1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউক্রেনে এত পড়ুয়া আগের নীতির জন্য: মোদী

৪ মার্চ ২০২২

কেন ইউক্রেনে এত ছাত্রছাত্রী মেডিকেল পড়তে যান? মোদীর জবাব, আগের সরকারের নীতিই এর জন্য দায়ী।

https://p.dw.com/p/47z1i
এত ছাত্রছাত্রীর বিদেশে গিয়ে মেডিকেল পড়ার দায় নিতে চান না প্রধানমন্ত্রী মোদী। ছবি: Adnan Abidi/REUTERS

ইউক্রেনেই প্রায় ২০ হাজার ভারতীয় ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করতেন। বেশিরভাগই মেডিকেল বা চিকিৎসাবিজ্ঞান পড়তে গিয়েছিলেন। শুধু ইউক্রেন নয়, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া সহ আরো অনেক দেশে পড়াশোনার জন্য প্রচুর ভারতীয় ছাত্রছাত্রীরা যান। অনেকেই মেডিকেল কলেজে পড়ার জন্য। কেন দেশ ছেড়ে এত ছাত্রছাত্রী বিদেশ পাড়ি দেন? রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার পর এই প্রশ্নটা খুব বেশি করে উঠছে। বিশেষ করে ছাত্রছাত্রীরা অনেকেই চরম দুর্দশায় পড়ার পর।

প্রধানমন্ত্রী মোদী এক্ষেত্রেও দোষটা চাপিয়ে দিয়েছেন আগের সরকারগুলির উপর। বারাণসীতে ইউক্রেন থেকে দেশে ফেরা ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি বলেছেন, ''আগে যদি মেডিকেল শিক্ষানীতি ঠিকভাবে নেয়া হতো, তাহলে এই অবস্থা হতো না। ছাত্রছাত্রীদের বিদেশে গিয়ে পড়তে হতো না। কোনো বাবা-মা-ই বাচ্চাদের এত অল্প বয়সে বিদেশে পড়তে যেতে দিতে চান না।''

মোদী বলেছেন, ''কিছু ছাত্রছাত্রী ও তাদের পরিবার আমার কাছে তাদের ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন। ইউক্রেনে কিছু ছাত্রছাত্রী যে কষ্টের মধ্যে, বিপদের মধ্যে পড়েছিলেন, তাতে এই ক্ষোভ হওয়া স্বাভাবিক।''

মোদী বলেছেন, ''আমি তাদের রাগের কারণ বুঝতে পারি। একে মারাত্মক ঠান্ডা, তার উপর বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে তাদের এই মনোভাব যুক্তিযুক্ত।'' দেশে ফিরে অনেক ছাত্রছাত্রীই তাদের ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন। কেন সরকার আগে থেকে সক্রিয় হয়নি সেই প্রশ্ন তুলেছেন। কিছু ছাত্রছাত্রী বিমানবন্দরে সরকারের দেয়া গোলাপও নেননি। 

তবে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, এখন আর তাদের মধ্যে রাগ নেই। কারণ, তারা বুঝতে পারছেন কোন পরিস্থিতিতে এবং কীভাবে অপারেশন গঙ্গার মাধ্যমে তাদের দেশে ফেরানো হয়েছে। মোদী বলেছেন, ''অনেক ছাত্রছাত্রীই আমার কাছে সরকারের প্রশংসা করেছেন। তারা যখন সব আশা হারিয়ে ফেলেছিলেন, তখন সরকার তাদের উদ্ধার করে দেশে ফিরিয়ে এনেছে। তারা সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ।''

মোদীর বক্তব্য, ''শক্তিশালী ভারতই হলো এই সব পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার পাওয়ার একমাত্র রাস্তা।'' তিনি ছাত্রছাত্রীদের বলেছেন, ''এই বয়সে তাদের যে অভিজ্ঞতা হলো, তার জন্য তিনি তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল।''

কেন ইউক্রেনে?

সম্প্রতি ইউক্রেন থেকে নিরাপদে দেশে ফিরেছেন মেডিকেল ছাত্রী তিয়াশা বিশ্বাস। ডয়চে ভেলেকে তার মা জানিয়েছেন, তার মেয়ে ভারতে মেডিকেল প্রবেশিকা পরীক্ষা নিট পাশ করা। কিন্তু ভারতের অবস্থা হলো, সরকারি মেডিকেল কলেজে সুযোগ না পেলে বেসরকারি কলেজগুলি অস্বাভাবিক অঙ্কের অর্থ দাবি করে। তার কাছে পশ্চিমবঙ্গের একটি খুবই সীমীত পরিকাঠামোর বেসরকারি মেডিকেল  কলেজ ৯৯ লাখ টাকা দাবি করেছিল। অন্যদিকে ইউক্রেনে পড়াতে তাদের লাগছে ৩২ লাখ টাকা। সেজন্য তারা দেশের বেসরকারি মেডিকেল কলেজের থেকে ইউক্রেনের কলেজকেই বেছে নিয়েছেন।

 জিএইচ/এসজি (পিটিআই, এনডিটিভি)