1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউক্রেন-ইরান নিয়ে জি-৭ এর বৈঠক

৪ নভেম্বর ২০২২

জার্মানিতে বসেছে জি-৭ দেশগুলির বৈঠক। ইউক্রেন-ইরান ছাড়াও উত্তর কোরিয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

https://p.dw.com/p/4J3H8
জার্মানিতে জি-৭ বৈঠক
ছবি: Guido Kirchner/dpa/picture alliance

রাশিয়ার ইউক্রেন অভিযান, এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের রাজনৈতিক ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং ইউরোপজুড়ে বিদ্যুৎ এবং গ্যাসের সমস্যা, মূলত এই বিষয়গুলি নিয়েই বৃহস্পতিবার আলোচনা হয়েছে জি-৭ নেতাদের। তবে একই সঙ্গে আলোচনায় উঠে এসেছে ইরানে নারীদের উপর পুলিশি নির্যাতন এবং উত্তর কোরিয়ার একের পর এক মিসাইল ছোঁড়ার ঘটনা।

শুক্রবারও নেতাদের বৈঠকে বসার কথা। বেজিং এবং মস্কোর থেকে কীভাবে দূরত্ব তৈরি করা যায়, তা নিয়ে এদিন আলোচনা হওয়ার কথা।

জার্মানির মুনস্টার শহরে শুরু হয়েছে বৈঠক। ফ্রান্স, ইটালি, জাপান, অ্যামেরিকা, ক্যানাডা, যুক্তরাজ্য এবং জার্মানির প্রতিনিধিরা বৈঠকে যোগ দিয়েছেন। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশগুলি নিয়ে তৈরি এই জি-৭।

বেয়ারবকের বক্তব্য

জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক প্রথম দিনের বক্তৃতায় বলেছেন, ''রাশিয়া ঠান্ডাকে যুদ্ধের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে। এই শীতে ইউক্রেনের অসংখ্য বয়স্ক, শিশু, অসুস্থ মানুষ যাতে ঠান্ডায়, খেতে না পেয়ে মারা না যান, তা আমরা নিশ্চিত করব।''

বস্তুত, প্রথম দিনের বৈঠকে স্থির হয়েছে, সামরিক সাহায্যের পাশাপাশি ইউক্রেনকে মানবিক সাহায্যও করা হবে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি ইউক্রেনের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলিতে একাধিক আক্রমণ চালায় রাশিয়া। মিসাইল দিয়ে একাধিক গ্রিড গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। জল এবং গ্যাসের লাইনেও মিসাইল আক্রমণ হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এদিন বেয়ারবক এই কথাগুলি বলেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

এছাড়াও উত্তর কোরিয়ার সাম্প্রতিক মিসাইল আক্রমণ নিয়েও সরব হয়েছেন বেয়ারবক। বলেছেন, কোনোভাবেই একাজ মেনে নেওয়া যায় না। উত্তর কোরিয়া সমস্ত আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে।

সাংবাদিকরা এদিন জার্মান চ্যান্সেলর ওলফ শলৎস নিয়েও প্রশ্ন করেন বেয়ারবককে। শলৎসের বেজিং সফরের পরিকল্পনা নিয়ে ইউরোপজুড়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। বেয়ারবক বলেছেন, ''জাপান বার বার বলার চেষ্টা করছে, চীন গত কয়েকবছরে কীভাবে বদলে গেছে। চীন এখন বাকি বিশ্বের সঙ্গে রীতিমতো প্রতিযোগিতায় নেমেছে। ফলে চীন এখন আর কেবল সাধারণ প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, তার চেয়েও বেশি কিছু।''

ইউক্রেন এবং অন্যান্য

প্রথমদিনের বৈঠকে ইউক্রেনকে সাহায্য করা নিয়ে সহমত হয়েছে প্রতিটি দেশই। ইউক্রেনকে সামরিক এবং মানবিক সাহায্য দেয়া একইভাবে চলতে থাকবে বলে জানিয়েছে প্রতিটি দেশ। পাশাপাশি, অর্থনৈতিক মন্দা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। জার্মানি, যুক্তরাজ্য সকলেই অর্থনৈতিক মন্দার কথা ঘোষণা করে দিয়েছে। পরিস্থিতি যা, তাতে সহজে এর থেকে মুক্তি মিলবে বলে মনে হচ্ছে না।

ইরান নিয়েও এদিন সরব হয়েছে দেশগুলি। যেভাবে ইরানে আন্দোলনরত নারীদের উপর পুলিশি অত্যাচার চলছে, তার নিন্দা করা হয়েছে এদিনের বৈঠকে। এর জন্য ইরানের উপর আরো নিষেধাজ্ঞা চাপানো উচিত বলেও মনে করছেন একাধিক প্রতিনিধি।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, ডিপিএ, এএফপি)