1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সংশয়

৪ জুলাই ২০১২

‘এক পা এগোনো, দুই পা পেছানো’ – ইউরো এলাকার বর্তমান সংকটের ক্ষেত্রে ইউরোপীয় নেতৃত্বের এমন সিদ্ধান্তহীনতার অভিযোগ করছে একটা মহল৷ এবার সবার লক্ষ্য তাদের কাজের দিকে৷

https://p.dw.com/p/15Qe7
ছবি: picture-alliance/dpa

গত সপ্তাহান্তে ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ সম্মেলনে স্পেন ও ইটালির ব্যাংকগুলির জন্য ইউরোপীয় তহবিল থেকে সহায়তার আশ্বাসের ফলে চলতি সপ্তাহে বাজার কিছুটা চাঙ্গা হয়ে উঠেছে৷ এই দুই দেশের রাষ্ট্রীয় বন্ডের উপর চড়া সুদের হার কমাতেও সরাসরি বন্ড কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে ১৫,০০০ কোটি ইউরো কাজে লাগাতেও রাজি হয়েছেন ইউরোপীয় নেতারা৷ তবে ইউরো'র বিনিময় মূল্য ডলারের তুলনায় কিছুটা কমে গেছে৷ আসলে ইউরো এলাকায় বেকারত্বের হার প্রায় ১১.১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে৷ উৎপাদনের হারও কমে চলেছে৷ এই অবস্থায় আগামী বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদের হার বর্তমান ১ শতাংশ থেকে আরও কমানো হতে পারে, এমন সম্ভাবনা দেখা দেওয়ায় বাজারে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে৷

তবে এ প্রসঙ্গে মনে রাখতে হবে, যে জার্মানি সহ ইউরোজোনের শক্তিশালী দেশগুলি এভাবে সরাসরি স্পেন ও ইটালির ব্যাংকগুলিকে সহায়তা দেওয়ার পক্ষে ছিল না৷ বিশেষ করে সরাসরি বন্ড কিনে তাদের সাহায্য করার বিষয়টি বেশ বিতর্কিত৷ চারিদিক থেকে চাপের মুখে গত শুক্রবারের শীর্ষ সম্মেলনে তারা সম্মতি দিলেও ফিনল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডস সোমবার নতুন করে আপত্তি জানিয়েছে৷ জার্মানির সাংবিধানিক আদালতেও ইএসএম ও বাজেট ঘাটতি সংক্রান্ত চুক্তির বিরুদ্ধে এক অভিযোগ জমা পড়েছে, যার শুনানি হবে ১০ই জুলাই৷ ফলে গোটা প্রক্রিয়া থমকে যেতে পারে৷ তবে অতীতে সংসদের অনুমোদন বা গণভোটের তিক্ত অভিজ্ঞতা এড়াতে এবার এমনভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যাতে সরকার একাই তা কার্যকর করতে পারে৷

Merkel Bundestag Abstimmung Fiskalpakt
জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলছবি: picture alliance / dpa

সম্মেলনে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী মারিয়ানো রাখোই বলেছিলেন, ‘‘সম্মিলিতভাবে আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য ছিল ইউরো'কে বাঁচানো এবং অভিন্ন মুদ্রার পথ থেকে যাতে কোনো অবস্থায় সরে আসা সম্ভব না হয়, তা নিশ্চিত করা৷ এই লক্ষ্যে একটা আপোশ মীমাংসার প্রয়োজন ছিল৷ আমার ধারণা, ইউরোপীয় পরিষদ এই মর্মে অত্যন্ত স্পষ্ট এক বার্তা পাঠিয়েছে৷ ফলে ইউরোপীয় সমন্বয় প্রকল্প অতীতের তুলনায় আরও শক্তিশালী ও বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠেছে৷''

কিন্তু কাগজে-কলমে ইউরোপীয় নেতারা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত কিছুটা অনিশ্চয়তা থেকেই যাচ্ছে৷ তবে কোনো না কোনো ভাবে এই অঙ্গীকার পালন না করলে পুঁজিবাজার ইউরোপীয় নেতৃত্বের উপর আস্থা হারাতে পারে৷ কোনো পক্ষই সেই পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে চায় না৷ জার্মানি আপাতত এক ভারসাম্য রাখার চেষ্টা করছে৷ বাজেট ঘাটতি কমিয়ে প্রয়োজনীয় সংস্কার চালিয়ে দুর্বল দেশগুলিকে ঘর সামলাতে হবে, এটাই জার্মানির দীর্ঘমেয়াদি ঘোষিত লক্ষ্য৷

এর মধ্যে ইউরোপ সম্পর্কে ব্রিটেনের সাম্প্রতিক মনোভাব নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে৷ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বর্তমান অবস্থা একেবারে গ্রহণযোগ্য নয়৷ তাই ব্রিটেনের সঙ্গে ইইউ'র সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে ভাবনা-চিন্তা করার সময় এসে গেছে৷ তবে ইইউ'তে থাকা বা না থাকার প্রশ্নে কোনো গণভোটের দাবি মানতে নারাজ তিনি৷ তিনি আরও কিছুকাল অপেক্ষা করতে চাইছেন৷ ক্যামেরন'এর মতে, ব্রিটেনের স্বার্থে আপাতত কোনো বড় পদক্ষেপ নেওয়া উচিত হবে না৷

এসবি / ডিজি (এএফপি, রয়টার্স, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য