1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিমিয়ানমার

আসিয়ানের বিবৃতিকে ‘একপেশে’ বলছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার

৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

মিয়ানমারে সামরিক সহিংসতা ও বেসামরিক নাগরিকদের উপর আক্রমণ নিয়ে আসিয়ান জোটের বিবৃতিকে ‘একপেশে’ বলেছে দেশটির জান্তা সরকার৷ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর এই জোটের চেয়ারম্যানশিপ না নেয়ার ঘোষণার একদিন পর এ কথা বললো মিয়ানমার৷

https://p.dw.com/p/4W1T4
মিয়ানমারে সামরিক সহিংসতা এবং বেসামরিক নাগরিকদের উপর আক্রমণ নিয়ে আসিয়ান জোটের বিবৃতিকে ‘একপেশে’ বলেছে দেশটির জান্তা সরকার৷ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর এই জোটের চেয়ারম্যানশিপ না নেয়ার ঘোষণার একদিন পর এ কথা বললো মিয়ানমার৷
ইন্দোনেশিয়ায় আসিয়ান সম্মেলনছবি: Mast Irham/AP Photo/picture alliance

২০২১ সালে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করছে মিয়ানমারে৷ সেখানে বড় বড় প্রতিবাদ কর্মসূচি হচ্ছে এবং সেনাবাহিনী সহিংসভাবে তা দমনের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে৷

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে সহিংসতা নিরসনে আসিয়ান জোটের শান্তি পরিকল্পনা কার্যত ব্যর্থ হয়েছে৷ কারণ, জান্তা সরকার তার বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনা করতে সম্মত হয়নি৷

আসিয়ান নেতারা মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে সহিংসতা থামাতে এবং বেসামরিক মানুষকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত না করতে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের প্রতি আহ্বান জানান৷ 

সম্মেলনের আয়োজক দেশ ইন্দোনেশিয়া জানিয়েছে যে, শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে কোনো অগ্রগতি হয়নি৷

মিয়ানমারের সরকারসমর্থিত গ্লোবাল নিউজ লাইট সংবাদপত্রে বুধবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেশটির সরকার আসিয়ান জোটের বিবৃতিকে ‘বস্তুনিষ্ঠ নয়' এবং ‘একপাক্ষিক' বলে আখ্যায়িত করেছে৷

দেশটি বরং আসিয়ান সনদ অনুসরন করে সদস্য রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীন বিষয়টি নাক না গলাতে জোটটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে৷

আন্তর্জাতিক সমাজ থেকে দৃশ্যত বিচ্ছিন্ন মিয়ানমার ২০২৬ সালে আসিয়ান জোটের নেতৃত্ব নেবে না বলে জানিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদি৷

তার বদলে ফিলিপাইন্স সেসময় আসিয়ান জোটের নেতৃত্ব দেবে৷ মিয়ানমারের সামরিক সরকারের শীর্ষস্থানীয়দের আসিয়ান বৈঠকে যোগ দেয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে৷

জান্তা সরকারের মুখপাত্র জাও মিন তুনও নিশ্চিত করেছেন যে ২০২৬ সালে জোটটির চেয়ারম্যানশীপ নিচ্ছে না মিয়ানমার৷ তবে এর কোনো কারণ ব্যাখ্যা করেননি তিনি৷

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোর সম্ভাব্য বয়কটের আশঙ্কায় এর আগে ২০০৬ সালে আসিয়ান চেয়ারম্যানশিপ থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করেছিল মিয়ানমার৷ তখনও দেশটির বদলে ফিলিপাইন্স চেয়ারম্যানশীপ নিয়েছিল৷

এআই/এসিবি (এএফপি, এপি)