1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আলোচনার মাঝেই চীন ও অ্যামেরিকার সংঘাত

১০ মে ২০১৯

হুমকি অনুযায়ী শুক্রবার চীন থেকে আমদানির উপর বাড়তি শুল্ক চাপালো ট্রাম্প প্রশাসন৷ চীন পালটা পদক্ষেপের অঙ্গীকার করেছে৷ এদিকে শুক্রবারও দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা চলছে৷

https://p.dw.com/p/3IGXP
অ্যামেরিকা ও চীনের মধ্যে পুরোপুরি বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়ছে
ছবি: Getty Images/AFP/J. Eisele

চীনের শিল্প ও বাণিজ্য নীতি নিয়ে বিশ্বের অনেক দেশেই ক্ষোভ রয়েছে৷ চীনা কোম্পানিগুলি মুক্ত বাণিজ্য ও উদার বিনিয়োগ নীতির সুবিধা নিয়ে বিভিন্ন দেশে নিজেদের অবস্থান জোরদার করে চলেছে৷ প্রভাব বিস্তারের এই উদ্যোগে তারা রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতাও পাচ্ছে৷ অন্যদিকে বিদেশি কোম্পানিগুলি চীনে ব্যবসা করতে গিয়ে নানা বাধার সম্মুখীন হয়৷ এমনকি তাদের প্রযুক্তি সংক্রান্ত জ্ঞানও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ভাগ করে নিতে হয়৷ কিন্তু চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্কের খাতিরে এতকাল তেমন কোনো প্রতিরোধ দেখা যায়নি৷

মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর ‘অ্যামেরিকা ফার্স্ট' নীতির আওতায় চীনের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতের পথ বেছে নিয়েছেন৷ এমনকি প্রয়োজনে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিতেও পিছপা হচ্ছেন না তিনি৷ তবে এমন সংঘাতের প্রবল ঝুঁকি সম্পর্কে তাঁর প্রশাসন কতটা সচেতন, সে বিষয়ে অনেকে সন্দেহ প্রকাশ করছে৷ বিশেষ করে অ্যামেরিকায় কর্মসংস্থানের উপর এর নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কা রয়েছে৷ শুক্রবার এমনই এক সংঘাতের দিন৷ শুধু চীন ও অ্যামেরিকা নয়, এমন সংঘাতের ফলে বিশ্ব অর্থনীতি বিপর্যস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে আরও বড় আকারের বাণিজ্য যুদ্ধ শেষ পর্যন্ত এড়ানো সম্ভব হবে বলে আশার মাঝেই হুমকি অনুযায়ী ওয়াশিংটন শুক্রবার চীন থেকে আমদানির উপর বাড়তি শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছে৷ ফলে প্রায় ২০,০০০ কোটি ডলার মূল্যের চীনা পণ্যের আমদানির উপর ১০ থেকে ২৫ শতাংশ শুল্ক ধার্য করা হলো৷ তবে একেবারে শেষ মুহূর্তে দুই পক্ষের মধ্যে বোঝাপড়ার সম্ভাবনা এখনো পুরোপুরি দূর হয়নি৷ ফলে শুক্রবারও চীনের পুঁজিবাজার ও মুদ্রা চাঙ্গা হয়ে উঠেছে৷ উল্লেখ্য, ট্রাম্প প্রশাসন এর আগেও চীনের উপর বাড়তি শুল্ক চাপিয়েছে৷ চীনও পালটা পদক্ষেপ নিয়েছে৷

বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে বাণিজ্যমন্ত্রী স্টিভ মেনুচিন, মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি রবার্ট লাইটহাইজার ও চীনের উপ প্রধানমন্ত্রী লিউ হে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বোঝাপড়ার লক্ষ্যে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে আলোচনা করেন৷ শুক্রবারও তাঁদের আলোচনায় বসার কথা৷ তাঁদের মধ্যে রফা হলে সংঘাত আপাতত এড়ানো সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ এমনকি দুই দেশ নীতিগতভাবে সাধারণ অবস্থান নিলে আগামী কয়েক সপ্তাহে খুঁটিনাটি বিষয়গুলির নিষ্পত্তির সম্ভাবনাও রয়েছে৷

আলোচনার মাঝে বাড়তি শুল্ক কার্যকর হওয়ায় ৷ অ্যামেরিকার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এই মন্তব্য করা হয়েছে৷ তবে পালটা পদক্ষেপ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি৷ তবে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আশা এখনো ত্যাগ করেনি চীনা কর্তৃপক্ষ৷

এসবি/ডিজি (রয়টার্স, ডিপিএ, এপি)