1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজইউক্রেন

ইউক্রেনের মানুষের সহ্যক্ষমতার প্রশংসায় জেলেনস্কি

২৫ নভেম্বর ২০২২

রাশিয়ার লাগাতার হামলার মুখে নাগরিক পরিষেবা আবার সামলে নিতে ইউক্রেনের প্রশাসন জোরালো উদ্যোগ নিচ্ছে৷ প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি দেশের মানুষের সহনশক্তির প্রশংসা করেছেন৷

https://p.dw.com/p/4K2Z2
প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি
প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিছবি: Ukraine Presidency/ZUMA/IMAGO/ZUMA Wire

জ্বালানি অবকাঠামোর উপর লাগাতার হামলা সত্ত্বেও ইউক্রেন দ্রুত নাগরিক পরিষেবা আবার চালু করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে৷ বৃহস্পতিবার রাজধানী কিয়েভ শহরে পানি সরবরাহ আবার চালু হয়েছে৷ বুধবারের হামলায় সেই পরিষেবা কার্যত পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল৷ রাশিয়া  এ দিন প্রায় ৭০টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছিল৷ ক্রেমলিন অবশ্য এ দিন কিয়েভের উপর হামলার দাবি নস্যাৎ করে দিয়েছে৷ বিদ্যুৎ সরবরাহ এখনো পুরোপুরি চালু করা সম্ভব হয় নি৷ শহরের মেয়র ভিতালি ক্লিচকো বলেন, এক সময়ে কিয়েভের প্রায় ৭০ শতাংশ অংশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল৷ গোটা অঞ্চলের হিটিং ব্যবস্থাও হামলার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ ইন্টারনেট ও মোবাইল নেটওয়ার্কও সব জায়গায় কাজ করছে না৷ প্রেসিডেন্ট দপ্তরের উপ প্রধান কিরিলো টিমিশেংকো বলেন, ইউক্রেনের সব অংশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে৷ তবে কত মানুষ আবার সেই পরিষেবা পাচ্ছেন, সে বিষয়ে তিনি কোনো তথ্য দেননি৷

এমন বিপর্যয় সত্ত্বেও হাল ছাড়তে রাজি নয় ইউক্রেনের প্রশাসন৷ বৃহস্পতিবার রাতের দৈনিক ভিডিও বার্তায় প্রেসিডেন্ট ভোলোদোমির জেলেনস্কি রাশিয়ার আগ্রাসনের মুখে ইউক্রেনের মানুষের প্রতিরোধের প্রশংসা করেন৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা মাসের পর মাস ধরে সর্বাত্মক যুদ্ধ সহ্য করে চলেছি এবং রাশিয়া আমাদের মনোবল ভাঙার কোনো পথ খুঁজে পাচ্ছে না, ভবিষ্যতেও পাবে না৷’’ বুধবারের হামলার পর বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ আবার চালু করা কঠিন হচ্ছে বলে জেলেনস্কি স্বীকার করেন৷ তাঁর মতে, রাশিয়া পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে এমন আচরণ করছে৷

রুশ প্রশাসন ইউক্রেনের সাধারণ মানুষের দুর্দশা স্বীকার করে বলেছে, সে দেশের সরকার রাশিয়ার দাবি মেনে নিলেই সেটা বন্ধ করা সম্ভব৷ ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেস্কভ অবশ্য সেইসঙ্গে দাবি করেন, যে রাশিয়া মোটেই কোনো ‘সামাজিক স্থাপনা’-র উপর হামলা চালায় নি, ভবিষ্যতেও চালাবে না৷ বলা বাহুল্য, ইউক্রেনে হাসপাতাল, স্কুল ও আবাসন এলাকায় রুশ হামলা সম্পর্কে তিনি কিছু বলেন নি৷ জাতিসংঘে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভাসিলি নেবেনজিয়া বলেন, আলোচনার ‘বাস্তবসম্মত সুযোগ' আসা পর্যন্ত তাঁর দেশ ইউক্রেনের সামরিক ক্ষমতা ধ্বংস করে যাবে৷ ইউক্রেনে পশ্চিমা অস্ত্র ভরে দেওয়া এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক জয়ের কুমন্ত্রণার জবাব দিতেই রাশিয়া সে দেশের অবকাঠামোর উপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে৷

যুদ্ধক্ষেত্রেও উত্তেজনা কমার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না৷ খেরসন থেকে সেনা প্রত্যাহার করলেও সেই এলাকার উপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া৷ বৃহস্পতিবার গোলাবর্ষণের ফলে কমপক্ষে সাত জন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছে৷ খারকিভ অঞ্চলের পূর্বাংশে রাশিয়া সীমান্তের কাছে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি)