1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইইউর মধ্যে ট্রানজিট কোনো ইস্যু নয়

ডয়চে ভেলের মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিক আরাফাতুল ইসলাম মূলত রাজনীতি, মানবাধিকার, বাকস্বাধীনতা, শরণার্থী এবং অভিবাসন সম্পর্কিত ইস্যু কভার করেন৷ পাশাপাশি জার্মানি ও ইউরোপে জীবনযাপনের নানা দিকও তুলে ধরেন তিনি৷
আরাফাতুল ইসলাম
৫ মে ২০২৩

ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ২৭ দেশের মধ্যে পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রে ট্রানজিট কোনো ইস্যু নয়৷

https://p.dw.com/p/4QxNI
জার্মানির একটি অটোবান৷
ইইউ সদস্যরাষ্ট্রগুলোর মধ্যে পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রে সীমান্তে কোনো বাধা দেয়া বা শুল্ক আদায় করা হয় না৷ ছবি: Reuters/M. Rehle

কারণ, জোটভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রে সীমান্তে কোনো বাধা দেয়া বা শুল্ক আদায় করা হয় না৷ তবে, ইইউর উপর থেকে জোটের বাইরের অন্য দেশে বা অঞ্চলে পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রে নানা নিয়ম রয়েছে৷

ইউরোপের ২৭ দেশের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে থাকার সুবিধা অনেক৷ জোটভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে থাকা দেশগুলো এক বা একাধিক দেশের উপর দিয়ে কোথাও পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রে আলাদা কোনো নিয়ম-কানুন অনুসরণ করতে হয় না৷ কারণ, এই জোটের অন্যতম মিশনই হচ্ছে জোটভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে অবাধে পণ্য, সেবা এবং বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি করা৷

পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রে সীমান্তে কোনো বাধা বা বাড়তি শুল্ক না থাকলেও ইইউভুক্ত কিছু দেশের মহাসড়ক, সুরঙ্গ কিংবা সেতু ব্যবহারেরক্ষেত্রে টোল রয়েছে৷ দেশ অনুযায়ী সেই টোল প্রদান করতে হবে৷

তবে ইইউ জোটের ভেতর থেকে বাইরের কোনো দেশ যদি পণ্য পরিবহণ করতে চায় সেক্ষেত্রে নানা বিধিনিষেধ অনুসরণ করতে হয়৷ সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়ার উপরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞার কারণে কালিনিনগ্রাদে দেশটির পণ্য পরিবহণ নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল৷

আরাফাতুল ইসলাম, ডয়চে ভেলে
আরাফাতুল ইসলাম, ডয়চে ভেলেছবি: Ayse Tasci/DW

বাল্টিক উপকূলে লিথুয়ানিয়া এবং পোল্যান্ডের মাঝে অবস্থিত কালিনিনগ্রাদ রাশিয়ার একটি প্রদেশ৷ কিন্তু রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে এটি সংযুক্ত নয়৷ ফলে সেখানে পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রে লিথুয়ানিয়াকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করে রাশিয়া৷ মস্কোর প্রতিবেশী এই দেশটি ইইউভুক্ত৷

ইউক্রেনযুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়ার বিভিন্ন ব্যক্তি, গোষ্ঠী এবং পণ্যের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইইউ৷ তখন সেসব পণ্য ট্রানজিট হিসেবে রাশিয়া কালিনিনগ্রাদে পাঠাতে পারবে কিনা, তা নিয়ে শুরু হয় বিপুল বিতর্ক৷

ইইউ শেষমেষ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যে, কালিনিনগ্রাদে ইইউ ভুখণ্ডের মধ্য দিয়ে সড়ক পথে নয়, তবে রেল পথে সামরিক সরঞ্জাম ছাড়া নিষেধাজ্ঞার ভেতরে থাকা অন্যান্য পণ্য পাঠাতে পারবে রাশিয়া৷ লিথুয়ানিয়া অবশ্য অসামরিক পণ্য পরিবহণও ঠেকাতে চেয়েছিল৷ কিন্তু ইইউ তাতে সায় দেয়নি৷

কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী, প্রতিষ্ঠান বা রাষ্ট্রের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রদানের ক্ষেত্রে ইইউর নীতি হচ্ছে জোটভুক্ত সব দেশের তাতে সম্মতি থাকতে হবে৷ সেই সম্মতি না থাকা অবধি জোটের তরফ থেকে নিষেধাজ্ঞা দেয়া যায় না৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান