1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজইসরায়েল

আরো ১১ জন পণবন্দিকে মুক্তি দিল হামাস

২৮ নভেম্বর ২০২৩

এদের মধ্যে দুইজন জার্মান। ইসরায়েল ৩৩ জন ফিলিস্তিনি জেলবন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। সংঘর্ষ-বিরতি আরো দুইদিন বাড়লো।

https://p.dw.com/p/4ZVZe
গাজা থেকে ইসরায়েলে আনা হচ্ছে মুক্তিপ্রাপ্ত পণবন্দিদের
ইসরায়েল-হামাস সংঘাতছবি: Leo Correa/AP/dpa/picture alliance

আন্তর্জাতিক রেডক্রস জানিয়েছে, গাজা থেকে ১১ জন পণবন্দিকে তারা ইসরায়েলে নিয়ে এসেছে। সকলেই এখন ইসরায়েলে আছে। হামাস এই ১১ জন বন্দিকে তাদের হাতে তুলে দিয়েছে। অন্যদিকে ইসরায়েলের জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ৩৩জন ফিলিস্তিনিকে বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

এদিকে কাতার ও অ্যামেরিকা জানিয়েছে, ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে সংঘর্ষ-বিরতির চুক্তি আরো দুই দিন বৃদ্ধি পেয়েছে। গত শুক্রবার থেকে সংঘর্ষ-বিরতি শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে চার দিনের সংঘর্ষ-বিরতির চুক্তি হয়েছিল। কাতার এবং অ্যামেরিকা দুইপক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা করছে।

ইসরায়েল ও ওয়েস্ট ব্যাংকে ব্লিংকেন

চলতি সপ্তাহেই ইসরায়েল এবং ওয়েস্ট ব্যাংকে যাবেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। সংঘর্ষ-বিরতি আরো বাড়ানো যায় কি না, তা নিয়ে দুইপক্ষের সঙ্গেই কথা বলতে পারেন তিনি। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, বিভিন্ন নেতার সঙ্গে আলোচনা করবেন ব্লিংকেন। গাজায় আরো মানবিক সাহায্য কীভাবে পৌঁছে দেওয়া যায়, তা নিয়ে বৈঠক করবেন।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের বক্তব্য

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রধান উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন এক্স-এ জানিয়েছেন, ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে আরো দুই দিন সংঘর্ষ-বিরতির চুক্তি হওয়ায় তিনি খুশি। ইইউ চায় আলোচনার মাধ্যমে মীমাংসা। সংঘর্ষ-বিরতির চুক্তি আরো দীর্ঘ হবে, এমনই আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

পণবন্দিদের অবস্থা

প্রফেসর হাগাই লিভাইনের সঙ্গে ডিডাব্লিউ কথা বলেছে। তিনি একজন চিকিৎসক এবং এপিডেমোলজিস্ট। ইসরায়েলে পণবন্দিদের পরিবারের যে ফোরাম তৈরি হয়েছে, সেখানে মুখ্য চিকিৎসক হিসেবে কাজ করছেন তিনি। এখনো পর্যন্ত যে বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে, তাদের প্রায় সকলের সঙ্গেই দেখা করেছেন হাগাই। চিকিৎসা করেছেন। ডিডাব্লিউকে তিনি জানিয়েছেন, শারীরিক এবং মানসিকভাবে সকলেই বিধ্বস্ত। মূলস্রোতে ফিরে আসতে তাদের সময় লাগবে। তবে এখনো যাদের মুক্তি হয়নি, তাদের নিয়ে আরো বেশি চিন্তা হচ্ছে তার।

প্রফেসর হাগাই জানিয়েছেন, পণবন্দিদের মধ্যে আগে থেকে আলাপ না থাকলেও বন্দি অবস্থায় নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয়েছে তাদের মধ্যে। মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিদের কাছ থেকে তিনি জানতে পেরেছেন, এক নারীকে মুক্তি দেওয়ার সময় তিনি হামাসের নেতাদের কাছে অনুরোধ করেন, তার বদলে অন্য একজনকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য। কারণ তার শারীরিক অবস্থা অনেক বেশি খারাপ। এভাবেই বন্দিরা একে অপরের পাশে দাঁড়াচ্ছেন জীবনের ঝুঁকি উপেক্ষা করে। প্রফেসর জানিয়েছেন, এখনো যারা বন্দি আছেন, তাদের কাছে রেডক্রসকেও যেতে দেওয়া হচ্ছে না।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)