1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আর্মেনিয়ার রকেট লঞ্চার ধ্বংস করল আজারবাইজান

১৫ অক্টোবর ২০২০

আর্মেনিয়ার দুইটি গুরুত্বপূর্ণ সেনা কাঠামো ধ্বংস করল আজারবাইজান। আজারবাইজানের প্রধানমন্ত্রী দাবি, আর্মেনিয়া তাদের তেলের লাইন ধ্বংসের চেষ্টা করছে।

https://p.dw.com/p/3jxGn
ছবি: AP/picture alliance

আর্মেনিয়ার দুইটি রকেট লঞ্চপ্যাড ধ্বংস করলো আজারবাইজান। বুধবার আজারবাইজানের প্রশাসন এই দাবি করেছে। আর্মেনিয়াও আজারি দাবি মেনে নিয়েছে।

বুধবার আজারবাইজান জানায়, আর্মেনিয়ার একটি রকেট লঞ্চপ্যাড এবং একটি ব্যালেস্টিক মিসাইল সিস্টেম ধ্বংস করা হয়েছে। তাদের দাবি, ওই দুইটি লঞ্চপ্যাড থেকে গত কয়েক দিন ধরে আজারবাইজানের সাধারণ মানুষের উপর গোলাবর্ষণ করা হচ্ছিল। আর্মেনিয়া আজারবাইজানের এই দাবি মেনে নিয়েছে। তবে একই সঙ্গে আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, তার দেশের সেনা কখনোই আজারবাইজানের সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ করেনি। কেবলমাত্র সেনা কাঠামোগুলিকেই টার্গেট করা হয়েছে।

বাস্তব চিত্র অবশ্য ঠিক তেমন নয়। আজারবাইজানের একাধিক শহর আর্মেনিয়ার গোলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গ্যাঞ্জা সহ একাধিক শহর থেকে সাধারণ মানুষ পালিয়ে গিয়েছেন। বহু সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। অন্য দিকে, আজারবাইজানও একই কাজ করেছে। তাদের গোলায় কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে নাগর্নো-কারাবাখ। আর্মেনিয়ার হিসেব অনুযায়ী সব মিলিয়ে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে অধিকাংশই সাধারণ মানুষ। ঘর ছেড়ে পালিয়েছেন অসংখ্যা মানুষ।

রাশিয়া দুইটি দেশের কাছেই আরও একবার যুদ্ধবিরতির অনুরোধ করেছে। বস্তুত, গত শনিবার দুইটি দেশ মস্কোর মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সায় দিয়েছিল। প্রায় ১০ ঘণ্টা বৈঠকের পর দুইটি দেশই সাময়িক সময়ের জন্য যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি হয়। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ফের দুই দেশই একের অপরকে আক্রমণ করতে শুরু করে। বুধবারেও গোলাবর্ষণ হয়েছে যথেষ্ট।

এরই মধ্যে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট তুরস্কের একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, আর্মেনিয়া এ বার আজারবাইজানের গ্যাস এবং তেলের লাইনগুলিকে টার্গেট করছে। সেখানে বিস্ফোরণ হলে আজারবাইজান যোগ্য জবাব দেবে। অন্য দিকে আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, তুরস্ক এবং আজারবাইজান যুদ্ধ বন্ধ করলে তাঁরাও সেই পথে হাঁটবেন। বস্তুত, বুধবার আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী প্রথমবার স্বীকার করেছেন, যুদ্ধে দেশে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে সাধারণ মানুষও আছেন, সেনা জওয়ানরাও আছেন। এত দিন পর্যন্ত আর্মেনিয়া দাবি করছিল, তাদের দিকে পাঁচশর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়নি।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি)