ছে৷ মানিয়ে নেবার চেষ্টা যত কম করা যায়, ততই ভালো৷''
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ব্যোম প্রতি এক লাখ ক্লিকের জন্য আড়াইশো মার্কিন ডলার আয় করেন৷ ফলে মাসে আনুমানিক প্রায় ১০ হাজার ডলার আয় হয়৷ সেইসঙ্গে বিজ্ঞাপন বাবদ অর্থ তো রয়েছেই৷ ফলে তাঁর ভালোভাবেই দিন চলে যায়৷
মিল্টো স্মিট/এসবি