আসছে ডাক্তারদের জন্য হাসপাতালেও রোগী দেখার সুযোগ
১৩ জানুয়ারি ২০২৩তিনি বলেন, “চিকিৎসকরা প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতে পারেন৷ তারা ক্লিনিকেও কাজ করতে পারেন; সেই ব্যবস্থা বর্তমান নীতিমালায় রয়েছে৷ এটা কোনো অন্যায় নয়৷ তবে নীতিমালায় এটুকু আছে যে, স্ব স্ব কর্মরত প্রতিষ্ঠানে দুপুর ২টা পর্যন্ত পূর্ণ দায়িত্ব পালন করেই তা করতে হবে৷”
নতুন নীতিমালার পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “তারা বাইরে চেম্বারে গিয়ে যে রোগী দেখেন, তাদের সেই ব্যবস্থা বা সুযোগটাই স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে করে দিতে চাচ্ছি৷ যে প্রতিষ্ঠানে তিনি চাকরি করেন সেখানেই তো চেম্বার আছে৷ সেখানেই ডাক্তারটা প্র্যাকটিস করতে পারবেন৷”
এতে চিকিৎসকরা তাদের সুবিধাটুকু পাবেন, রোগীরাও সেবা পাবেন বলে মনে করেন মন্ত্রী৷ তিনি আরও বলেন, “হাসপাতালে ভর্তি রোগী যারা আছেন তারা সবসময় সেই সেবাটা পাবেন৷ এটা নিয়ে আমরা খুবই সক্রিয়ভাবে কাজ করছি৷ এটা প্রধানমন্ত্রীও অবহিত আছেন৷”
বৃহস্পতিবার দুপুরে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নবনির্মিত আধুনিক বহির্বিভাগের তিনতলা বিশিষ্ট ভবন উদ্বোধনে এসে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন৷
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা-ইউএনএইচসিআর ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এই ভবন করে দিচ্ছে৷ এর আগে মন্ত্রী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন৷
স্থানীয়দের পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ও পর্যটকদের কথা বিবেচনায় এখানকার স্বাস্থ্যসেবার পরিধি আরও সম্প্রসারণ জরুরি বলে মনে করেন জাহিদ মালেক৷
জেলার ২৫০ শয্যার হাসপাতালে ছয় শতাধিকের বেশি রোগীর চাপ সামলাতে হচ্ছে মন্তব্য করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “এখানে ফ্লোরে থেকে অনেক রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন৷ এ অবস্থার পরিবর্তন হওয়া দরকার৷ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে, ফ্লোরে থেকে রোগী চিকিৎসা নেবে না৷ রোগীকে সসম্মানে বিছানায় রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে৷”
নতুন ভবনটি সাততলা পর্যন্ত সম্প্রসারণের সুযোগ রয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ভবনটিতে আরও ২৫০ শয্যার ব্যবস্থা করে হাসপাতালটিকে ৫০০ শয্যার পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসাসেবা কেন্দ্রের রূপ দেওয়া হবে৷
হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমলের সভাপতিত্বে ও হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. মোমিনুর রহমানের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, সাবেক সচিব হাবিবুর রহমান খান, অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা নয়ন, ইউএনএইচসিআরের কক্সবাজার অঞ্চলের প্রধান ইয়োকো আকাসাকা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী৷
এনএস/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)