1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আসছে ডাক্তারদের জন্য হাসপাতালেও রোগী দেখার সুযোগ

১৩ জানুয়ারি ২০২৩

চিকিৎসকেরা যাতে সরকারি হাসপাতালে নির্দিষ্ট সময় পর বেসরকারিভাবেও রোগী দেখতে পারেন সেজন্য সরকার ‘সক্রিয়ভাবে কাজ' করছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক৷ এতে ডাক্তার, রোগী দু'পক্ষই লাভবান হবেন বলে মনে করেন তিনি৷

https://p.dw.com/p/4M72N
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক (ফাইল ছবি)ছবি: bdnews24

তিনি বলেন, “চিকিৎসকরা প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতে পারেন৷ তারা ক্লিনিকেও কাজ করতে পারেন; সেই ব্যবস্থা বর্তমান নীতিমালায় রয়েছে৷ এটা কোনো অন্যায় নয়৷ তবে নীতিমালায় এটুকু আছে যে, স্ব স্ব কর্মরত প্রতিষ্ঠানে দুপুর ২টা পর্যন্ত পূর্ণ দায়িত্ব পালন করেই তা করতে হবে৷”

নতুন নীতিমালার পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “তারা বাইরে চেম্বারে গিয়ে যে রোগী দেখেন, তাদের সেই ব্যবস্থা বা সুযোগটাই স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে করে দিতে চাচ্ছি৷ যে প্রতিষ্ঠানে তিনি চাকরি করেন সেখানেই তো চেম্বার আছে৷ সেখানেই ডাক্তারটা প্র্যাকটিস করতে পারবেন৷”

এতে চিকিৎসকরা তাদের সুবিধাটুকু পাবেন, রোগীরাও সেবা পাবেন বলে মনে করেন মন্ত্রী৷ তিনি আরও বলেন, “হাসপাতালে ভর্তি রোগী যারা আছেন তারা সবসময় সেই সেবাটা পাবেন৷ এটা নিয়ে আমরা ‍খুবই সক্রিয়ভাবে কাজ করছি৷ এটা প্রধানমন্ত্রীও অবহিত আছেন৷”

বৃহস্পতিবার দুপুরে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নবনির্মিত আধুনিক বহির্বিভাগের তিনতলা বিশিষ্ট ভবন উদ্বোধনে এসে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন৷

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা-ইউএনএইচসিআর ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এই ভবন করে দিচ্ছে৷ এর আগে মন্ত্রী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন৷

স্থানীয়দের পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ও পর্যটকদের কথা বিবেচনায় এখানকার স্বাস্থ্যসেবার পরিধি আরও সম্প্রসারণ জরুরি বলে মনে করেন জাহিদ মালেক৷

জেলার ২৫০ শয্যার হাসপাতালে ছয় শতাধিকের বেশি রোগীর চাপ সামলাতে হচ্ছে মন্তব্য করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন,  “এখানে ফ্লোরে থেকে অনেক রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন৷ এ অবস্থার পরিবর্তন হওয়া দরকার৷ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে, ফ্লোরে থেকে রোগী চিকিৎসা নেবে না৷ রোগীকে সসম্মানে বিছানায় রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে৷”

নতুন ভবনটি সাততলা পর্যন্ত সম্প্রসারণের সুযোগ রয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ভবনটিতে আরও ২৫০ শয্যার ব্যবস্থা করে হাসপাতালটিকে ৫০০ শয্যার পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসাসেবা কেন্দ্রের রূপ দেওয়া হবে৷

হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমলের সভাপতিত্বে ও হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. মোমিনুর রহমানের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, সাবেক সচিব হাবিবুর রহমান খান, অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা নয়ন, ইউএনএইচসিআরের কক্সবাজার অঞ্চলের প্রধান ইয়োকো আকাসাকা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী৷

এনএস/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)