আফগানিস্তানে সৈন্য রাখার পক্ষে জার্মানি
১৯ ডিসেম্বর ২০১৭উত্তর আফগানিস্তানের মাজার-ই-শরিফ শহরে অবস্থিত ক্যাম্প মার্মাল সৈন্যশিবিরে ষষ্ঠবারের মতো পা দিলেন ফন ডেয়ার লাইয়েন৷ আফগানিস্তান থেকে ন্যাটো সৈন্যদের বড় বেশি দ্রুত সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, বলে তাঁর অভিমত৷
ফন ডেয়ার লাইয়েন সোমবার ক্যাম্প মার্মালে বলেন, ‘‘আমরা যখন (২০১৪ সালে) ব্যাপকভাবে সৈন্য কমিয়ে সাততাড়াতাড়ি পশ্চাদপসারণ করি, তখন গোড়ার দিকে যে কি পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল, তা আমি ভুলিনি৷'' আফগানিস্তানে যে এখনও একটি সংঘাত চলেছে, তা সকলের কাছেই স্পষ্ট, বলে তিনি যোগ করেন৷
‘‘এখনও অনেক কাজ বাকি আছে, কিন্তু আফগানিস্তান মিশনের মাধ্যমে আমরা ঠিক দিকে চলেছি বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস,'' ফন ডেয়ার লাইয়েন বলেন৷ ‘‘আমাদের আরো অনেক শক্তি ব্যয় করতে হবে – আফগানিস্তান নিয়ে আরো বহুকাল ব্যাপৃত থাকতে হবে,'' বলে তাঁর ধারণা৷
২০০১ সালের নাইন-ইলেভেন সন্ত্রাসের পর ওয়াশিংটনের ‘‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামের'' অঙ্গ হিসেবে মার্কিন নেতৃত্বাধীন একটি জোট আফগানিস্তানে অভিযান চালায়৷ সেযাবৎ জার্মান সৈন্যরা প্রায় ১৬ বছর ধরে আফগানিস্তানে নিযুক্ত রয়েছে৷ ফেডারাল জার্মান প্রজাতন্ত্রের ইতিহাসে জার্মান সামরিক বাহিনীর বৃহত্তম বৈদেশিক অভিযান হলো এই আফগানিস্তান মিশন৷ অন্য কোনো মিশনে বুন্ডেসভেয়ারের এত বেশি সৈন্য প্রাণ হারাননি৷
মূলত আফগান সৈন্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজে এখনও হাজার খানেক জার্মান সৈন্য আফগানিস্তানে রয়েছেন৷
তিন মাস মেয়াদ বৃদ্ধি
ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাসিস্ট্যান্স ফোর্স (আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সহায়তা বাহিনী) বা আইসাফ-এর অভিযানের সর্বোচ্চ পর্যায়ে সারা বিশ্ব থেকে আগত প্রায় দেড় লাখ সৈন্য আফগানিস্তানে ছিল৷ বর্তমানে মাত্র ১৭,০০০ অবশিষ্ট রয়েছে, যাদের মধ্যে ১০,০০০ মার্কিন সৈন্য৷
ওদিকে আফগানিস্তানে নিরাপত্তা পরিস্থিতি ক্রমেই আরো সঙ্গিন হয়ে উঠছে, যার পরিপ্রেক্ষিতে ওয়াশিংটন জার্মানির উপর আফগানিস্তানে আরো বেশি সৈন্য পাঠানোর জন্য চাপ দিয়ে চলেছে – নতুন জার্মান সরকার গঠিত হবার আগে বার্লিন যা করতে দ্বিধা বোধ করছে৷
গত সপ্তাহে নবনির্বাচিত জার্মান সংসদ আফগানিস্তানে জার্মান সৈন্যদের মিশনের মেয়াদ তিন মাস বাড়িয়ে দেয় – আশা যে, ঐ সময়ের মধ্যে নতুন সরকার গঠিত হবে ও সেই নতুন সরকার আফগানিস্তান মিশন সম্পর্কে তাঁদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন৷
সেপ্টেম্বরের নির্বাচন যাবৎ ৮৫ দিন কেটে গেছে, কিন্তু চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সিডিইউ-সিএসইউ দল এখনও কোনো উপযুক্ত জোট সহযোগী খুঁজে পায়নি৷
এসি/ডিজি (ডিপিএ, রয়টার্স)