1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আল্পস পর্বতে বিপর্যয় এড়াতে গবেষণা

১০ নভেম্বর ২০২০

প্রাকৃতিক বিপর্যয় সম্পর্কে ঠিক সময়ে আগাম সতর্কতা ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির মাত্রা অনেক কমাতে পারে৷ আল্পস পর্বতে বড় ধস সম্পর্কে সতর্ক করতে বিজ্ঞানীরা নানারকম প্রযুক্তির মেলবন্ধন ঘটাচ্ছেন৷

https://p.dw.com/p/3l5Lv
ছবি: picture-alliance/dpa/K. J. Hildenbrand

আল্পস পর্বতের একটি অংশে সব মিলিয়ে প্রায় ৪০ লাখ ঘনমিটার অংশ ভেঙে পড়েছে৷ আট জন পর্বতারোহী সে সময়ে ঘটনাস্থলে ছিলেন৷ আজও তাঁরা নিখোঁজ৷ সেই ধ্বংসলীলার কিছু সময় পর কাদামাটির বন্যা বোন্ডো শহরের মধ্যে নেমে এসে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটিয়েছে৷

অস্ট্রিয়ার টিরোল অঞ্চলের হিন্টারহর্নবাখ ধস নামলে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত না হলেও কাদামাটির স্রোত সেখানেও পৌঁছতে পারে৷ সেখানকার মানুষ ও পর্বতারোহীদের ঠিক সময় সতর্ক করতে বিজ্ঞানীরা পাহাড়ের চূড়ার নড়াচড়ার উপর অবিরাম নজরদারি চালাতে চান৷ প্লাস্টিকের পাইপের মধ্যে দূরত্ব মাপার যন্ত্র রয়েছে৷ টেলিস্কোপের মতো সেগুলি আরও লম্বা বা ছোট করা যায়৷ ফাটলের মাপ বাড়লেও সেটি তা নথিভুক্ত করতে পারে৷ তারপর বেতার সংকেতের মাধ্যমে উপত্যকায় সেই তথ্য প্রেরণ করা হয়৷

পাহাড়ের দক্ষিণের অংশ ভেঙে পড়লে উত্তরে আলগয় অঞ্চলেও তার পরিণতি টের পাওয়া যাবে৷ সেখানে কোনো লোকালয় না থাকলেও পর্বতারোহী ও পাহাড়প্রিয় মানুষের পছন্দের এক ট্রেল বা গিরিপথ রয়েছে৷ জিওমর্ফোলজিস্ট হিসেবে মিশায়েল ডিৎসে মনে করেন, ‘‘সেখানে এক ধাক্কায় পাহাড় ভেঙে পড়লে চূড়ার অংশেও আমূল পরিবর্তন ঘটবে৷ ভারসাম্য সম্পূর্ণ বদলে গেলে আরও ধস নামবে৷’’

ফ্লোরিয়ান মেডলার ও সিমন গিলিশ পাহাড়ের উপর একটি ড্রোনও ওড়াচ্ছেন৷ ড্রোনের ক্যামেরা দিয়ে ফ্লোরিয়ান এমন ছবি তুলছেন, যার সাহায্যে পাহাড়ের ত্রিমাত্রিক চেহারা ফুটে উঠছে৷ তাতে মাত্র এক থেকে দুই সেন্টিমিটার ত্রুটির অবকাশ রয়েছে৷ সেই ছবি দেখে সামান্য চিড়ও শনাক্ত করা সম্ভব৷ এই উদ্যোগের আওতায় বিজ্ঞানীরা নজরদারির বিভিন্ন প্রযুক্তি হাতেনাতে পরীক্ষার সুযোগও পাচ্ছেন৷

ক্রাউটব্লাটার ও তাঁর সহকর্মীরা বড় ফাটলগুলিতে দূরত্ব মাপার ডাণ্ডাও বসাচ্ছেন৷ তবে তাতে সমস্যা দেখা যাচ্ছে৷ সন্ধ্যা পর্যন্ত সব পরিমাপ যন্ত্র বসানো সম্ভব হয়েছে৷ এভাবে ধস নামার কয়েক দিন আগেই উপত্যকার মানুষ ও পর্বতারোহীদের সতর্ক করার আশা করছেন তাঁরা৷

ইয়ান ক্যার্কহফ/এসবি