1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিইউক্রেন

ইউক্রেনের জন্য সহায়তা ‘ট্রাম্প-প্রুফ’ করার উদ্যোগ

৩ জুলাই ২০২৪

ডনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফিরলেও ইউক্রেনের জন্য সামরিক সহায়তার কাঠামো মজবুত রাখতে এখনই উদ্যোগ নিচ্ছে ন্যাটোর সদস্য দেশগুলি৷ আসন্ন শীর্ষ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে৷

https://p.dw.com/p/4hnZT
জেলেনস্কি ও ট্রাম্প ছবির জন্য পোজ দিচ্ছেন, ২০১৯ সালে তোলা ছবি
ট্রাম্প আবারও প্রেসিডেন্ট হলে ইউক্রেনকে মস্কোর সঙ্গে আলোচনা করতে বাধ্য করা হতে পারে বলে জানিয়েছে রয়টার্সছবি: Evan Vucci/AP Photo/AP Images/picture alliance

ইউক্রেন এখনো ন্যাটোর সদস্যপদ থেকে অনেক দূরে থাকলেও দুই পক্ষের মধ্যে সম্পর্ক ও সমন্বয় আরো নিবিড় হচ্ছে৷ বিশেষ করে ইউক্রেনের জন্য সদস্য দেশগুলির সামরিক সহায়তা আরো কার্যকর করার লক্ষ্যে ন্যাটোকে কেন্দ্রীয় ভূমিকা দেওয়ার তোড়জোড় চলছে৷ সেই পথে অগ্রসর হতে এবার ন্যাটোর সদস্যরা কিয়েভে বিশেষ দূত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিলো৷ বেসামরিক সেই কর্মকর্তা ইউক্রেনের জন্য রাজনৈতিক ও সামরিক সহায়তার ক্ষেত্রে সমন্বয়ের কাজ করবেন৷ আগামী ৯ থেকে ১১ই জুলাই ওয়াশিংটনে ন্যাটোর ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে শীর্ষ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে ইউক্রেনের জন্য ন্যাটোর বিশেষ সহায়তা ও প্রশিক্ষণের মিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ উল্লেখ্য, গত প্রায় এক দশক ধরে কিয়েভে ন্যাটোর এক দফতর রয়েছে৷ 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ঘিরে বেড়ে চলা অনিশ্চয়তার প্রেক্ষাপটে ইউক্রেনের জন্য ন্যাটোর সহায়তার স্তম্ভ আরো শক্তিশালী করতে নানা উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে৷ ডনাল্ড ট্রাম্প আবার ক্ষমতায় এলে সেই সামরিক সহায়তার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে উঠতে পারে৷ তাই সামরিক জোট হিসেবে ন্যাটোর মাধ্যমে মজবুত কাঠামো গড়ে তুলে অ্যামেরিকার একক সিদ্ধান্তের ক্ষমতা কিছুটা দুর্বল করার চেষ্টা চলছে বলে অনেক সামরিক পর্যবেক্ষক মনে করছেন৷ এখনো পর্যন্ত মার্কিন নেতৃত্বে কনট্যাক্ট গ্রুপের মাধ্যমে সেই সহায়তার ক্ষেত্রে সমন্বয় করা হয়েছে৷ ন্যাটো ইউক্রেনের জন্য আরো সহায়তার তোড়জোড় করছে৷

ট্রাম্প বার বার বলছেন, ক্ষমতায় এলে তিনি নাকি রাতারাতি ইউক্রেন সংকটের সমাধান করবেন৷ তবে নিজের শান্তির ফর্মুলা নিয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু বলছেন না৷ তবে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স গত সপ্তাহে ট্রাম্পের দুই উপদেষ্টাকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, যে ইউক্রেনকে মস্কোর সঙ্গে আলোচনা করতে বাধ্য করা হতে পারে৷ তা না করলে ট্রাম্প ইউক্রেনের জন্য সহায়তা বন্ধ করার হুমকি দিতে পারেন৷ ট্রাম্প নিজে অবশ্য বলেছেন, তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের শর্ত মানতে রাজি নন৷ পুটিন ইউক্রেনে রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত চারটি অঞ্চলের কর্তৃত্ব স্থায়ী করার বদলে যুদ্ধ বন্ধ করার প্রস্তাব দিয়েছেন৷

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কির চিফ অফ স্টাফ আন্দ্রি ইয়েরমাক বলেছেন, যুদ্ধ বন্ধ করার স্বার্থে ইউক্রেন কোনো আপোশ করে রাশিয়ার হাতে নিজস্ব ভূখণ্ড তুলে দিতে প্রস্তুত নয়৷ ওয়াশিংটন সফরে গিয়ে তিনি বলেন, তবে ‘ন্যায্য শান্তি’ হাসিল করতে ইউক্রেন যে কোনো পরামর্শ শুনতে প্রস্তুত৷ ইয়েরমাক আশা করেন, দলমত নির্বিশেষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে সহায়তা দিয়ে যাবে৷ 

শুধু ন্যাটো নয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যেও ইউক্রেনের জন্য সহায়তার ক্ষেত্রে ঐকমত্যের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে৷ ফ্রান্সে সংসদ নির্বাচনে উগ্র দক্ষিণপন্থি আরএন দল আরো সাফল্য পেলে সে দেশের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ ইউক্রেনকে কতটা সাহায্য করতে পারবেন, সে বিষয়ে অনিশ্চয়তা বাড়ছে৷ ইইউর সবচেয়ে মস্কো-ঘনিষ্ঠ দেশ হিসেবে হাঙ্গেরি ছয় মাসের জন্য সভাপতিত্ব গ্রহণ করেছে৷ সে দেশের প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অর্বান যুদ্ধ শুরুর পর প্রথম কিয়েভ সফর করেছেন৷ তিনিও অনেকটা ট্রাম্পের সুরে ইউক্রেনের উদ্দেশ্যে যত দ্রুত সম্ভব রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতার লক্ষ্যে সাময়িক অস্ত্রবিরতির ডাক দিয়েছেন৷ জেলেনস্কি তাঁকে ইউক্রেনের নিজস্ব শান্তির উদ্যোগে সামিল হওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন৷ উল্লেখ্য, দুই নেতার মধ্যে অতীতে বার বার সংঘাত দেখা গেছে৷

এসবি/জেডএইচ (এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য